সোনারগাঁ প্রতিনিধি : নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের পিরোজপুর ইউনিয়ন। গ্রামের নাম রতন পুর। একই বাড়ি। পাশাপাশি ঘরের দুজন। সম্পর্কে চাচা ও ভাতিজা। মোখলেছ ও আলমগীর। একজন সভাপতি অন্যজন সাধারন সম্পাদক। সংগঠনের ক্ষেত্রে শুধু বাংলাদেশ নয় পৃথিবীর ইতিহাসে পারিবারিক কমিটির এক নজিরবিহীন ঘটনা। চাচা ভাতিজার আধিপত্যে মেয়াদোর্ত্তীণ কমিটি দিয়েই চলছে সোনারগাঁ উপজেলা শ্রমিকলীগ।
নারায়ণগঞ্জ জেলার শিল্পাঞ্চলখ্যাত সোনারগাঁয়ের শ্রমিকলীগের এ কমিটিকে সবাই পকেট কমিটি হিসেবেই চিনে। সংগঠনের মূল উদ্যেশ্য যেখানে নেতৃত্বের প্রসার সেখানের বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের ভ্রাত্যুস সংগঠণ জাতীয় শ্রমিকলীগে কিভাবে একই পরিবারের দু’জন কমিটির সর্বোচ্চ পদে অধিষ্ঠিত থাকে এটা কারো বোধগম্য নয়। এ নিয়ে সোনারগাঁয়ে চলছে নানা জল্পনা কল্পনা। সগরম ফেসবুক। এ ব্যাপারে সোনারগাঁ উপজেলা শ্রমিকলীগের সাধারন সম্পাদক আলমগীর জানান, চাচা-ভাতিজাকে কেন সভাপতি, সেক্রেটারী দিলো শুক্কুর মাহামুদকে জিজ্ঞেস করেন। পরে জাতীয় শ্রমিকলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি আলহাজ শুক্কুর মাহামুদকে মুঠো ফোনে কল দিলে তিনি ফোন উঠাননি।
এ দিকে মোখলেছ ও আলমগীরের বিরুদ্ধেও রয়েছে চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, অন্যের জমি দখল ও দলিল জালিয়াতির নানা অভিযোগ। অনেকের ধারনা চাল-চুলাহীন মোখলেছ ও আলমগীর শ্রমিকলীগের নাম ব্যবহার করে কোটি কোটি অবৈধ টাকার পাহাড় গড়েছেন। প্রায় কয়েক কোটি টাকা ব্যায়ে আলমগীর ও তার দলিল জাতিয়াতির সহযোগী জসীম মিয়া মোগরাপাড়া চৌরাস্তায় রেড চিলি নামে একটি চাইনিজ রেস্টুরেন্ট করছেন।
অভিযোগ আছে কেন্দ্রীয় কমিটিকে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে তারা নিজেদের নামে কমিটির এনেছিলেন। মহান স্বাধীনতা দিবস ও অভিষেক অনুষ্ঠান-২০১৮ উপলক্ষে জাতীয় শ্রমিকলীগ কর্র্তক প্রকাশিত স্মরনিকায় দেখা যায় মোখলেছ এর আধিপত্য। সেখানে সে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, শিল্পমন্ত্রী, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বাণীর পূর্বে সম্পাদকীয় লিখে এবং স্মরনীকায় নিজের সেলফি প্রকাশ করে নানা বিতর্কে বিতর্কিত হয়েও টাকার জোড়ে বহাল তবিয়তে আছেন।