আজ রবিবার, ১৯শে মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

রূপগঞ্জে ট্রাফিক পুলিশের চাঁদাবাজি থামছেই না

তুহিন মোল্লা, রূপগঞ্জ প্রতিনিধি : রূপগঞ্জে ট্রাফিক পুলিশের চাঁদাবাজি থামছেই না। ভারীযান থেকে শুরু করে ব্যাটারী চালিত রিক্সা চালকরাও রেহাই পাচ্ছে না অসাধু ট্রাফিক পুলিশের হাত থেকে। এলাকার বিভিন্ন পয়েন্টে ট্রাফিক পুলিশের প্রকাশ্যে চাঁদাবাজি এখন নিত্য নৈমক্তিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, কাগজ দেখার নাম করে রিক্যুইজিশন ও মামলাদেয়ার ভয় দেখিয়ে চাঁদাবাজি করেন ট্রাফিক পুলিশ র্সাজেন্ট। কতিপয় অসাধু ট্রাফিক র্সাজেন্ট দেখিয়ে চাঁদাবাজি করেন ট্রাফিক পুলিশ কনস্টেবলরা।

সূত্র আরও জানায়, কতিপয় অসাধু ট্রাফিক সার্জেন্ট, ট্রাফিক পুলিশ কনস্টেবলদের চাঁদাবাজিতে উৎসাহিত করেন। একাধিক গাড়ির মালিক ও ড্রাইভারদের অভিযোগ, ট্রাফিক পুলিশে এলাকার সব পরিবহনের চাঁদাবাজি নিয়ন্ত্রণ করেন।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, গোলাকান্দাইল পুলিশ বক্স ট্রাফিক পুলিশের চাঁদাবাজির মূল কেন্দ্র। এই চাঁদাবাজির শীর্ষে রয়েছেন ট্রাফিক ইন্সপেক্টর মাহবুব শাহ্ । শুধু তাই নয় সার্জেন্টদের সাথে পাল্লা দিয়ে সমান তালে চাঁদাবাজিতে জড়িয়ে পড়েছে কতিপয় অসাধু ট্রাফিক কনস্টেবলও। আর পুলিশের সহকারী লাঠিয়াল বাহীনি রুবেল, শামীন, ফারুক, বকুল, কানা আজিজ, লেংরা শহীদ, শহীদুল্লাহ্, সুহেল, সুন্দর আলী, মামা লিটন, মাসুম, রফিকুল পাগলা, হীরন, আমীর পাগলা, মনা, কালাই, জুবায়ের, সজিবসহ আরো অনেকেই। বিভিন্ন পয়েন্টে কর্তব্যরত অবস্থায় একাধিক যানবাহন থেকে অবৈধ ফায়দা আদায় করতে রেকারম্যানদের নিরাপদ মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করেন এমন অভিযোগ ভুক্তভোগীদের।

সরজমিনে ঘুরে দেখা যায় সার্জেন্ট রফিকুল, টিএসআই দেব কুমার, নুরুজ্জামান, জসিম এছাড়াও রয়েছে রেকার পুলিশ কনস্টেবল আশিকুর রহমানের নেতৃত্বে ভূলতা ও গোলাকান্দাইল মহাসড়কে ট্রাক, বাস থেকে শুরু করে অটোরিক্সা পর্যন্ত আটক করে রিক্যুইজেশন এবং মামলার ভয় দেখিয়ে চালক ও মালিকদের কাছ থেকে অবৈধ ফায়দা হাসিলের চেষ্টা করছেন রেকার চালক সিরাজ। একইভাবে উপজেলার পুরো মহাসড়কেই প্রতিদিন শত শত গাড়ি থেকে অবৈধ ফায়দা হাসিল করা হয় বলে অভিযোগ রয়েছে।

সার্জেন্ট রফিকুল, নুরুজ্জামান, জসিম, টিএসআই দেব কুমার গোলাকান্দাইল পয়েন্টে গ্রাম-গঞ্জ থেকে আসা সিএনজি, লেগুনা, ট্রাক, বাস গাড়ির ড্রাইভারদের কাছ থেকে ১ হাজার টাকা থেকে ২ হাজার টাকা আদায় করেন। গোলাকান্দাইল সিএনজি চালিত অটোরিক্সা চালক রবিউল জানান, ট্রাফিক ও রেকার পুলিশের চাঁদাবাজিতে আমরা অসহায় হয়ে পড়েছি। তাদের কথামত উৎকোচ না দিলে কারণে অকারণে মামলা দিয়ে হয়রানি করা হয়।

ট্রাক চালক জাকির হোসেন জানান, ট্রাফিক পুলিশের চাঁদাবাজিতে ইদানিং বৃদ্ধি পেয়েছে। এলাকায় প্রবেশের সাথে সাথে ট্রাফিক পুলিশের ফাঁদে পড়ে উৎকোচ দিতে হয়। নয়তুবা খালি গাড়ি হলে রিকুইজিশন আর মালবাহী হলে ওভারলোড বলে মামলার ভয় দেখিয়ে উৎকোচ দিতে বাধ্য করা হয়।

এ ব্যাপারে কথা হলে ট্রাফিক ইন্সপেক্টর মাহবুব শাহ্ বলেন, ট্রাফিক পুলিশ চাঁদাবাজি করে না। আর কেউ চাঁদাবাজি করলে তার ব্যবস্থা নেয়া হবে।