নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে হাফেজিয়া মাদ্রাসার মাওলানা শাহজালালের নারী কেলেঙ্কারির তথ্য ফাঁস করে দিয়েছে ছাত্র রবিউল ইসলাম মোল্লা (১৩)। মাওলানার নারী কেলেঙ্কারীর কথা তার স্ত্রীকে বলে দেয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে রবিউল ইসলাম মোল্লা(১৩)কে রশি দিয়ে বেধে অমানুষিক নির্যাতন করেছে সেই মাওলানা। নির্যাতনকালে শিক্ষার্থী বারবার জ্ঞান হারালে তাকে পানি ছিটিয়ে জ্ঞান ফিরিয়ে আবারো নির্যাতন করে পাষন্ড সেই শিক্ষক। মূমূর্ষ অবস্থায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ অভিযুক্ত মাওলাকে গ্রেপ্তার করেছে। বুধবার সকালে উপজেলার কাঞ্চন পৌরসভার পশ্চিম কালাদী এলাকায় ঘটে এই বর্বর নির্যাতনের ঘটনা।
নির্যাতনের শিকার শিক্ষার্থীর পিতা আজিজ মোল্লা জানান, তিনি শেরপুরের শ্রীবরদী থানাধীন গরজিপাড়া এলাকার বাসিন্দা। বর্তমানে কাঞ্চন এলাকার মজিবুরের বাড়ীতে ভাড়ায় বসবাস করে এখানে ঝাল মুড়ি বিক্রি করেন জীবিকা নির্বাহ করেন। তার ৪ সন্তানের মধ্যে বড় ছেলে রবিউল ইসলাম মোল্লাকে কোরআনের হাফেজ বানানোর উদ্দেশ্যে তিনি স্থানীয় কালাদী মদিনা মসজিদের হিফজখানায় কোরআন শিক্ষার জন্য ভর্তি করান। উক্ত মসজিদের মাওলানা শাহজালাল স্থানীয় এক মহিলার সাথে পরকীয়া জড়িয়ে পড়েছেন বলে হিফজখানার কয়েকজন শিক্ষার্থী মাওলানার স্ত্রীকে মোবাইল ফোনে জানায়। এনিয়ে মাওলানা শাহজালালের সাথে তার স্ত্রীর কথাকাটাকাটি ঝগড়া হয়। এর জের ধরে বুধবার সকালে মসজিদের দ্বিতীয়তলায় একটি কক্ষে শিক্ষার্থী রবিউল ইসলাম মোল্লা স্ত্রীকে পরকীয়ার খবর বলার অভিযোগ এনে আটক করে রশি দিয়ে বেধে এলোপাথারি পেটানো শুরু করেন মাওলানা। এ ঘটনায় শিক্ষার্থীর পিতা আজিজ মোল্লা বাদী হয়ে রূপগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে পুলিশ মাওলানা শাহজালালকে গ্রেপ্তার করেন।
এব্যাপারে রূপগঞ্জ থানার ওসি মাহামুদুল হাসান সংবাদচর্চাকে বলেন, ঘটনা সত্য। মাওলানা সাহেবকে আটক করা হয়েছে। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
তবে একটি সুত্রের মাধ্যমে জানা গেছে রবিউল ইসলাম মোল্লা (১৩) মাওলানার নারী কেলেঙ্কারির কথা তার স্ত্রীর কাছে বলে টাকা নিতে চেয়েছিলো বলে জানা গেছে ।