আজ শুক্রবার, ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের ১৪৫ তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত

মাইকেল দত্তের ১৪৫ তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত

মাইকেল দত্তের ১৪৫ তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত

নবকুমার:

বাংলা সনেটের প্রবর্তক আধুনিক বাংলা সাহিত্যের রূপকার মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের ১৪৫তম মৃত্যুবার্ষিকী যথাযোগ্য মর্যাদায় সারা দেশে পালিত হচ্ছে। কবির মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন সমূহ বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নিয়েছে কর্মসূচির মধ্যে ছিলো আলোচনা সভা,বিশেষ প্রার্থনা।

মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্ত ১৮২৪ খ্রিষ্টাব্দের ২৫ জানুয়ারি যশোরের সাগরদাঁড়ি গ্রামে জমিদার পিতা রাজনারায়ণ দত্ত ও মাতা জাহ্নবী দেবীর কোল আলোকিত করে সোনার চামচ মুখে নিয়ে তিনি জন্ম নিয়েছিলেন।

প্রাকৃতিক অপূর্ব লীলাভূমি, পাখি ডাকা, ছায়া ঢাকা, শস্য সম্ভারে সমৃদ্ধ সাগরদাঁড়ি গ্রাম আর বাড়ির পাশে বয়ে চলা স্রোতস্বিনী কপোতাক্ষের সাথে মিলেমিশে শিশু মধুসূদন ধীরে ধীরে শৈশব থেকে কৈশোর এবং কৈশোর থেকে পরিণত যুবক হয়ে উঠেন। কপোতাক্ষ নদ আর মধুসূদনের দু’জনার মধ্যে গড়ে উঠে ভালবাসার এক অবিচ্ছেদ্য বন্ধন।

মধুকবি যখন জন্মগ্রহণ করেন সে সময়ে আজকের এই মৃত প্রায় কপোতাক্ষ নদ কাকের কালো চোখের মত স্বচ্ছ জলের জোয়ার-ভাটায় ছিল পূর্ণযৌবনা। নদের প্রশস্ত বুক চিরে ভেসে যেত পাল তোলা সারি সারি নৌকার বহর আর মাঝির কণ্ঠে শোনা যেত হরেক রকম প্রাণ উজাড় করা ভাটিয়ালী গান। শিশু মধুসূদন এ সব অপলক দৃষ্টিতে চেয়ে চেয়ে দেখত আর মুগ্ধ হয়ে যেত। স্রোতস্বিনী কপোতাক্ষের অবিশ্রান্ত ধারায় বয়ে চলা জলকে মায়ের দুধের সাথে তুলনা করে তাই কবি সুদূর ভার্সাই নগরে বসে রচনা করলেন বিখ্যাত সনেট কবিতা ‘কপোতাক্ষ নদ’। তিনি লিখলেন- ‘সতত হে নদ তুমি পড় মোর মনে, সতত তোমারি কথা ভাবি এ বিরলে’।

মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্ত ১৮৭৩ সালের ২৯ জুন কলকাতার এক হাসপাতালে মাত্র ৪৯ বছর বয়সে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে কবির জন্মস্থান সাগরদাঁড়িতেও তাঁর ১৪৫তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হচ্ছে।