আজ শনিবার, ১৬ই ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১লা মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

রক্ষকদের ছত্রছাঁয়ায় স্বাধীনতা বিরোধীদের হুঙ্কার

সংবাদচর্চা রিপোর্টঃ
জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ সন্ত্রাস, মাদক, ঝুট সন্ত্রাস, ভূমি দস্যুদের বিরুদ্ধে জেহাদ ঘোষনা করেছেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গত সোমবার (১ এপ্রিল) রাতে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুবাস চন্দ্র সাহার নেতৃত্বে ফতুল্লার পাগলা এলাকায় অবস্থিত ভাসমান রেস্টুরেন্ট ও বার মেরিএন্ডারসনে জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) ও ফতুল্লা থানা পুলিশ মাদক বিরোধী যৌথ অভিযান চালিয়ে মেরিএন্ডারসনের স্টাফসহ মাদক সেবনরত অবস্থায় ৭০ জনকে গ্রেফতার করা হয়। অভিযান পরিচালনা করার সময় গ্রেফতারকৃতদের কাছ থেকে ৮১ কার্ন্টুন বিদেশি বিয়ার, ৪ কার্টুন বিদেশি মদ উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার করা হয়েছে মাদক বিক্রির ৪৮ হাজার ৯০ টাকা। অভিযান পরিচালনার সময় মেরিএন্ডারসনের জব্দকৃত অবৈধ মাদক জাতীয় দ্রব্য বিক্রি ও সবনের কাগজপত্র কিংবা পারমিট দেখাতে পারেনি আটককৃত ব্যক্তিরা।

জেলা পুলিশের একাধিক সূত্রে জানা যায়, মেরিএন্ডারসনে অভিযান পরিচালনাকালে গ্রেফতারকৃত আসামীদের ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা জানায়, উক্ত মেরিএন্ডারসন রেস্টুরেন্ট ও বারের মাকিল সঞ্জয় রায়। নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য শামীম ওসমানের শ্যালক ঐতিহ্যবাহী নারায়ণগঞ্জ ক্লাবের সাবেক সভাপতি তানভীর রহমান টিটুর সহযোগিতায় দীর্ঘদিন ধরে নারায়ণগঞ্জ ক্লাবসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে অবৈধভাবে মাদকদ্রব্য সংগ্রহ পূর্বক ফতুল্লার পাগলায় অবস্থিত বুড়িগঙ্গায় ভাসমান রেস্তোরাঁ ‘মেরিএন্ডারসন’ জাহাজে মাদক ব্যবসা পরিচালনা করে আসছিলেন।

এই ঘটনায় গত মঙ্গলবার জেলা গোয়েন্দা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) প্রকাশ চন্দ্র সরকার বাদী হয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা করেন। উক্ত মামলায় আটক ৭০ জনকে আসামী করা হয় বলে এজহার সূত্রে জানা যায়।

মামলার এজাহারে বলা হয়, আসামিরা জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন, বারের মালিক সঞ্জয় রায় জৈনক তানভীর আহাম্মদ টিটুর সহযোগিতায় নারায়ণগঞ্জ ক্লাব সহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে অবৈধ ভাবে দীর্ঘদিন ধরে মাদকদ্রব্য সংগ্রহ করে জাহাজে রেখে মাদক ব্যবসা করে আসছেন। এতে উঠতি বয়সের যুবসমাজ ধ্বংসের মুখে ধাবিত হচ্ছে।

মামলার এজহার সূত্রে আরো জানা যায়, মামলায় মেরিএন্ডারসন রেস্টুরেন্ট ও বারের মালিক সঞ্জয় রায় ও তানভীর আহাম্মদের নাম থাকলেও অজ্ঞাত কারনবশত আসামির তালিকায় তাঁদের নাম নেই।

অপর দিকে জেলা পুলিশ সুপারের হারুন অর রশিদের নির্দেশনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুবাস চন্দ্র সাহার নেতৃত্বে পাগলা মেরিএন্ডারসন রেস্টুরেন্ট ও বারের অভিযান পরিচালনা করে এবং মেরিএন্ডারসন রেস্টুরেন্ট ও বারের মালিক সঞ্জয় রায় নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য শামীম ওসমানের শ্যালক নারায়ণগঞ্জ ক্লাবের সাবেক সভাপতি তানভীর আহাম্মদ টিটুর সহায়তায় উক্ত মাদক ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে সংবাদটি নারায়ণগঞ্জের গণমাধ্যমে প্রকাশ পাওয়ার পর নারায়ণগঞ্জের সচেতন ও বোদ্ধামহলে ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে।

