সংবাদচর্চা রিপোর্ট:
ঘটনার শুরু মুরগি নিয়ে। কে বা কারা মুরগি মেরে ফেলেছে এ নিয়ে প্রথমে তর্ক। এরপর দুইপক্ষের মধ্যে মারামারির পর রুজু হয় মামলা। কোমড়ে রশি বাঁধা পর্যন্ত আপাতত এ ঘটনার সমাপ্তি মনে হলেও আরও দূর গড়াবে তা। প্রশ্ন উঠেছে, সামান্য বিষয়ে কথা কাটাকাটি থেকে ঝগড়ায় জড়িয়ে পরা কবে থামাবে মানুষ। তারা কি বুঝে না এ ছোট্ট ভুলের মাশুল কতটা দিতে হয়।
বন্দর উপজেলার কলাগাছিয়া ইউনিয়নের শুভকরদী এলাকার মৃত সাহাবুদ্দিন মিয়ার ছেলে মনির হোসেনদের সাথে একই এলাকার প্রতিবেশী গিয়াস উদ্দিন মিয়ার স্ত্রী র্মোশেদা বেগম ও তার ২ ছেলে জসিম ও রিয়াদের সাথে দীর্ঘ দিন ধরে বিরোধ চলছিল। এ নিয়ে আদালতে বিবাদী র্মোশেদা বেগমদের বিরুদ্ধে মামলা চলমান রয়েছে।
এর ধারাবাহিকতায় রোববার সকালে বন্দর উপজেলার কলাগাছিয়া ইউনিয়নের শুভকরদী এলাকার গিয়াস উদ্দিন মিয়ার স্ত্রী র্মোশেদা বেগমের মুরগী কে বা কারা হত্যা করে বাড়ির সামনে ফেলে রাখে।
এ নিয়ে প্রতিবেশী মনির হোসেনের ছোট ভাইয়ের স্ত্রী সামছুননাহার বেগমের সাথে র্মোশেদা বেগমের কথা কাটাকাটি হয়। ওই দিন সন্ধ্যায় দুই পক্ষের মধ্যে তুমুল মারামারি হয়। এক পর্যায়ে মোর্শেদা বেগম আহত হলে তার ভাসুর মনির হোসেন বাদী হয়ে বন্দর থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা শহিদুল আলমসহ সঙ্গীয় ফোর্স ওই রাতে শুভকরদী এলাকায় অভিযান চালিয়ে মামলার দুই আসামী জসিম ও রিয়াদকে গ্রেপ্তার করে।