সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
বিএনপির মহাসচিব মীর্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে ‘তওবা’ করে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইতে বলেছেন আওয়ামীলীগের প্রভাবশালী এমপি শামীম ওসমান। তিনি বলেছেন, ‘ফখরুল সাহেব তার নেত্রী খালেদা জিয়াকে মুক্তি দাবী করে বলেছেন খালেদাই নাকি সকলকে রক্ষা করার মালিক’। যারা দিনের বেলায় বিপ্লবী হন আর রাতের বেলায় আপোষকারী হয়ে যান তাদের মত মানুষের মুখেই এমন খোদা বিরোধী কথা সাজে। গতকাল সিদ্ধিরগঞ্জের মঙ্গলবার বিকালে সিদ্ধিরগঞ্জের ৩নং ওয়ার্ডের নয়াআটি মুক্তিনগর বটতলায় স্থানীয় আওয়ামীলীগের উদ্যোগে আয়োজিত এক কর্মী সভায় শামীম ওসমান এসব কথা বলেন।
শামীম ওসমান বলেন, পবিত্র আল কোরআনের সূরা তাওবা’র ১২৯নম্বর আয়াতে স্পষ্ট বলা হয়েছে আল্লাহই আমার জন্য যথেষ্ঠ, তিনি ছাড়া আর কোন সত্য মা’বুদ নেই, আমি তাঁর উপরই ভরসা করি। অথচ মীর্জা ফখরুল বলছেন খালেদাই সকলকে রক্ষা করার মালিক। এই বক্তব্য মোনফেকীর সামিল এবং জাহান্নামের সবচেয়ে নিচের স্তুরে হবে মোনাফেকের অবস্থান। তাই মীর্জা ফখরুল ইসলামকে বলবো আপনি আল্লাহর কাছে তওবা করে মাফ চান।
শামীম ওসমান আরো বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনাকে ভয় দেখিয়ে লাভ নেই। কারণ, তিনি আল্লাহ ভীরু মানুষ। শেখ হাসিনা এক আল্লাহর উপর ভরসা করেই চলেন। তিনি এবং বাংলাদেশের মানুষকে রক্ষা করার মালিক একমাত্র আল্লাহ, আগুন নেত্রী খালেদা জিয়া না। যারা অবশ্য মঞ্চে গায়েবী চেয়ার রাখে তারা এমন মোনফেকী কথাবর্তা বলতেই পারে।
৩নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি মোঃ খোরশেদ আলমের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিদ্ধিরগঞ্জ থান আওয়ামীলীগের সভাপতি মজিবর রহমান, সাধারণ সম্পাদক হাজী ইয়াছিন মিয়া, জেলা ছাত্রলীগে সাবেক সভাপতি এহসানুল হক নিপু, নাসিক প্যানেল মেয়র মতিউর রহমান মতি, আওয়ামীলীগ নেতা মাহবুব হোসেন, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক ক্রীড়া সম্পাদক কাউন্সিলর আরিফুল হক হাসান, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক কাউন্সিলর শাহজালাল বাদল, কাউন্সিলর ওমর ফারুক, আদমজী আঞ্চলিক শ্রমিকলীগের সভাপতি আব্দুস সামাদ বেপারী প্রমুখ।
শামীম ওসমান বলেন, বিএনপি-জামায়াত হত্যার রাজনীতি করে। তারা ক্ষমতায় যাওয়ার লোভে আগুনে পুড়িয়ে ৯৪ জন নিরিহ মানুষকে হত্যা করেছে। তারা বোবা প্রাণী গরু পুড়িয়ে মেরেছে। শামীম ওসমান আরো বলেন, নৌকা মার্কায় কেন ভোট চাইতে হবে? আপনাদের কি বিবেক-বুদ্ধি নাই? ১৯৯৬ থেকে ২০০১ পর্যন্ত ২৬’শ কোটি টাকার কাজ করেছিলাম। এইবার ক্ষমতায় আসার পর ৭ হাজার ৪’শ কোটি টাকার কাজ করেছি। এতো টাকার কাজ করার পরেও কি আপনাদের কাছে ভোট চাইতে হবে?।