নবকুমার:
নানা জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে দীর্ঘ ২২ বছর পর রূপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতৃত্বের পরিবর্তন হয়েছে। কাউন্সিলের মাধ্যমে সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন নারায়ণগঞ্জ ১ আসনের সংসদ সদস্য বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বীর প্রতীক। সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন রূপগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান শাহজাহান ভূইয়া। মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) সকালে মুড়াপাড়া রূপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সম্মেলন শুরু হয়। সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হাই,সাধারণ সম্পাদক আবুল হাসনাত শহীদ বাদল, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু জাফর চৌধুরী বিরু,তারাব পৌর মেয়র হাছিনা গাজী সহ রূপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সকল সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
জানা গেছে রূপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রত্যেকটা নেতাকর্মীর স্বতস্ফৃর্ত সমর্থনে গোলাম দস্তগীর গাজী বীর প্রতীক সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন।
এদিকে গোলাম দস্তগীর গাজী কে রূপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত করা সারা রূপগঞ্জে আনন্দের জোয়ার বইছে। সকল শ্রেনী পেশার মানুষ তাকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছে। গোলাম দস্তগীর গাজীর নেতৃত্বে রূপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ শক্তিশালী থেকে আরো বেশি শক্তিশালী হবে বলে মনে করছে তৃণমূল নেতাকর্মীরা।
প্রসঙ্গত গোলাম দস্তগীর গাজী ২০০১ সাল থেকে রূপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগকে আগলে রেখেছেন। বিএনপি জামায়াতের হায়রানির শিকার হয়েছেন। ওয়ান ইলেভেনের সময় শেখ হাসিনা মুক্তির জন্য সারা রূপগঞ্জে আন্দোলন করে কাপিয়ে তুলেছেন। তারাব বিশ্ব রোড অবরোধ করে পুলিশের গুলি খেয়েছিলেন। ২০০১ সাল থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত বিএনপির নেতাকর্মীদের হয়রানীর শিকার হয়েছেন তবুও গোলাম দস্তগীর গাজী কর্মীদের রেখে কোন দিন মাঠ ছেড়ে যান নাই। ফখরুদ্দিন মইনুদ্দিনের সরকার গোলাম দস্তগীর গাজী কে দিয়ে শেখ হাসিনার নামে মিথ্যা মামলা দেয়ার জন্য অমানবিক নির্যাতন করেছিলো। তখন গোলাম দস্তগীর গাজী প্রশাসনকে বলেছিলো আমি বঙ্গবন্ধুর ডাকে যুদ্ধ করেছি। আমি একজন মুক্তিযোদ্ধা হয়ে শেখ হাসিনার নামে মিথ্যা মামলা দিতে পারব না। তোমরা আমাকে হত্যা কর তবু আমি বঙ্গবন্ধুর কন্যার নামে মামলা দেব না। গোলাম দস্তগীর গাজীর সেই অমর বাণী ভুলে নাই আওয়ামীলীগের হাই কমান্ড। ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ ১ আসনে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা মাঠের নেতা গোলাম দস্তগীর গাজীকে প্রথমবারের মতো নৌকা প্রতীক দেন। প্রতীক পেয়ে গোলাম দস্তগীর গাজী প্রায় ৫০ হাজার ভোটের ব্যবধানে বিএনপির হেভিওয়েট প্রার্থীকে পরাজিত করে সবাইকে অবাক করে দেন । এমপি হয়ে গোলাম দস্তগীর গাজী রূপগঞ্জে উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রত্যেকটা ইউনিয়ন এবং ওয়ার্ডে নিজ খরচে কার্যালয় করে দেন। ২০১৪ সালে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটের মাধ্যমে দ্বিতীয় বারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তিনি। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রায় ২ লাখ ভোটের ব্যবধানে বিএনপির প্রার্থী কাজী মনিরুজ্জামান কে পরাজিত করে মন্ত্রী সভায় স্থান পান গোলাম দস্তগীর গাজী। তিনি বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়েছেন। আওয়ামী লীগের ইতিহাসে নারায়ণগঞ্জের তিনিই প্রথম পূর্ণ মন্ত্রী। নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগকে শক্তিশালী করতে তৃণমূল নেতাকর্মীদের সাথে কাজ করে যাচ্ছেন তিনি। তার কাজের সাথে আজ নতুন দায়িত্ব যুক্ত হয়েছে।
রূপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত করায় গোলাম দস্তগীর গাজী আওয়ামী লীগের সকল নেতাকর্মীদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন।