আজ বৃহস্পতিবার, ২১শে ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৬ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

রমজান জুড়ে ইফতার পার্টি, ঈদের পরও ফলাফল শূন্য!

সংবাদচর্চা রিপোর্ট:
গত রমজান মাস জুড়ে নারায়ণগঞ্জ বিএনপি’র প্রত্যেকটি অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা ইফতার পার্টির আয়োজন করেছিলো। সে সময় তারা দলীয় নেত্রী বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে হুঙ্কার তুলেছিলো।

এমনকি কেন্দ্রীয় নেতাকর্মীরা পর্যন্ত তাদের ইফতার পার্টিতে এসেছিলো। ওই ইফতার পার্টিগুলোতে তারা বলেছিলো ঈদের পর নেত্রীর মুক্তির দাবিতে কঠোর আন্দোলন সংগ্রাম করা হবে। অনেকেই বলেছিলো, রমজান মাস জুড়ে তাদের ওইসকল ইফতার পার্টির ফলাফল দেখা যাবে ঈদের পর। তবে ইতিমধ্যে ঈদ শেষ হয়ে গেলেও এখনও পর্যন্ত তেমন কোন কার্যক্রম হাতে নিতে দেখা যায়নি নারায়ণগঞ্জ বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে। রমজান মাস জুড়ে নারায়ণগঞ্জ বিএনপির নেতাকর্মীদের ইফতার পার্টি ও আলোচনা সভা, ঈদের পরেও ফলাফল শূন্য। এমনটাই মনে করছেন জেলার রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

গত ১৭ মাসেও মুক্তি মেলেনি খালেদা জিয়ার। বর্তমান নেতৃত্বের ব্যর্থতা নিয়ে তাই কোন রাখঢাক না রেখেই সরব বিএনপির একাধিক নেতা। দলীয় প্রধানের মুক্তি ও দলকে বাঁচাতে অবিলম্বে যোগ্য নেতৃত্ব বাছাইয়ের তাগিদ দিচ্ছেন তারা। কেননা, ঈদের পূর্বেই কারামুক্ত হবেন খালেদা জিয়া। ঠিক এমনই ভাষ্য ছিলো বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাদের। তবে সেই আশায় গুড়েবালি। ঈদের পরেও মুক্তি মেলেনি তার। এ নিয়ে সাবেক তিনবারের প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার বেশ কয়েকবার কারাগারেই কাটাতে হলো মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদ উল ফিতর।

২০১৮ সালের ৮ই ফেব্রুয়ারি দুর্নীতির মামলায় দন্ডিত হয়ে কারাগারে যান বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া। তখন থেকেই দলটির আন্দোলনের মূল লক্ষ্য হয়ে দাঁড়ায় দলীয় প্রধানের মুক্তি। তবে, খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে বিএনপি যে কর্মসূচি পালন করছে সেটিকে যথেষ্ঠ ও কার্যকর মনে করছেন না জেলার সচেতন মহলের লোকজন।

অন্যদিকে নেতাকর্মীদের মতে, আন্দোলনে পরিবর্তন আনা উচিৎ এবং নেত্রীকে মুক্ত করার জন্য দুর্বার আন্দোলন প্রয়োজন, এটাই বাস্তবতা এবং এটা তৃণমূলের দাবি। হতে পারে অবরোধ, হতে পারে ধর্মঘট। এমন কার্যকর কর্মসূচি ছাড়া দেশনেত্রী মুক্ত হবে বলে সহযোগী সংগঠনগুলোও মনে করে না।

দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলতে না পারার জন্য সাংগঠনিক দুর্বলতাকেই দায়ী করছেন তৃণমূলের নেতারা। তাদের মতে, বিএনপি প্রস্তুত আছে, দলের মানসিক ও রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত আছে। কিন্তু মানসিক সিদ্ধান্ত কার্যকরি করার জন্য যে সাংগঠনিক সক্ষমতা প্রয়োজন, তার অভাব আছে।

বিএনপির তৃণমূল নেতাকর্মীদের মতে, ইফতার পার্টি আর আলোচন সভা, নেত্রীর মুক্তির দাবিতে কোন কাজে আসবে না। তার মুক্তির জন্য প্রয়োজন দুর্বার আন্দোলন। আর সেটাই করতে হবে নারায়ণগঞ্জ বিএনপি সকল অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের।