আইনের আওতায় আনা দরকার- শিখন সরকার শিপন
কোনো ছাড় নেই, কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে- ওসি আসলাম
সংবাদচর্চা রিপোর্ট
ফতুল্লার মাসদাইর গোরস্থান এলাকার অল্পদূরে মহা শ্মশান এর সামনে দিনের বেলায় ছিনতাই বেড়ে গেছে। প্রতিদিন এখানে ছিনতাই করে চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা। ছিনতাই চক্রের সদস্যরা হলো মাসদাইর পাকা পুল এলাকার হাওয়া ছেলে লিংকন, ভোলাইলের চিল্লা সুমন, গাবতলী ও পশ্চিম ইসদাইরের সেলিম, রবিউল ও রাজা, শিবু মার্কেটের শিবলু, মাসদাইর গোরস্থান এলাকার জন্টু, রাকিব। এরা দিনে ছিনতাই করে আর রাতে মাদক বিক্রি করে বলে স্থানীয়রা জানান।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দিন ভর ১০ থেকে ১২ জন ছেলেকে পুরো শ্মসানজুড়ে অবস্থান করতে দেখা যায়। সড়কে ফাঁকে ফাঁকে ওরা ছিনতাই করে পরে শ্মশাসের ভিতর চলে যায়। সেখানে মাদক বিক্রি ও মাদক সেবন করে। জানা যায়, এরা বেশির ভাগ মুসলিম পরিবারের সন্তান হওয়া সত্ত্বেও সবসময়ই শ্মশানের ভিতরে আড্ডা দেয়। অচেনা কোন মানুষ দেখলে তারা ছিনিয়ে নেয় মোবাইল ও টাকা-পয়সা। এছাড়া একসঙ্গে কোন ছেলে-মেয়ে দেখলেই তাদেরকে আটক করে সাথে থাকা টাকা পয়সা ও মোবাইল নেয় পরে পরিবারের কাছ থেকে বিকাশের মাধ্যমে টাকা দাবি করে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকেই জানান জন্টু, সেলিম, রবিউল ও রাজার কাছে থাকে সব রকমের মাদক পাওয়া যায়। তাদের সরাসরি দেখা না মিললেও সহযোগিদের কাছে টাকা দিলে পাওয়া যায় মাদক।
এ বিষয়ে ফতুল্লা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম হোসেন দৈনিক সংবাদচর্চাকে জানান, আমাদের মাদকের বিরোধী অভিযান অব্যহত আছে। এ বিষয়ে কোন ছাড় নেই। তবে শ্মশানের মত জায়গায় কেউ যদি ছিনতাই বা মাদক ব্যবসা করে আমরা তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিবো। আমি ডিউটি অফিসার সহ সবাইকে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য বলে দিচ্ছি।
এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা পুজা উদযাপন কমিটির সাধারন সম্পাদক শিখন সরকার শিপন প্রতিবেদকে বলেন, আমি আগে কখনো এমন কথা শুনি নাই, আপনার কাছ থেকে শুনলাম। তবে আমরা আইনকে সম্মান করি। যারা শ্মশানের মত জায়গায় এসব ধরনের অপরাধ করে তাদের আইনের আওতায় আনা দরকার। আমরা শ্মশান কমিটিকে বলে দিবো এমন কিছু তাদের চোখে পরলে তারা যেনো তাদের ধরে পুলিশে ধরিয়ে দেয়।