সংবাদচর্চা রিপোর্ট:
বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিষ্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেছেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে আওয়ামীলীগের প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা বা শামীম ওসমানকে মনোনয়ন দেওয়ার এখতিয়ার নৌপরিবহণ মন্ত্রী শাহাজাহান খানের নেই ।
কেননা, এ মুহুর্ত্বে বাংলাদেশের কারো মনোনয়ন নিয়ে বলার ক্ষমতা রাখেন একমাত্র প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা। শেখ হাসিনা ছাড়া কেউ এ ব্যাপারে কারো মনোনয়ন নিশ্চিত করে বক্তব্য দেয়ার এখতিয়ার নেই।
সোমবার (১০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোশেনর (নাসিক) নগরভবনে একটি মতবিনিয়ময় সভা শেষে গণমাধ্যম কর্মীদের সাথে আলাপকালে নওফেল এসব কথা বলেন।
নাসিকের সিও এএফএম এহতেশামূল হকের সভাপতিত্বে চারটি সিটি করপোরেশনের সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য জাপানী দাতা সংস্থা জাইকার ক্যাপাসিটি ডেভেলপমন্ট প্রজেক্টের এ মতবিনিময় সভা সকাল সাড়ে ৯টায় শুরু হয়। ব্যারিষ্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল এই প্রজেক্টের লিগ্যাল এডভাইজার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
নওফেল আরো বলেন, নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান খুব ভালো লোক। তিনি হয়তো তাঁর নিজ সংসদীয় আসনে জয়ী হবেন। কিন্তু অন্য কোন আসনে কাকে মনোনয়ন দিলো বা কার মনোনয়ন হলো না এটা বলার এখতিয়ার তাঁর নেই।
শুধু নৌমন্ত্রীই নন, এমন বক্তব্য দেয়ার এখতিয়ার আমারও নেই। শামীম ওসমান মনোনয়ন পাবেন না এটা যেমন আমি বলতে পারবো না, ঠিক তেমনি শামীম ওসমান মনোনয়ন পাবে এমন কথাও আমি বলতে পারবো না।
এটা বলতে পারবে একমাত্র জননেত্রী শেখ হাসিনা। নৌমন্ত্রী শাজাহান খান যে কাজটি করেছেন এটি অত্যন্ত নিন্দনীয় কাজ। এটি দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গেরও শামিল বলে উল্লেখ করেন নওফেল।
রোববার (৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরের দিকে পাগলা মেরিএন্ডারসনে বিআরইডব্লিউটিএ’র ১০তলা বিশিষ্ট স্টাফ কোয়ার্টার ভবন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির বক্তব্যে নৌপরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান বলেন, নারায়ণগঞ্জে ৪ নং আসনে প্রার্থী কে হতে পারেন? কাকে চাই ? আজকের পত্রিকা দেখবেন।
ঘোষণা না ঠিক, আওয়ামীলীগের ১০০ জনের যে অবশ্যাম্ভবী প্রার্থীর কথা বলা হয়েছে তার মধ্যে শামীম ওসমান সাহেবের নাম আছে। জরীপ হচ্ছে, আগামী নির্বাচনে এখানকার প্রার্থী হচ্ছেন শামীম ওসমান। আপনারা সবাই আগামী নির্বাচনে শামীম ওসমানকে ভোট দিয়ে শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করবেন।
বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান কমডোর মোজাম্মেল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাংসদ একেএম শামীম ওসমান। নৌমন্ত্রী শাজাহান খানের ওমন বক্তব্যে পুরো জেলায় আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া তৈরী হয় এবং দলীয় কোন্দল সৃষ্টির সম্ভাবনা তৈরী হয়। নৌমন্ত্রীর অমন বক্তব্যে অনেক সমালোচনাও তৈরী হয় আওয়ামীলীগের তৃণমূলে।