নিজস্ব প্রতিবেদক: নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন (নাসিক) নির্বাচনে ভোট দিয়েছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী। ভোট দেওয়ার আগে বাবা আলী আহাম্মদ চুনকার কবর জিয়ারত করেন তিনি।
রবিবার সকাল ১০টা ৪৮ মিনিটের দিকে ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের শিশুবাগ বিদ্যালয়ে ভোট দেন আইভী। ভোটকেন্দ্র থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আইভী বলেন, ‘সবজায়গায় হাতির এজেন্ট আছে। বরং কয়েকটি কেন্দ্রে আমার এজেন্ট ছিল না। এক নম্বর ওয়ার্ডে গিয়েও আমার এজেন্ট পাইনি। পরে আমি গিয়ে এজেন্ট দিয়ে এসেছি।’ তিনি আরও বলেন, ‘ইনশাআল্লাহ নৌকার জয় হবেই। আইভী ইনশাআল্লাহ জিতবে। ভোটের পরিবেশ এখনো ঠিক আছে। নিরপেক্ষ নির্বাচন করা হোক, আমি জিতবো। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নৌকার বিজয়ের জন্য অপেক্ষা করছেন।’
ভোটগ্রহণে ধীরগতি নিয়ে তিনি বলেন, ‘যেসব কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ ধীরগতিতে চলছে সেখানে ভোটগ্রহণ দ্রুত করা হোক। ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট হচ্ছে। ভোটাররা এখনো এ পদ্ধতিতে অভ্যস্ত হয়ে উঠেননি। এজন্য হয়তো সময় লাগছে।’
নির্বাচনে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন সাতজন। তবে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকা দুই প্রার্থীর প্রতীক নৌকা ও হাতি।
উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে আওয়ামী লীগের মেয়র পদপ্রার্থী ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভীকে, নাকি পরিবর্তনের স্লোগান নিয়ে আসা তৈমূর আলম খন্দকারকে বেছে নেবেন ভোটাররা- তা জানতে এখন কেবল একটু অপেক্ষা। তবে আগামী নগরপিতা যিনিই হোন না কেন, হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের কথাই বলছেন নগরবাসী।
পুলিশের পক্ষ থেকে সুষ্ঠু ও সহিংসতামুক্ত নির্বাচনের জন্য কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না বলেও হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।
স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী তৈমূর আলম খন্দকার ভোট দিয়েছেন।
রোববার সকাল সাড়ে ৮টায় শহরের মাসদাইরে নারায়ণগঞ্জ ইসলামিয়া কামিল (এম এ) মাদ্রাসা কেন্দ্রে তিনি ভোট দেন।
নির্বাচন কমিশন-ইসি সচিবালয়ের তথ্যানুযায়ী, এবার পুরো সিটিতে ইভিএমে ভোটগ্রহণ হচ্ছে। শনিবার কেন্দ্রে কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে ইভিএমসহ নির্বাচনী মালামাল। নির্বাচনে ভোট দেবেন সোয়া ৫ লাখ ভোটার। মেয়র পদে সাতজন; সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ৩৪ ও কাউন্সিলর পদে ১৪৮ জন প্রার্থী রয়েছেন এ নির্বাচনে।
মেয়র পদে সাতজন প্রার্থীর মধ্যে আওয়ামী লীগের ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী (নৌকা) এবং দলীয় পদ থেকে সদ্য অব্যাহতিপ্রাপ্ত বিএনপি নেতা স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী তৈমূর আলম খন্দকার (হাতি), খেলাফত মজলিশ প্রার্থী এ বি এম সিরাজুল মামুন (দেয়াল ঘড়ি), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী মাওলানা মো. মাছুম বিল্লাহ (হাতপাখা), মো. কামরুল ইসলাম-স্বতন্ত্র (ঘোড়া), মো. জসীম উদ্দিন-বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন (বট গাছ) ও বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির প্রার্থী মো. রাশেদ ফেরদৌস (হাত ঘড়ি) প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
এ সিটিতে ভোট কেন্দ্র রয়েছে ১৯২টি, ভোটকক্ষ ১ হাজার ৩৩৩টি, ভোটার ৫ লাখ ১৭ হাজার ৩৬১। এর মধ্যে পুরুষ ২ লাখ ৫৯ হাজার ৮৪৬ ও মহিলা ২ লাখ ৫৭ হাজার ৫১১।