গাজীপুরের টঙ্গী এলাকায় মাদক পরিবহনকালে ৩০ কেজি গাঁজাসহ একটি মাইক্রোবাস জব্দ ও একজন আটক। র্যাব-১, উত্তরা, ঢাকা এর একটি আভিযানিক দল গোয়েন্দা সূত্রে জানতে পারে যে, মাদক ব্যবসায়ী চক্রটি মাদকদ্রব্য গাঁজার একটি বড় চালান ব্রাহ্মনবাড়িয়া জেলার সীমান্তবর্তী এলাকা হতে মাইক্রোবাস যোগে গাজীপুর মহানগরীর টঙ্গীর উদ্দেশ্যে আসছে। এরই প্রেক্ষিতে মাদক ব্যবসায়ী চক্রটিকে গ্রেফতারের লক্ষ্যে র্যাব-১ গোয়েন্দা নজরদারী বৃদ্ধি করে এবং মাদক দ্রব্যের চালানটির গতিবিধি অনুসরণ করার লক্ষ্যে অবস্থান নেয়। গত বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) রাত ৭ টা ৩০ মিনিটের দিকে র্যাব-১, উত্তরা, ঢাকা এর একটি আভিযানিক দল গাজীপুর মহানগরীর টঙ্গী পূর্ব থানাধীন টঙ্গী স্টেশন রোড থানা গেইটের বিপরীতে বিসমিল্লাহ মেডিসিন কর্নারের সামনে পাকা রাস্তার উপর অভিযান পরিচালনা করে আন্তঃ জেলা মাদক ব্যবসায়ী চক্রের সদস্য মোঃ আব্দুস সালাম (৩০), পিতা- আব্দুল মজিদ, সাং- বোলাশীর, থানা- শ্রীমঙ্গল, জেলা- মৌলভীবাজার’কে গ্রেফতার করে। শুক্রবার ( ১৮ অক্টোবর) র্যাব-১ এর লেঃ কর্ণেল অধিনায়ক মোঃ সারওয়ার বিন কাসেম স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ সব তথ্য তিনি জানান, র্যাব-১, উত্তরা, ঢাকা এর একটি আভিযানিক দল গোয়েন্দা সূত্রে জানতে পারে যে, মাদক ব্যবসায়ী চক্রটি মাদকদ্রব্য গাঁজার একটি বড় চালান ব্রাহ্মনবাড়িয়া জেলার সীমান্তবর্তী এলাকা হতে মাইক্রোবাস যোগে গাজীপুর মহানগরীর টঙ্গীর উদ্দেশ্যে আসছে। এরই প্রেক্ষিতে মাদক ব্যবসায়ী চক্রটিকে গ্রেফতারের লক্ষ্যে র্যাব-১ গোয়েন্দা নজরদারী বৃদ্ধি করে এবং মাদক দ্রব্যের চালানটির গতিবিধি অনুসরণ করার লক্ষ্যে অবস্থান নেয়। এসময় ধৃত আসামীর চালিত মাইক্রোবাস হতে ৩০ কেজি গাঁজা, ০২ টি মোবাইল ফোন, নগদ ১১,৩০০/- টাকা উদ্ধার করা হয় এবং মাদক পরিবহনে ব্যবহৃত মাইক্রোবাসটি জব্দ করা হয়। গ্রেফতারকৃত আসামীকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, সে একটি সংঘবদ্ধ মাদক ব্যবসায়ী চক্রের সক্রিয় সদস্য। তারা ব্রাহ্মনবাড়িয়া জেলার সীমান্তবর্তী এলাকা দিয়ে অবৈধভাবে চোরাচালানের মাধ্যমে গাঁজা নিয়ে আসে। পরবর্তীতে গাঁজার চালানগুলো বিভিন্ন পণ্যবাহী পরিবহনে/মাইক্রোবাসে করে রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে মাদক ব্যবসায়ীদের নিকট সরবরাহ করে থাকে। এই চক্রের অন্যতম সদস্য ব্রাহ্মনবাড়িয়া জেলার জনৈক মাদক ব্যবসায়ী। সে অবৈধভাবে গাঁজা চালান দেশে নিয়ে এসে ধৃত আসামী আব্দুস সালাম এর মাধ্যমে মাদকের চালান ঢাকা ও আশেপাশের এলাকায় নিয়ে এই সিন্ডিকেটের অন্যান্য সদস্যদের নিকট পাইকারী মূল্যে বিক্রয় করে বলে জানায়।