আজ বৃহস্পতিবার, ৬ই চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২০শে মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

যানজট নিরসনে সেচ্ছাসেবী

নিজস্ব প্রতিবেদক

কাদিয়ানীদের অমুসলিম ঘোষণার দাবীতে আয়োজিত মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে প্রশাসনিক নির্বাপত্তা ব্যবস্থার পাশপাশি ছিল বিপুল পরিমান সেচ্ছাসেবী টিম। বেলা ১টার আগে থেকেই ধীরে ধীরে নারায়ণগঞ্জ শহরের গুরুত্বপূর্ন পয়েন্টে অবস্থান নিতে শুরু করেন তারা। শুধুমাত্র চাষাঢ়া মোড়েই লক্ষ করা যায় অর্ধশতাধিক সেচ্ছাসেবীর সরব উপস্থিতি।

শনিবার (০১ ফেব্রুয়ারি) আয়োজিত এই সমাবেশ শুরু হয় বেলা আড়াইটা থেকে। ধর্মীয় নেতাদের এই সম্মেলনকে ঘিরে প্রায় ৩ লাখ লোকের সমাগম হয় পুরো নারায়ণগঞ্জ শহর জুড়ে। সমাবেশস্থল থেকে লোকসমাগম জামতলা থেকে চাষাঢ়া ও পঞ্চবটি সংযোগ সড়ক পর্যন্ত বিস্তৃত হয়।

সরজমিনে দেখা যায়, শহরের চাষাঢ়া গোলচত্বর, শহীদ মিনার, ঢাকা নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডের প্রবেশ মুখ সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ন পয়েন্টে অবস্থান নেয় সংগঠনটির তরুন কর্মীরা। এসময় জেলার বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আগত মিছিলগুলোকে নির্বিঘ্নে চলাচলের ব্যবস্থা করে দেয়া এবং গাড়ী চলাচলের স্থান দ্রুত সম্প্রসারণের ব্যবস্থা করে দিচ্ছিলেন তারা। এর আগেও চাষাঢ়া কিংবা ঈদগাহ এলাকায় বিভিন্ন রাজনৈতিক সমাবেশকে ঘিরে লোকসমাগম হলেও তাদেরকে সাধারণ মানুষের চলাফেরার কথা চিন্তা করতে দেখা যায়নি। যার ফলে পুরো নারায়ণগঞ্জ শহর স্তব্ধ করে চলতো তাদের সমাবেশ। সেদিক থেকে অনেকটাই ভিন্ন রূপে আবির্ভুত হন সেচ্ছাসেবকরা।

এ ব্যপারে সংবাদচর্চা প্রতিবেদকের সাথে আলাপচারিতায় এক সেচ্ছাসেবক বলেন, আমরা মহাসমাবেশ করছি আল্লাহ ও তার রাসুলকে অবমাননকারীদের বিরুদ্ধে। তাদের কোনভাবেই ইসলামে অন্তর্ভুক্তি ধর্মপ্রান মুসুল্লিরা মেনে নিবে না। আর সেই লক্ষে আমরা একত্রিত হয়েছি। কিন্তু এর ফলে যাতে সাধারণ মানুষরা ভোগান্তির শিকার না হয় সেজন্য আমাদের হুজুররা এই নির্দেশ দিয়েছেন।

শুধু তাই নয়, বেলা সোয়া ৪টা নাগাদ আছর নামাজের ওয়াক্তে মুসুল্লিরা নামাজে দাঁড়িয়ে গেলেও পাশে সাধারণ মানুষের চলাফেরার জন্য যথেষ্ট স্থান ছেড়ে দিয়েছিলেন তারা। সাধারণ মানুষের যাতায়াতের কথা চিন্তা করে আয়োজকদের এমন উদ্যোগ স্বাভাবিকভাবেই স্বাগত জানিয়েছেন সাধারণ পথচারীরা।

এসএএইচ/এসএএইচ