দৈনিক সংবাদচর্চা পত্রিকার সাথে আলাপচারিতায় একাধিক সচেতন নাগরিক নাম না প্রকাশ করে শর্তে বলেন, যেখানে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য এ.কে.এম শামীম ওসমান ও তার দল আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ তথা জিহাদ ঘোষনা করেছে সেখানে শামীম ওসমানের শ্যালক তানভীর আহাম্মদ টিটুর এই মাদক ব্যবসার সাথে সম্পৃক্ত থাকার বিষয়টি আমাদের হতবাক করেছে।

তবে এটাও সত্য যে, বাংলাদেশের মাদক ব্যবসার সাথে যেখানে বর্তমান সরকারের সাবেক সংসদ সদস্য বদির ব্যক্তিরা জড়িত থাকে সেখানে শমীম ওসমানের শ্যালক তানভীর আহাম্মদ টিটুর নামটি প্রকাশ পাওয়াটাও বেমানান নয়! তবে বরাবরের মতোই ক্ষমতাবান ও বৃত্তিশীলরা ধরা ছোঁয়ার বাহিরে রয়ে যায়।

এদিকে গত মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) সন্ধ্যায় নগরীর চানমারী এলাকায় নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির কার্যালয়ে খালেদ হায়দার খান কাজলের সভাপতিত্বে আসন্ন রমজান উপলক্ষে দোনন মালিক ও পরিবহন শ্রমিক মালিকদের আয়োজিত একটি সভায় ক্রীড়া সংগঠক তানভির আহম্মেদ টিটু ও কাউন্সিলর নাজমুল আলম সজলকে নিয়ে ষড়যন্ত্র বন্ধ করা না হলে বাস, ট্রাক, দোকানপাট বন্ধ করে দেয়ার আল্টিমেটাম দিয়েছে ব্যবসায়ীরা। ওই সময় চেম্বার সভাপতি খালেদ হায়দার খান কাজল ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়ে বলেন, এ সময়ের মধ্যে যদি ক্ষমা চাওয়া না হয় তাহলে সমস্ত দোকানপাট, বাস, ট্রাক সবকিছু বন্ধ করে দেয়া হবে। তিনি বলেন, তানভীর আহম্মেদ টিটু পরপর দুইবার চেম্বারের পরিচালক ছিলেন, একজন ভদ্র ছেলে হিসেবে তার সুনাম রয়েছে। অথচ তাকে ন্যাক্কারজনকভাবে মদ ব্যবসায়ী বানিয়ে দেয়া হচ্ছে। ভদ্রকে অভদ্র বানানো হচ্ছে।

তিনি আরো বলেন, সজল একজন জনপ্রিয় নেতা, তাকেও কিডন্যাপার বানানো হচ্ছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।

দৈনিক সংবাদচর্চার বিশেষ অনুসন্ধানে জানা যায়, খালেদ হায়দার খান কাজল হলেন, ১৯৭১ সালে তৎকালিন দখলদার পাকাস্তানি হানাদার বাহিনীর গঠিত নারায়ণগঞ্জ শান্তি কমিটির অন্যতম সদস্য গোলাম রাব্বানী খান এর ছেলে। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় হানাদার পাকিস্তানি বাহিনী তাঁদের সহায়তার জন্য অনেকগুলি ফ্রন্ট খুলেছিল যার মধ্যে অন্যতম ছিল শান্তিকমিটি। ওই শান্তিকমিটির নারায়ণগঞ্জের পরিচালক হিসেবে নিয়োজিত ছিলেন খালেদ হায়দার খান কাজলের মরহুম পিতা গোলাম রাব্বানী খান এবং নারায়ণগঞ্জের একাধিক গণমাধ্যমে খালেদ হায়দার খান কাজলকে স্বাধীনতা

বিরোধী পরিবারের সদস্য বলেই সনাক্ত করেছে। মুনতাসীর মামুনের শান্তিকমিটি ১৯৭১ নামক একটি বই আছে। সেই বইয়ের ২২৫ নং পৃষ্ঠার ৭৯নং অনুচ্ছেদে নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন শান্তিকমিটির শিরোনামের ৫ এ গোলাম রাব্বানী এর নাম উল্লেখ রয়েছে।

