আজ মঙ্গলবার, ১৯শে ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৪ঠা মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

রাহুগ্রাসের ফলে বইতে পারে ধমকা হাওয়া! উত্তরের পর এবার দক্ষিণ মেরুর পালা

সংবাদচর্চা রিপোর্ট:
নারায়ণগঞ্জে পুলিশ সুপার হারুন অর রশিদের যোগদানের পর অপরাধের বিষয়ে সকলকেই হুশিয়ারী প্রদান করেছিলেন। সে হোক সরকার দলীয় কিংবা বিরোধী দল অথবা সাধারণ মানুষ। কাউকেই ছাড় দেয়া হবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। তার ভাষ্য অনুযায়ী জেলায় যাদের বাঘ, সিংহ বলা হতো তথা এক সময় যারা দাবড়িয়ে বেড়াতো তাদের কেউ পলাতক, কেউ আবার জেলে।

নারায়ণগঞ্জে কোন সন্ত্রাসী, চাদাঁবাজদের ঠাই হবে না জানিয়েছিলেন পুলিশ সুপার। ছাড় পায়নি প্রভাবশালী সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমানের ছত্রছায়ায় থাকা নেতাকর্মী এমনকি তার আত্নীয়  স্বজনরাও। এসপির এই কর্মকান্ডেকে অনেকে সাধুবাদ জানালেও কেউ কেউ বলেছিলেন তিনি শুধু শামীম ওসমানের অনুসারীদের পিছনেই পরে রয়েছেন।

উত্তর মেরুর নেতাকর্মীদের পর এবার দক্ষিণের পালা। তথা ইতিমধ্যে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভীর বেয়াই জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা আল জয়নালকে চাদাঁবাজীর মামলায় গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এসপি শুধু শামীম ওসমানের অনুসারীদের পিছনেই পরে রয়েছেন, এমন সমালোচকদের দাতঁ ভাঙা জবাব দিয়েছেন তিনি। রাহুগ্রাসের ফলে দক্ষিণ মেরুতে বইতে পারে ধমকা হাওয়া। এমনটাই মনে করছেন জেলার সচেতন মহলের লোকজন।
তাদের মতে, পুলিশ সুপারের কাজে নগরবাসী আনন্দিত। কেননা, এতোদিন ধরে তিনি শুধু শামীম ওসমানের অনুসারীদের অপরাধমূলক কর্মকান্ডের কারণে আটক করেছেন। যার ফলে অনেকের ধারণা ছিলো যে হারুন অর রশিদ শুধু শামীম অনুসারীদেরকেই আটক করে। কিন্তু আইভীর বেয়াই আল জয়নালকে গ্রেফতারের মধ্যে দিয়ে এসপি প্রমাণ করেছেন অপরাধ করলে কাউকেই ছাড় দেয়া হবে না। সে হোক মেয়র আইভীর আতœীয় কিংবা সাংসদ শামীম ওসমানের ঘনিষ্ঠজন। পুলিশ তাদের নিয়মের মধ্যে থেকে দূর্বার গতিতে এগিয়ে চলেছেন। যার জন্য জেলার বর্তমান এসপি প্রশংসনীয়।

নগরবাসীর মতে, উত্তর মেরু তথা শামীম ওসমান বলয়ের বেশ কয়েকজন নেতাকে আটক করেছে পুলিশ। আবার কেউ কেই প্রশাসনের ভয়ে আত্ন গোপনে চলে গেছেন। কারণ তাদের জানা ছিলো যে আটক হয়ে গেলে আর কারও তদবীরে কাজ হবে না। সে যেই হোক না কেনো। যার ফলে তারা পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। অন্যদিকে উত্তর মেরুর নেতাকর্মীদের একের পর এক আটক করার ফলে দক্ষিণ মেরুতে ছিলো স্বস্তি। এসপি নারায়নগঞ্জে যোগদান করার পর থেকে আল জয়নাল গ্রেফতার হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত দক্ষিণ মেরুতে স্বস্তির হাওয়া বইতে দেখা গেছে। কিন্তু সেই স্বস্তি হাওয়া এখন অভিশাপে রুপ নিয়েছে। আল জয়নালকে দিয়ে শুরু করে দক্ষিণে যাওয়ার চেষ্টা করছে প্রশাসন।

প্রশাসনের কঠোরতায় কারোরই শেষ রক্ষা হবে না। সুতরাং অচীরেই আইভীপন্থীদের এ বিষয়টি নিয়ে ভাবা উচিৎ।
অন্যদিকে জেলার রাজনৈতিক বোদ্ধামহলের মতে, আর একটি বছর যদি হারুন অর রশিদ নারায়ণগঞ্জে সেবা দিতে পারেন তাহলে নারায়ণগঞ্জে চিরুনি অভিযান চালিয়েও সন্ত্রাসী, চাদাাঁবাজ, মাদক ব্যবসায়ীদের খুজে পাওয়া যাবেনা। নারায়ণগঞ্জের মানুষদের জন্য বর্তমান পুলিশ সুপারের প্রয়োজন রয়েছে।

কারণ যারা এতোদিন ভালো মানুষের মুখোশে অপকর্ম করে বেড়িয়েছে। একের পর এক গ্রেফতার করে সেই মুখোশধারী সন্ত্রাসীদের চেহারা নগরবাসীর সামনে তুলে ধরছেন পুলিশ সুপার।

আর তাই আরও কিছু মাস থাকলে জেলায় অপকর্ম করা সকল সন্ত্রাসীদের মুখ বেরিয়ে আসবে। তাই পুলিশ সুপারের প্রয়োজনীয়তা নারায়ণগঞ্জে অপরসীম।