অনলাইন রিপোর্ট:
আজ শনিবার বিয়ের পিঁড়িতে বসছেন প্রয়াত ডায়ানার ছোট ছেলে প্রিন্স হ্যারি। উইন্ডসর রাজপ্রাসাদ পুরোপুরি প্রস্তুত। রাজকীয় বিয়ে বলে কথা! বিয়ের কনে যুক্তরাষ্ট্রের অভিনেত্রী মেগান মার্কেল। উইন্ডসরের সেন্ট জর্জ চ্যাপেলে হবে বিয়ের মূল অনুষ্ঠানটি। গত নভেম্বরে বাগদান হয়েছিল হ্যারি-মেগানের।
ব্রিটিশ সিংহাসনের ষষ্ঠ উত্তরাধিকার ও রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথের নাতি প্রিন্স হ্যারির সঙ্গে মেগানের পরিচয় হয়েছিল ২০১৬ সালে। বন্ধুর এক পার্টিতে। যুক্তরাষ্ট্রের টিভি সিরিজ ‘ফ্রিঞ্জ’ ও ‘স্যুটসে’ অভিনয় করে সুনাম কুড়িয়েছিলেন মেগান। গত বছর সেপ্টেম্বরে তাদের প্রেমের বিষয়টি সামনে আসে। ওই বছরেরই নভেম্বরে তাদের বাগদান হয়। এরপরই অপেক্ষা বাড়ে এই জুটির বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার। বিয়ের পর মেগান পরিচিত হবেন প্রিন্সেস হেনরি অব ওয়েলস নামে।
বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শেষ হওয়ার পর নবদম্পতি যাবেন উইন্ডসর শহরে। এখানে রয়েছে উইন্ডসর দুর্গ। যেটি রানীর রাজকীয় বাসভবনগুলোর একটি। এই দুর্গেই মধ্যাহ্নভোজে অংশ নেবেন রানীর আমন্ত্রণ পাওয়া ছয়শ’ অতিথি। এর মধ্য দিয়ে শেষ হবে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা। আর সন্ধ্যায় নবদম্পতি তাদের ঘনিষ্ঠ ২০০ বন্ধুর সঙ্গে অংশ নেবেন নাচে।
বর-কনে বিয়েতে কি পোশাক পরবেন তা বিয়ের আগ মুহূর্ত ছাড়া কেউই জানতে পারবে না। তবে মেগান যে গহনাগুলো পরবেন, তা হ্যারির প্রয়াত মা প্রিন্সেস ডায়ানার। মৃত্যুর আগে নিজের গহনাগুলো নিজের দুই পুত্রবধূর জন্য রেখে গিয়েছিলেন তিনি। এই গহনাগুলো রাজপরিবারের ঐতিহ্য হিসেবে টিকে আছে। ওই সব গহনা ডায়ানার বড় ছেলে প্রিন্স উইলিয়ামের স্ত্রী কেটকে পরতে দেখা গেছে বিভিন্ন সময়।
হ্যারি-মেগানের বিয়েতে অনেক তারকা উপস্থিতি থাকবেন। কিন্তু রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের উপস্থিতি থাকবে না বললেই চলে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে বিয়েতে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। হ্যারির মা প্রিন্সেস ডায়ানাকে নিয়ে কৌতুক করার কারণে তাকে বিয়েতে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি বলে জানা গেছে। এছাড়া ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মে ও বিরোধী দলের নেতা জেরোমি করবিনকেও আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। তাই তাদেরও দেখা যাবে না বিয়েতে। তবে একঝাঁক তারকা অভিনেতা, অভিনেত্রী, শিল্পীর উপস্থিতি দেখা যাবে বিয়ের অনুষ্ঠানে।
হ্যারি-মেগানের বিয়ে সরাসরি সম্প্রচার করা হবে টেলিভিশনে। যেমনটা করা হয়েছিল ২০১১ সালে তার বড় ভাই প্রিন্স উইলিয়াম ও কেট মিডলটনের বিয়ের সময়। কেট-উইলিয়ামের ওই বিয়ের অনুষ্ঠানটি বিশ্বজুড়ে প্রায় আড়াই কোটি মানুষ দেখেছিল টিভিতে। আজও একই সংখ্যক মানুষ হ্যারি-মেগানের বিয়ের অনুষ্ঠান দেখবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।