নিজস্ব প্রতিনিধি: নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সভাপতি আবুল কালামের অনুগামী হওয়া মহানগর যুবদলের নেতারা অবশেষে আর মাঠে নামেনি। টানা দুইদিন দুটি কর্মসূচীর একটিতে দেখা গেছে এসি রুমে। আর সবশেষ ২৯ অক্টোবর রোববার দেখা মেলেনি মিছিলেও।
এর আগে ২৮ অক্টোবর বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া কক্সবাজার যাওয়ার পথে ফেনীতে গাড়ি বহর হামলার শিকার হয়।
ওই হামলার প্রতিবাদে ২৯ অক্টোবর রোববার সারাদেশে যুবদল বিক্ষোভ ডাকে। এদিন বিকেলে মহানগর যুবদলের আহবায়ক মাকছুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ ও তার লোকজন শহরে বিক্ষোভ করে। তবে মাঠে নামেনি ইতোমধ্যে কালামের এসি ঘরে কেক কাটা নেতারা।
২৫ অক্টোবর বুধবার মহানগর বিএনপি যখন বিক্ষোভ করতে গিয়ে চাষাঢ়ায় প্রেস ক্লাবের সামনে নেতারা পুলিশের লাঠিচার্জের সম্মুখীন তখন মহানগর কমিটির সভাপতি আবুল কালাম ছিলেন তার অফিসে এসি রুমে।
নেতাকর্মীরা বলছেন, নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের নেতারা যখন ঐক্যবদ্ধ তখন মহানগর যুবদলের রাজনীতিতে ফাটল ধরানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। মহানগর যুবদলের নেতাকর্মীরা যুবদলের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে বন্দর এলাকায় যখন পুলিশের অস্ত্রের সামনে ধস্তাধস্তি করছেন র্যালি বের করে তখন মহানগর যুবদলের ব্যানারে আবুল কালামের এসি রুমের ‘ল’ চেম্বারে কেক কেটে যুবদলের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন করেছেন। যেখানে মহানগর যুবদলের একজন মাত্র যুগ্ম আহ্বায়ক উপস্থিত ছিলেন।
একই অবস্থা ছিল রোববার। এদিন খোরশেদ ও তার লোকজন মাঠে নামলেও ছিল না কালামের এসি ঘরে কেক কাটা সরকার আলম ও মনোয়ার হোসেন শোখন, আনোয়ার হোসেন আনু সহ অন্যরা।
মহানগর যুবদলের কমিটি হওয়ার পর বিরোধীতা করা সরকার আলমকেও দেখা গেছে। যদিও ওইসময় সরকার আলমকে সান্তনা স্বরূপ মহানগর যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক পদে কো-অপ্ট করে রাখা হয়েছিল বলে জানিয়েছিল।
নারায়ণগঞ্জে মহানগর যুবদলকে নেতৃত্ব নিয়ে সুসংগঠিত করছেন কাউন্সিলর খোরশেদ। গত ফেব্র্রয়ারি মাসে মহানগর বিএনপির কমিটি গঠন করা হয়। ওই কমিটিতে খোরশেদকে যুগ্ম সম্পাদক পদে রাখা হয়। ওই কমিটিতে নিষ্ক্রিয় নেতাদের দ্বারা গঠিত হওয়ার কারনে রাজপথের নেতাকর্মীরা কমিটিতে প্রত্যাখান করেন। এরপর খোরশেদ যুগ্ম সম্পাদক পদ প্রত্যাহার করে নেন। এতে মহানগর বিএনপির শীর্ষ দুই নেতা আবুল কালাম ও এটিএম কামাল খোরশেদের প্রতি ক্ষুব্দ হয়। তারপর থেকেই মহানগর ছাত্রদলের আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম সকলকে দিয়ে মহানগর যুবদলের কমিটি ভাগিয়ে আনার চেষ্টা করেন তারা। ওই চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে তারা এখন মহানগর যুবদলের রাজনীতিতে বিরোধ বিভক্তি সৃষ্টির চেষ্টা করছেন বলে কর্মীদের অভিযোগ।