আজ শনিবার, ৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

রাজধানীতে ৯ হাজার ৩শ ৯০ পিস ইয়াবাসহ গ্রেফতার ১

রাজধানীতে নয় হাজার

রাজধানীতে নয় হাজারসংবাদচর্চা রিপোর্ট:

রাজধানীর মতিঝিল থানা এলাকা হতে ৯,৩৯০ (নয় হাজার তিনশত নব্বই) পিস ইয়াবাসহ ০১ (এক) জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-২।

বাংলাদেশ আমার অহংকার এই শ্লোগান নিয়ে র‌্যাব প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই মাদক দ্রব্য উদ্ধারে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। দেশের যুব সমাজ তথা নতুন প্রজন্ম’কে মাদকের নীল দংশনের ছোবল হতে পরিত্রান এবং সমাজে মাদকের ভয়াল থাবার বিস্তার রোধকল্পে মাদক বিরোধী অভিযানে অন্যান্য আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি র‌্যাবও কঠোর অবস্থান নিয়ে আসছে এবং নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছে। সন্ত্রাস, চরমপন্থী ও ধর্মীয় জঙ্গিবাদ নির্মূলের পাশাপাশি মাদক বিরোধী অভিযানে র‌্যাব বলিষ্ঠ পদক্ষেপ রেখে চলেছে।

গোয়েন্দা ও নিয়মিত আভিযানিক কার্যক্রমের মাধ্যমে মাদকের চোরাচালান, চোরাকারবারী, চোরাচালানের রুট, মাদকস্পট, মাদকদ্রব্য মজুদকারী ও বাজারজাতকারীদের চিহ্নিত করে তাদের গ্রেফতারসহ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। র‌্যাব-২ সব সময়ই মাদকের বিরুদ্ধে বলিষ্ঠ অবদান রেখে চলেছে।

গতকাল  র‌্যাব-২ এর আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, রাজধানীর মতিঝিল থানাধীন দিলকুশা-০৭, সেকশন-সি-৪ সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিস (প্রাঃ লিঃ) এর সামনে পাকা রাস্তার উপর কতিপয় মাদক ব্যবসায়ী নিষিদ্ধ নেশা জাতীয় ট্যাবলেট (ইয়াবা) চালান ক্রয়/বিক্রয়ের জন্য অবস্থান করছে। প্রাপ্ত সংবাদের সত্যতা যাচাইয়ের নিমিত্তে র‌্যাবের আভিযানিক দল ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে র‌্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে দৌঁড়ে পালানোর চেষ্টাকালে আসামী ১। মোঃ রাকিব (২১), পিতা- মৃত রুস্তম আলী, সাং-আলমপোড়া, থানা- সোনারগাঁও, জেলা- নারায়ণগঞ্জ কে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত আসামীকে ইয়াবার চালান সংক্রান্ত জিজ্ঞাসাবাদে প্রথমে সে অস্বীকার করে। পরবর্তীতে ব্যাপক জিঞ্জাসাবাদে অভিনব পন্থায় লুকিয়ে রাখা ইয়াবা চালানের কথা স্বীকার করে। আসামীর নিজ দেহে বিশেষ কায়দায় পলিথিনের কাগজ দ্বারা কালো কসটেপের সাহায্যে মোড়ানো অবস্থায় লুকিয়ে রাখা ৯,৩৯০ (নয় হাজার তিনশত নব্বই) পিস (নিষিদ্ধ মাদক) ইয়াবা পাওয়া যায়। গ্রেফতারকৃত আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদে আরো জানায়, বর্তমান যুব সমাজে ইয়াবার ব্যাপক চাহিদা থাকায় চড়া দামে বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে সে কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, টেকনাফ সীমান্ত এলাকা হতে ইয়াবা সংগ্রহ করে আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে নিত্য নতুন কৌশল ব্যবহার করে (নিষিদ্ধ মাদক) ইয়াবা ট্যাবলেট রাজধানীসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলার মাদক ব্যবসায়ীদের কাছে সরবরাহ করে আসছে এবং ইতোপূর্বেও বেশ কয়েকটি ইয়াবার চালান সফলতার সহিত সরবরাহ করেছে বলে জানায়।

এছাড়াও গ্রেফতারকৃত আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য যাচাই বাছাই করে ভবিষ্যতেও এ ধরনের মাদক বিরোধী অভিযান অব্যাহত থাকবে।