আজ বুধবার, ২০শে ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৫ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

ভোগান্তির আরেক নাম কাইয়ুমপুর এবিসি স্কুল

সংবাদচর্চা রিপোর্ট :
ঢাকা-নারায়নগঞ্জ যাতায়াতের একমাত্র ব্যস্ততম সড়ক হচ্ছে লিংক রোড়। এই সড়কটি দিয়ে প্রতিদিন প্রায় হাজার হাজার লোক ও যানবাহন যাতায়াত করে। এই রোডটি যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম হলেও প্রতিনিয়ত এই রোডটিতে যানজট লেগেই থাকে। আর এ যানজট সৃষ্টির একমাত্র কারণ হচ্ছে কাইমপুর সংলগ্ন এবিসি স্কুলের সামনে অবৈধ ভাবে গাড়ি পাকিং।

প্রতিদিন সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত স্কুলের শিক্ষার্থীদের নিয়ে আসা এই গাড়ি গুলো স্কুলের সামনে জড়ো হতে থাকে। যার কারণে এ রোডটিতে দীর্ঘ সময় ধরে যানজটের সৃষ্টি হয়। বুধবার (১৫ মে) সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় এবিসি স্কুলের সামনে অবৈধ ভাবে পাকিং ব্যবস্থা করা হয়েছে আর এ পাকিং ব্যবস্থার কারনে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। স্কুলের সামনে থেকে গাড়ি গুলো কাইমপুর বটতলা পর্যন্ত অতিক্রম করেছে। আর এ যানজটের কারণে এ পথটি অতিক্রম করতে প্রায় আধা ঘন্টার ও বেশি সময় লেগে যায়। যেখানে সময় লাগতো মাত্র দুই মিনিট।

আর এ সমস্যার কারণে কর্তৃপক্ষের নেই কোন উদ্যোগ। কর্তৃপক্ষ মানছেনা কোন নিয়মনীতি। আর এ অনিয়মের কারণে ভোগান্তিতে পড়ছে হাজার হাজার মানুষ। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন ভোক্তভোগীরা। যানজটে পড়ে থাকা এক যাত্রী দৈনিক সংবাদচর্চাকে জানান প্রতিদিন এখানকার যানজট একটি নিয়মে পরিনত হয়েছে। এতো আইন থাকা স্বর্থেও আইনের তোয়াক্কা না করেই হরহামেশাই তারা অবৈধ ভাবে গাড়ি পাকিং করছেন।

এসময় তিনি আরো বলেন প্রতিদিন ব্যবসায়ী কাজের উদ্দেশ্যে সকালে ঢাকা যেতে হয়। যখনই যাই তখনই যানজটের ভোগান্তিতে পড়তে হয়। তাই এ সমস্যা সমাধানে জরুরী প্রদক্ষেপ নেওয়া উচিত।

সস্তাপুর এলাকার এক গার্মেন্টস ব্যবসায়ী শাহীন বলেন, এবিসি স্কুলের প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকেই এই রাস্তাটি দিয়ে যানজট সৃষ্টি হয়েছে। আর এর কারন হলো এবিসি স্কুলের সামনে গাড়ি পাকিং। রাস্তার উপর অবৈধ ভাবে যত্রতত্র গাড়ি পাকিংয়ের কারনে প্রায় সময় ভোগান্তিতে পড়তে হয়। তাই এ যানজট নিরসনে স্কুল কর্তৃপক্ষের সচেতন হওয়া উচিত।

মানিক মিয়া নামে আরো এক ব্যক্তি বলেন, যানজট নিরসনে সরকার বিভিন্ন প্রদক্ষেপ নিলেও সকলের অসচেতনার কারনে যানজট সৃষ্টি হয়। তাই সকলের উচিত আইন মেনে চলা।

যানজট সমস্যা নিরসনের স্কুল কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি ফোনটি রিসিপ করেননি। এসময় যানজট সমস্যা নিরসনের লক্ষে ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক শরফুদ্দিনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তার মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।

প্রসঙ্গত, এর আগে এবিসি স্কুলের যানজট নিরসনে বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। পত্রিকায় প্রকাশিত হলেও এ সমস্যা সমাধানে কোন সুরাহ হয়নি। তাই যানজটের এ ভোগান্তি থেকে রক্ষা পেতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।