সংবাদচর্চা রিপোর্ট:
নারায়ণগঞ্জে ওবায়দুল কাদেরনির্বাচনের অবাধ, সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও উৎসবসমুখর পরিবেশে যারা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করবে তারা যে দলেরই হোক, তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে কঠোর ব্যবস্থা নিতে নির্বাচন কমিশনকে আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। সোমবার (১৭ ডিসেম্বর) সকালে নারায়ণগঞ্জে কাঁচপুরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে দ্বিতীয় কাঁচপুর সেতুর নির্মাণকাজ পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদের সামনে এ কথা বলেন তিনি। কাদের বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন তদন্ত মোতাবেক বিশৃঙ্খলাকারীদের বিরুদ্ধে যেকোনও ধরনের শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে পারবেন। এতে আওয়ামী লীগের কোনও দ্বিমত থাকবে না।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীরা আগামীকালের মধ্যে নির্বাচন থেকে সড়ে না দাঁড়ালে বর্ধিত সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যেহেতু মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করার এখন আর কোনও সুযোগ নেই, সেহেতু তারা সংবাদ সম্মেলন করে নির্বাচন থেকে সড়ে দাঁড়াতে পারবেন। আমরা আগামীকাল ১৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত দেখবো কতজন প্রত্যাহার করেন। তবে আওয়ামী লীগের ইতিহাসে এবার বিদ্রোহী প্রার্থীর সংখ্যা অনেক কম হয়েছে কৌশলী নেতৃত্বের কারণে।’
আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, ‘ড. কামাল হোসেন সাম্প্রদায়িক শক্তির সঙ্গে হাত মিলিয়েছেন। আর বলছেন মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় তারা লড়ছেন। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা হচ্ছে অসাম্প্রদায়িক চেতনা। আর যে সাম্প্রদায়িক শক্তির সঙ্গে তারা হাত মিলিয়েছেন তারা মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী শক্তি, স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি, যারা যুদ্ধাপরাধীদের সমর্থন করে। বিএনপি জামায়াতের পুরনো বন্ধুত্ব। নতুন করে ছদ্মবেশী গণতন্ত্রী ড. কামাল হোসেন, কাদের সিদ্দিকীসহ আরও কয়েকজন আজ সাম্প্রদায়িক শক্তির সঙ্গে হাত মিলিয়ে ধানের শীষ মার্কায় ভোট করছেন। এটা স্ববিরোধী বক্তব্য ও হাস্যকর। সবচেয়ে দুঃখজনক ও দুর্ভাগ্যজনক বিষয় হচ্ছে ড. কামাল হোসেন যে সুরে কথা বলছেন, তা তার মুখে মানায় না। তিনি এতো নিচে নেমে যাবেন আওয়ামী লীগের বিরোধিতা করতে গিয়ে। তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের ধারক শেখ হাসিনা ও বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে তিনি রাজনীতি করেছেন। আজকে বঙ্গবন্ধুর কন্যা তার প্রধান শত্রু। তার কথাবার্তা আচার আচরণ থেকে সেটাই মনে হয়। এজন্য আমাদের তেমন কোনও মাথাব্যথা নেই। কারণ, সারাদেশে নৌকার গণজোয়ার বইছে। সরকার যে উন্নয়ন করেছে তা দেখে মানুষ সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছে শেখ হাসিনার নৌকায় ভোট দেওয়ার জন্য।’
সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এর আগে দ্বিতীয় কাঁচপুর সেতুর নির্মাণকাজ সম্পর্কে সংশ্লিষ্টদের কাছ থেকে খোঁজ খবর নেন। তিনি জানান, ‘সেতুটির নির্মাণকাজ শেষ পর্যায়ে রয়েছে। মহাজোট আবারও ক্ষমতায় এলে আগামী বছরের শুরুতে জানুয়ারি মাসেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নবনির্মিত এই সেতুটি উদ্বোধন করবেন।’ সেতুমন্ত্রীর সঙ্গে আরও উপস্থিত ছিলেন রেলমন্ত্রী মজিবুল হক।