মানবাধিকার সংগঠন এ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বলছে, মিয়ানমারে নিরাপত্তা বাহিনী বাংলাদেশ সীমান্ত বরাবর নিষিদ্ধ এ্যান্টি-পার্সোনেল মাইন পেতে রেখেছে বলে তারা প্রমাণ পেয়েছে।
এ ধরণের মাইন যুদ্ধক্ষেত্রে শুধুমাত্র মানুষ নিধনের জন্য ব্যবহৃত হয়, যা ট্যাংক-বিধ্বংসী মাইন থেকে আলাদা। মাানুষের পায়ের চাপ পড়লেই মাটিতে পেতে রাখা এ মাইন বিস্ফোরিত হয়।বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত দিয়ে এখন প্রতিদিন হাজার হাজার রোহিঙ্গা মুসলিম বাংলাদেশে পালিয়ে আসছে।
দু সপ্তাহ আগে সীমান্তসংলগ্ন রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদেরে বিরুদ্ধে নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযান ও সহিংসতা শুরু হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত অন্তত ২ লাখ ৭০ হাজার লোক বাংলাদেশে এসেছে বলে জাতিসংঘের সংস্থাগুলো বলছে।
এ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল আরো বলেছে, মিয়ানমার সীমান্তে পেতে রাখা মাইন বিস্ফোরিত হয়ে গত সপ্তাহে কমপক্ষে তিন জন বেসামরিক লোক আহত হয়েছে, এবং একজন লোক নিহত হওয়ারও খবর পাওয়া গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা এই মানবাধিকার সংস্থাটিকে বলেছে, মিয়ানমারের সৈন্যরা যে মাইন পাতছে – সে দৃশ্যও তারা দেখেছে।
অটোয়া চুক্তি নামে ১৯৯৭ সালে গৃহীত এক আন্তর্জাতিক চুক্তিতে এ্যান্টি-পার্সোনেল মাইন নিষিদ্ধ করা হয় – যদিও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, চীন, ভারত ও পাকিস্তান সহ বেশ কিছু দেশ এতে স্বাক্ষর করে নি।