নারায়ণগঞ্জ ১ আসনের সংসদ সদস্য বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বীর প্রতীককে উদ্দেশ করে নাসিক মেয়র ডা: সেলিনা হায়াত আইভী বলেছেন, ‘অনেক ব্যবসায়ী আছেন যারা পরিচ্ছন্ন রাজনীতি করতে পছন্দ করেন, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে অবস্থান নেন। তারা কিন্তু আপনাকে অসম্ভব পছন্দ করেন। আপনি শুধু রূপগঞ্জের মন্ত্রী না, সারা নারায়ণগঞ্জের। মাঝে মাঝে সদরের কথা ভুলে যান এবং অধিকাংশ সময় রূপগঞ্জে কাটান। আপনাকে অনুরোধ করবো, আপনাকে কারণে অকারণে নারায়ণগঞ্জ সদরে আসতে হবে। আলাপ আলোচনা করতে হবে। কারণ একটি জেলা থেকে যখন কেউ মন্ত্রী হয় তার কাছে মানুষের অনেক বেশি প্রত্যাশা থাকে। অনেক কিছু বলতে চায়। কাজ হোক বা না হোক।’
বুধবার (১৩ নভেম্বর) দুপুর ১টায় নগরীর নিতাইগঞ্জ এলাকায় যমুনা ব্যাংকের নতুন শাখা উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘নারায়ণগঞ্জবাসী সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। আমরা বিগত ৪০ বছরের রামরাজত্ব থেকে বের হয়ে এসে মানুষের কাতারে যাচ্ছি। সেই জন্য আপনাকে আমাদের অসম্ভবভাবে প্রয়োজন। সেই প্রয়োজন অনুভব করছি এই কারণে, দীর্ঘ ১৬ বছর যাবৎ আমি এই শহরের মানুষের জন্য লড়াই করে যাচ্ছি। আপনাকে পাশে চাই।’ আইভীর অনুরোধের প্রেক্ষিতে গোলাম দস্তগীর গাজী জানান, আমি সময় পেলেই শহরে আসব। ব্যবসায়ীদের যে কোন সমস্যায় পাশে থাকব। নারায়ণগঞ্জের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছি ভবিষ্যতে আরো করব।
তিনি আরো বলেন, ‘নারায়ণগঞ্জ ছোট্ট একটি শহর। এই ছোট্ট শহরের মধ্যে ৬০ থেকে ৭০টি ব্যাংক। এই নিতাইগঞ্জ ও টানবাজারেই প্রচুর পরিমাণ ব্যাংক। আমি ভাবলাম এত টাকা, কোথায় যায়! খোঁজ নিয়ে জানতে পারলাম প্রতিদিন নারায়ণগঞ্জে ৩০০ কোটির টাকার উপরে লেনদেন হয়। সরকার বিশাল পরিমাণ একটি রাজস্ব এখান থেকে পাচ্ছে। চট্টগ্রামের পরই নারায়ণগঞ্জের অবস্থান। তবে নেই তুলনায় নারায়ণগঞ্জের ডেভলপমেন্ট নেই। আমি আমার একাউন্ট অফিসারকে বলেছি, প্রথমেই যেন আমাদের একটি একাউন্ট এখানে খোলা হয়। সবাই জানেন আমরা ওয়াসার পানি সাপ্লাই নিজেরা নিয়ে নিয়েছি। সেই সাপ্লাইয়ের মাদার একাউন্টটা যমুনা ব্যাংকের এই শাখার মধ্য দিয়ে শুরু করতে চাচ্ছি।’
যমুনা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মির্জা ইলিয়াছ উদ্দিনের সভাপতিত্বে এ সময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন, যমুনা ব্যাংক ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ, ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার মনিরুল ইসলাম, জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি আব্দুল কাদির, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুবাস চন্দ্র সাহা অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগ নেতা আলহাজ্ব হাবিবুর রহমান হাবিব, দৈনিক সংবাদচর্চার সম্পাদক ও প্রকাশক মো: মুন্না খাঁন প্রমুখ।