আজ মঙ্গলবার, ১৯শে ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৪ঠা মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

যানজটের মূল কারণ রিক্সা

# আমরা আরও বেশি সতর্ক থাকবো- এএসপি সালেহউদ্দিন

বিশেষ প্রতিবেদক

নারায়ণগঞ্জ শহরের অন্যতম প্রধান সমস্যা যানজট। কর্মব্যস্ত মানুষের পদচারণায় এমনিতেই সড়কে পা ফেলার সুযোগ থাকে না। তার উপর অতিরিক্ত রিক্সার চাপ। এতো সমস্যার মাঝে এখন মরার উপর খারার ঘাঁ হয়ে দাঁড়িয়েছে ব্যাটারি চালিত অটোরিক্সা। যদিও শহরে প্রবেশে পুরোপুরি নিষেধাজ্ঞা রয়েছে এই বাহনটির উপর। তারপরেও ট্রাফিক পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে প্রতিনিয়তই শহরমুখী হচ্ছে অসংখ্য অটোরিক্সা। সৃষ্টি হচ্ছে যানজট, ঘটছে ছোট-বড় দূর্ঘটনা আর দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে।

গতকাল সরেজমিনে শহরের প্রাণকেন্দ্র চাষাঢ়ায় দীর্ঘক্ষন অবস্থান নিয়ে দেখা গেছে শতশত অটোরিক্সার আনাগোনা। যদিও কর্তব্যরত ট্রাফিক পুলিশরা একের পর এক মামলা দিয়েই চলেছেন। তারপরেও থেমে নেই বরং ক্রমসই শহরের দিকে ঝুকছে অটোরিক্সা চালকগণ।

নগরবাসীর দাবি, চাষাঢ়ায় দায়িত্বরত ট্রাফিক পুলিশদের আরও বেশি সতর্ক হতে হবে। অন্যথায় এ সমস্যার সমাধান কখনোই হবে না। হাজারো যানবাহন নিয়ন্ত্রণ করার মধ্যে মাত্র কয়েকজন পুলিশের পক্ষে অটোরিক্সা আটকানো সহজ কাজ নয়। তারপরেও তারা প্রতিদিনই অটোরিক্সা ধরে ধরে মামলা দিয়ে যাচ্ছেন। তাদের মতে, লোকবল বাড়িয়ে পূর্বের ন্যয় আরও বেশি সতর্ক থাকলেই কেবল শহরের যানজট লাঘব করা সম্ভব।

এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশের সহকারি পুলিশ সুপার (ট্রাফিক) সালেহউদ্দিন আহম্মেদ সংবাদচর্চাকে জানান, আমরা প্রতিনিয়তই শহরমুখী অটোরিক্সা ধরে মামলা দিচ্ছি। কর্তব্যরত ট্রাফিক পুলিশরা সবসময়ই সতর্ক থাকেন। তারপরেও কিছু অটোরিক্সা চালক সুযোগে শহরে ঢুকে পরে।

নগরবাসীর দূর্ভোগ লাঘবে এর একটি স্থায়ী সমাধানের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি আরও বলেন, সড়কে দায়িত্বরত ট্রাফিক পুলিশ সবসময়ই মানুষের জন্য কাজ করে। তারপরেও পূর্বের চেয়ে আমরা আরও বেশি সতর্ক থাকবো। যাতে করে নগরবাসীকে সড়কে চলাচল করতে কিছুটা স্বস্তি দেয়া যায়।