নিজস্ব প্রতিবেদক:
বর্তমানে মানুষের অন্যতম প্রধান প্রয়োজন বাসস্থানের ব্যবস্থা করা।সারাজীবন একটি মানুষ তিলে তিলে অর্থ সঞ্চয় করে এই বাসস্থানের সপ্ন দেখে।গর্ব করে মানুষ বন্ধু -বান্ধব, অত্নীয়- স্বজনের কাছে অানন্দের সহিত বলতে পারবে অামার একটি বাসস্থান অাছে।কিন্তু অনেক সময় দেখা যায় বাসস্থানের ব্যবস্থা করতে গিয়ে প্রতারনার শিকার হয়ে সর্বস্ব হারাচ্ছে।
ঠিক তেমনি রাজধানী ডেমরার বাদশাহ মিয়া রোডে (মুসলিমনগরে) ফ্ল্যাট বিক্রির নামে জালিয়াতি এবং প্রতারণার মাধ্যমে ৭০ জন ক্রেতার কাছ থেকে প্রায় ৪ কোটি টাকা অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে বসতবাড়ি নামে রিয়েল এসেস্ট লিমিটেডের বিরুদ্ধে।অভিযোগে বলা হয়, টাকা নিয়ে ফ্ল্যাট বুঝিয়ে দেওয়া হচ্ছে না। একই ফ্ল্যাট বিক্রি করা হয়েছে একাধিক ব্যক্তির কাছে।মাঠ পর্যায়ে কোম্পানির ২৫০ টি চেক দিয়ে চড়া সুদে বিভিন্ন ব্যক্তির কাছে অর্থ অাত্নসাৎ।এ বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা না নিয়ে কোম্পানির লোকজন আত্মগোপনে রয়েছে।
সরেজমিনে গিয়া জানা যায়,অানোয়ার ইউনুছ ও নবী এই তিনজন বসতবাড়ি নামে একটি জায়গা বায়না করে কিন্তু তারা জায়গায়টি ক্রয় করতে পারে নি,তারপর তারা ৭০ জন গ্রাহকের জায়গা বিক্রি করে।কোম্পানির মৌখিক চুক্তির বলে জায়গা ক্রয় করার ফলে কোম্পানি ৭০ জন ফ্লাট মালিকের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়ে কাজ শুরু করে।৩ বছর পর হিসাব চাওয়া হলে বসতবাড়ির এমডি হাবিবউল্লাহ, নবী ও অন্যান্যারা হিসাব দিতে পারে নি এবং অডিট করা হলে খরচ হয় ৭ কোটি ২৮ লাখ টাকা কিন্তু যেখানে ভবনটি করতে লাগে ৭ কোটি টাকা।হাবিবউল্লাহ ভবন দেখিয়ে মাঠ পর্যায়ে ৪ কোটি টাকা উত্তোলন করেন মসজিদের ইমাম, মুয়াজ্জিন দিয়ে।কোম্পানি জায়গাটি যেখানে ৭০ জনের নামে রেজিষ্ট্রি ও নামজারি করা।
অভিযোগে বলা হয়,বসতবাড়ির রিয়েল এসেস্ট লিমিটেডের ১৪ কাঠার দুটি আবাসন প্রকল্পের অধীনে ফ্ল্যাট কেনেন ৭০ জন ক্রেতা। তাঁরা নিয়ম অনুযায়ী সব অর্থ পরিশোধ করেন।প্রকল্পের আংশিক, আবার কোনো প্রকল্পের কাজ একেবারেই না করে কর্তৃপক্ষ সময়ক্ষেপণ করতে থাকে। এ অবস্থা দেখে ক্রেতারা খোঁজখবর নিতে গেলে তাঁদের অস্ত্রের ভয় দেখায়।এ বিষয়ে থানায় মামলা করতে গেলে তারা মামলা নেয় নি।
গ্রাহকদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে ফ্ল্যাট বুঝিয়ে না দেয়া, অগ্রিম টাকা নিয়ে ফ্ল্যাটের কাজ শেষ না করেই আত্মগোপন করা,১৭ লাখের ফ্লাট ২৪ লাখ ধার্য্য,একই ফ্ল্যাট একাধিক গ্রাহকের কাছে বিক্রিসহ নানা অভিযোগ রয়েছে বসতবাড়ি আবাসন প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ভুক্তভোগী ফ্লাট মালিক জানান, এক ফ্ল্যাট একাধিক ব্যক্তির কাছেও বিক্রি করা হয়েছে। তবে কেউই ফ্ল্যাট বুঝে পাননি।১১ তলা অ্যাপার্টমেন্ট নির্মাণের কথা বলে আমাদের কাছ থেকে ৭ কোটি টাকা নিয়েছিলেন ডেভেলপার প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নোয়াখালীর হাবিবুল্লাহ।বসতবাড়ির এমডির বিচার হওয়ার পর ৪ কোটি টাকার মধ্যে অাড়াই কোটি দিতে বলা হয় কিন্তু ভবনের কাজ শেষ না করেই কাতারে অাত্নগোপনে চলে গেছেন তিনি।ভুক্তভোগী মালিকরা ডিসি,এসি ও থানায় অভিযোগ করে কূলকিনারা না পেয়ে নিজেরাই কাজ শুরু করে এবং ওই ফ্লাটে ৭ টি পরিবার উঠার পর সিটি কর্পোরেশনের ইব্রাহিম ও কিছু স্থানীয় সন্ত্রাসী দিয়ে দেশীয় অস্ত্র সস্ত্র নিয়ে ভবন দখল করে এবং ফ্লাটের যাবতীয় মালামাল লুট করে বাকি পরিবারগুলোকে উঠতে হুমকি ধামকি প্রয়োগ করে।
উল্লেখ্য যে,বর্তমানে বৈধ ও অবৈধ প্রায় ১৫০০ টি কোম্পানি এই ব্যবসার সাথে জড়িত।অথচ এর মধ্যে ৬৩ টি প্রতিষ্ঠান জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষেরর নিবন্ধন অাছে।এ সমস্ত অবৈধ প্রতিষ্ঠানের নিয়ম বহিভূত কাজের ফলে সারাজীবনের উর্পাজনের সর্বস্ব হারিয়ে প্রতারনার শিকার হচ্ছে নিরীহ জনসাধারন।