ইতিপূর্বে জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আবদুল কাদির এ বিষয়ে বলেছিলেন, জাতীয় ও আন্তজার্তিক পর্যায়ে শুটিং প্রতিযোগিতায় সাফল্যের ধারাবাহিকতা ধরে রেছেছে ঐতিহ্যবাহী নারায়ণগঞ্জ রাইফেল ক্লাব। নারায়ণগঞ্জ রাইফেল ক্লাব একটি সরকারী সংস্থা। কিন্তু সেই ক্লাবের গুরুত্বপূর্ণ একটি পদে দায়িত্ব পালন করছেন স্বাধীনতা বিরোধী পরিবারের সন্তান খালেদ হায়দার খান কাজল। তার পিতা গোলাম রব্বানী চাষাড়া ইউনিয়ন শান্তি কমিটির অন্যতম নেতা ছিলেন।

তিনি আরও বলেছিলেন, এই স্বাধীন বাংলাদেশে আমরা চাই যেন স্বাধীনতা বিরোধী পরিবারের সন্তান খালেদ হায়দার খান কাজলকে তার দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেয়া হয় অর্থ্যাৎ আমরা তার পদত্যাগ চাই। সেই সাথে স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তির কাউকে রাইফেল ক্লাবের কাজলের ওই গুরুত্বপূর্ণ পদটিতে যেন দায়িত্ব দেয়া হয়।

নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি খালেদ হায়দার খান কাজলের উপরোক্ত হুঙ্কারে আতংকিত নগরবাসী। নগরবাসীর মতে, খালেদ হায়দার খান কাজল একটি স্বাধীনতা বিরোধী পরিবারের সদস্য। সে কি করে নারায়ণগঞ্জ পুলিশ প্রশানকে ২৪ ঘন্টার আল্টিমেটাম প্রদান করেন। নারায়ণগঞ্জে যারা রক্ষাকর্তা হিসেবে নিয়োজিত রয়েছেন তাঁদের ছত্রছাঁয় থেকে স্বাধীনতা বিরোধীরা ধীরে ধীরে আমাদের সমাজে ঘ্রাস করছে। বর্তমান সরকর মহান স্বাধীনতার নেতৃত্ব প্রদানকারী দল। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ স্বাধীনতার পক্ষের দল।

অথচ সেই দলেরই কিছু কতিপয় সদস্যদের কারনে স্বাধীনতা বিরোধীরা পুনরায় মাথাচারা দিয়ে উঠছে। অথচ তারাই আবার বিভিন্ন স্টেজে রাজাকার, আলবদরদের বিরুদ্ধে কথা বলতে বলতে হাপিয়ে যাচ্ছে। খালেদ হায়দার খান কাজল কিংবা তাঁদের পরিবারের কোন সদস্যকি রাষ্ট্র তথা জাতির কাছে ক্ষমা চেয়েছে তার পিতার কর্মকান্ডের কারনে। যেহেতু তারা এখনো ক্ষমা চায়নি সেহেতু ধরে নেয়া যায় যে, খালেদ হায়দার খান কাজল ও তার পরিবারের সদস্যরা এখনো বিশ্বাস করেন নারায়ণগঞ্জের শান্তিকমিটির অন্যতম সক্রিয় সদস্য গোলাম রাব্বানী খান সঠিক ছিলেন?

রাজনৈতিক বোদ্ধা মহলের মতে, পাগলা এলাকায় অবস্থিত ভাসমান রেস্টুরেনট ও বার মেরিএন্ডারসনে জেলা পুলিশ যে অভিযান পরিচালনা করেছেন তার জন্য অবশ্যই তারা প্রশংসার পাওয়ার মতো কাজ করেছেন। উক্ত অভিযানে যে সকল ব্যক্তিদের আটক করা হয়েছে তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদে সংসদ সদস্য শামীম ওসমানের শ্যালক তানভির আহম্মেদ টিটুর সম্পৃক্ত থাকার বিষয়ে সামনে এসেছে।

