নিজস্ব প্রতিবেদক:
যুক্তরাষ্ট্রে শুরু হয়েছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভোট গ্রহণ। শত ব্যস্ততায় ভোট দিতে ফ্লোরিডায় পৌঁছান ডোনাল্ড ট্রাম্প। মঙ্গলবার সকালে ফ্লোরিডার ওয়েস্ট পাম বিচ এলাকার ভোটকেন্দ্রে ভোট দেন তিনি। দেশটিতে ৫০টি রাজ্য। অনেক রাজ্যে আগে ভোট শুরু হলেও সময়ের তারতম্যের কারণে দেরিতে ভোট শুরু হয়েছে কয়েকটি রাজ্যে। যেসব রাজ্যে দেরিতে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে সেখানে গণনাও দেরিতে হবে।
মঙ্গলবার রাতেই সব রাজ্যে গণনা শুরু হবে। তবে এক রাতেই সব ভোট গণনা শেষ করে ফল দেওয়া কঠিন। তবে ট্রাম্পের দাবি রাতেই ভোটের ফল ঘোষণা করতে হবে। রোববার পেনসিলভানিয়ায় এক সমাবেশে ট্রাম্প এ দাবি করেন।
ট্রাম্প বলেন, মঙ্গলবার রাত ৯টা, ১০টা, ১১টার মধ্যে এগুলো ঠিক করতে হবে। খারাপ লোকের দল। এরা খারাপ মানুষ।
বুধবার বাংলাদেশ সময় ভোর ৫টায় (মার্কিন সময় মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টা) ভোটগ্রহণ শেষ হবে। আর ট্রাম্পের দাবি, শেষ হওয়ার তিন থেকে পাঁচ ঘণ্টার মধ্যেই ফল ঘোষণা করতে হবে।
যুক্তরাষ্ট্রের একেক অঙ্গরাজ্যের গণনা পদ্ধতি একেকরকম। অনেক অঙ্গরাজ্যে ডাকযোগে আসা ভোট এবং দেশের বাইরের নাগরিকদের ভোট নির্বাচনের আগেই গণনা করে ফেলেন নির্বাচন কর্মকর্তারা। তবে পেনসিলভেনিয়া ও উইসকনসিনে নির্বাচনের পর গণনা হয় এসব ব্যালট। এই গুরুত্বপূর্ণ দুই দোদুল্যমান অঙ্গরাজ্যের জন্যই ফলাফলে দেরি হতে পারে।
এছাড়া, কোনো অঙ্গরাজ্যে দুই প্রার্থীর মধ্যে ব্যবধান বেশি কম থাকলে ভোট পুনর্গণনাও হতে পারে।
২০২০ নির্বাচনেও মঙ্গলবার ভোটগ্রহণ হয়েছিল। কিন্তু বাইডেনকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছিল শনিবার। তবে এর আগের দুই নির্বাচন, ২০১৬ ও ২০১২ সালে বিজয়ীর নাম জানতে এত সময় লাগেনি। এর পিছনে একটি কারণ, কোভিডকালীন সময়ে হওয়া ২০২০ নির্বাচনে অনেক ভোটার ডাকযোগে ভোট দিয়েছিলেন।
যুক্তরাস্ট্রের ৫০টি অঙ্গরাজ্যে মোট ৫৩৮টি ইলেকটোরাল ভোট রয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ইলেকটোরাল ভোট রয়েছে ক্যালিফোর্নিয়ায় (৫৪টি)। আর সবচেয়ে কম রয়েছে নর্থ ডাকোটায় (৩টি)। সাধারণত রাজ্যের জনসংখ্যার অনুপাতে ইলেকটোরাল ভোট থাকে। যে রাজ্যে যত বেশি জনসংখ্যা ওই রাজ্যে তত বেশি ইলেকটোরাল ভোট।
রাজ্যের সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোট যিনি পান ইলেকটোরাল ভোটগুলো তিনি পান। এভাবে একজন প্রার্থীকে প্রেসিডেন্ট হতে হলে অন্তত ২৭০টি ইলেকটোরাল ভোট পেতে হয়।