আজ মঙ্গলবার, ১১ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৬শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

ব্যবসায়ী স্বপনকে পিন্টু দেবনাথের বান্ধবী রত্নাচক্রবর্তীর বাসায় সাতটুকরা করে হত্যা

ব্যবসায়ী স্বপনকে হত্যা

 

নিজস্ব প্রতিবেদক:
নারায়ণগঞ্জের নিতাইগঞ্জের কাপড়ের ব্যবসায়ী স্বপন কুমার সাহাকে অপহরন ও হত্যা মামলায় নিজের দায় স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি প্রদান করেছে প্রবীর হত্যামামলা প্রধান আসামী পিন্টু দেবনাথের বান্ধবী রত্না চক্রবর্তী ও হত্যায় প্ররোচনাকারি আব্দুল আল মামুন।
বৃহস্পতিবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যজিস্ট্রেট আশেক ইমামের আদালতে রত্না চক্রবর্তী ও মেহদী মহসিনের আদালতে আব্দুল্লাহ আল মামুন এই স্বীবারোক্তি প্রদান করেন। পরে তাদের দুইজনকে আদালতের নির্দেশে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে আদালতে আসামীদের ছবি তুলতে গেলে আব্দুল্লাহ আল মামুনের স্বজনরা ছবি তুলতে বাঁধা দেয় এবং যমুনা টেলিভিশনের ক্যামেরা পার্সন মাহবুবুর রহমান জয়কে মারতে তেড়ে আসেন এবং তাকে দেখে নেয়ার হুমিক দেন।
আদালতে দেয়া জবানবন্দির উদ্বৃতির বরাত দিয়ে, সদ্য এসপি পদে পদন্নোতি প্রাপ্ত (নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার) মোস্তাফিজুর রহমান জানান, প্রবীর চন্দ্র হত্যা মামলার তদন্ত করেতে গিয়ে বেরিয়ে আসে পিন্টু দেবনাথ ২১ মাস আগে তার আরেক বন্ধু নিখোঁজ স্বপন কুমার সাহাকে হত্যা করে লাশ শীতলক্ষ্যা নদীতে ফেলে দেয়। ২০১৬ সালের ২৭অক্টোবর বিকেলে পূর্ব পরকল্পিত ভাবে পিন্টু দেবনাথের বান্ধবী রত্না চক্রবর্তী স্বপন সাহাকে শররীক সম্পর্ক করার কথা বলে মাসদাইরের বাসায় মোবাইল ফোনে ডেকে নিয়ে যায়। স্বপন ওই বাসায় গেলে রত্না পিন্টু দেবনাথকে মোবাইল ফোনে জানায়। পিন্টু দেবনাথ কালির বাজারের একটি কনফেকশনারীরর দোকান থেকে তিনটি ফ্রুটিকা জুসের বোতল নিয়ে যায়। একটি জুসের বোতলে নেশাজাতীয় দ্রব্য মিশিয়ে কৌশলে খাইয়ে দেয়। এসময় স্বপন ঘুমিয়ে পড়লে শির দিয়ে পিন্টু দেবনাথ তার মাথায় আঘাত করে মৃত্যু নিশ্চিত করে। পরে বাথরুমে নিয়ে পিন্টু দেবনাথ লাশ সাতটুকরা করে বাজারের ব্যাগে ভরে শীতলক্ষ্যা নদীতে ফেলে দেয়।
স্বপনের সাথে পিন্টু দেবনাথের কলকাতায় কেনা ফ্লাট ও বান্ধবী রত্নার সাথে স্বপনের অবৈধ সম্পর্কে জের ধরে এই হত্যাকান্ড সংগঠিত হয় বলে আদালতে রত্না চক্রবর্তী স্বীকার করেছেন।