অতএব এ রকম একটি বিষয়ে উপরে ভিত্তি করে নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি খালেদ হায়দার খান কাজল পুলিশ প্রশাসনকে ক্ষমা চাওয়ার জন্য ২৪ ঘন্টার আল্টিমেটাম দিয়েছেন সেটা গ্রহণ যোগ্য নয় এবং গ্রেফতাকৃত আসামীদের জিজ্ঞাসাবাদে শামীম ওসমানের শ্যালক তানভির আহম্মেদ টিটুর সম্পৃক্ত থাকার বিষয়ে সামনে এসেছে সেহেতু অবশ্যই তাঁকে পুলিশের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা খুবই প্রয়োজন। কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় যে, তাঁদের নাম শুধু প্রকাশই পেয়েছে, তাঁদের বিরুদ্ধে কোন মামলা কিংবা চলমান মামলায়ও আসামী করা হয়নি। বরাবরের মতো ক্ষমতাশীনদের কাছে আইনের রক্ষকরা দূর্বল হয়ে গেলো।

আইন সবার জন্য সমান কথাটা শুধু কাগজে কলমেই সিমাবদ্ধ। বর্তমানে বাংলাদেশে আইন প্রয়োগ হয় দু’ইটি প্রেক্ষাপটের উপর ভিত্তি করে যথা সাধারণ আম জনতা অপরটি হল ক্ষমতাবান ও বৃত্তশালীদের উপর ভিত্তি করে বা এই দুটি বিষয়কে নির্ণয় করে। যেখানে একজন সাধারণ মানুষ অপরাধ প্রবনতার সাথে সম্পৃক্ত হলে এবং সেই আপরাধের সংবাদটি আইন ও আইনের রক্ষকদের কাছে পৌছালে সেই সময় আইন তার যথা নিয়ম অনুসরন করে অপরাধীদের শাস্তি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বিচারিক আদালতের উপস্থাপন করে।

অপর দিকে একজন বৃত্তবান কিংবা ক্ষমতবান ব্যক্তি অন্যায় অপরাধের সাথে পরক্ষভাবে জড়িত থাকলে এবং সেই অপরাধের বিষয়ে ভূক্তভোগী মানুষ আইনের আশ্রয় নিতে চাইলে আইনের রক্ষকরা তখন সেই বিষয়টিকে মিমাংসা কিংবা অবজ্ঞা করে অপরাধীদের প্রশ্রয় দেয়। আর এই ভাবেই বাংলাদেশে আইনের শাসন কায়েম হচ্ছে বলে বর্তমান সরকারের একাধিক ব্যক্তি বিষয়টি নিশ্চিত করছে।

বিশিষ্টজনদের মতে, আইনের চোখে সবই সমান। আইনের ভাষায় অপরাধী শুধুই একজন অপরাধী। হোক সে সরকারি দলের লোক হোক সে রাস্তার ধারে ফুচকা বিক্রেতা। আইন কখনোই কোন বৈষম্য বা ভিবাজন সৃষ্টি করে না। তবে আইনে আপনাআপনি কখনো কাউকে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে সক্ষম নয়। যার কারনে আইনের শাসন কিংবা অপরাধীদের শাস্তি নিশ্চিত করার জন্য আইনের রক্ষক নিয়োজিত করা হয়েছে।

আইন কোন প্রকার বৈষম্য না করলেও আইনের রক্ষা কর্তা হিসেবে যারা নিয়োজিত রয়েছে তাঁদের মধ্যে থেকেই একটি মহল আইনের অপব্যবহার করে এবং প্রকৃত আপরাধীদের আইনের উর্ধ্বে রেখে বিচার বিশ্লেষণ করে যেমনটি মেধাবী ছাত্র তানভীর মোহাম্মদ ত্বকী হত্যাকান্ডের বিষয়ে নারায়ণগঞ্জবাসী লক্ষ করেছে, লক্ষ করেছে সাগর রুনী দম্পতির হত্যাকান্ডের বিষয়ে।

আলোচিত এ সকল হত্যাকান্ডের সাথে সম্পৃক্ত রয়েছে বৃত্তবান ও ক্ষমতাশীনরা যার কারনে বছরের পর বছর ধরে এ সকল হত্যাকান্ডের বিচার হচ্ছে না এবং এ সকল হত্যাকন্ডের সাথে সম্পৃক্ত প্রকৃত হত্যকারীরা এখনো প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে আর এগুলো সম্ভব হচ্ছে ওই সকল কথিত আইনের রক্ষকদের কারনে।