আজ শুক্রবার, ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

বেইমানদের হাতে বঙ্গবন্ধুকে জীবন দিতে হয়েছে: পাপ্পা গাজী

সংবাদচর্চা রিপোর্ট:

বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বীর প্রতীকের জ্যেষ্ঠপুত্র , বিসিবি ও যমুনা ব্যাংকের পরিচালক গাজী গোলাম মর্তুজা পাপ্পা বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর কথা শুনেছি। বঙ্গবন্ধু গণমানুষের নেতা ছিলেন। বঙ্গবন্ধুর ভাষণ শুনেছি। বঙ্গবন্ধুকে দেখা হয়নি। আমার জন্মের আগে বেইমান, ঘাতকদের হাতে বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে জীবন দিতে হয়েছে। আমাদের নতুন প্রজন্মের কাছে বঙ্গবন্ধু এখন আদর্শের প্রতীক। বঙ্গবন্ধুর রক্ত বৃথা যাবে না। যারা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছেন সেই বেইমানদের বিচার বাংলার মাটিতে হয়েছে। খুনিদের রায় কার্যকর হয়েছে। বাকী খুনিদের রায় দ্রুত কার্যকর করতে হবে।
মন্ত্রীপুত্র বলেন, পৃথিবীতে বহু রাজনৈতিক হত্যাকান্ড হয়েছে। কোন হত্যাকান্ডে অবুঝ শিশু এবং অন্তঃসত্ত্বা মহিলা ছিলো না। বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যাকান্ড বিশ্বের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় অবমানবিক হত্যাকান্ড। খুনিরা সেদিন শিশু রাসেলকে পর্যন্ত রক্ষা করেনি। ঘাতকরা বুঝতে পারছিলো জাতির পিতার পরিবারের প্রত্যেকটা সদস্য বাঙালিদের অতি আপনজন । খুনি মোশতাক, জিয়া বঙ্গবন্ধুর খুনিদের পুরস্কৃত করেছে। তাদের বিচার হওয়া দরকার।
গত ১৪ আগস্ট রাজধানীতে বঙ্গবন্ধুর ৪৭ তম শাহাদাৎ বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে যমুনা ব্যাংক ফাউন্ডেশন কর্তৃক আয়োজিত দোয়া ও স্বেচ্ছায় রক্তদান অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রীপুত্র এসব কথা বলেন।

গাজী গোলাম মর্তুজা পাপ্পা বলেন, বঙ্গবন্ধু বেচে থাকলে অনেক আগে আমরা উন্নত বিশে^ চলে যেতাম। বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত কাজ তার কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাস্তবায়ন করে যাচ্ছেন। খুনি চক্র বহুবার শেখ হাসিনাকে হত্যার চেষ্টা করেছেন।
বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সকল শহীদদের আত্মার শান্তি কামনা করে তরুণ আওয়ামী লীগ নেতা গাজী গোলাম মর্তুজা পাপ্পা বলেন, বনানী কবরস্থানে আমার (পাপ্পা গাজীর) দাদা-দাদির কবর । সেই লাইনে বঙ্গবন্ধু পরিবারের কবর। ছোট বেলা থেকেই আমরা প্রতি শুক্রবার আমার দাদা,দাদি ও বঙ্গবন্ধুর পরিবারের সদস্যদের কবর জিয়ারত করে আসছি। যখন আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় ছিলো না তখন বঙ্গবন্ধু পরিবারের সদস্যদের কবর অবহেলায় ছিলো। তখনকার সরকার বঙ্গবন্ধু পরিবারের কবরগুলো যত্ন করেনি এবং করতে দেয়নি। বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হারানোর শোক এখন শক্তিতে রূপান্তরিত হয়েছে। তিনি বাঙালিদের চেতনার প্রতীক। গুটি কয়েক বিপদগামী সেনা সদস্য বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত এটা মিথ্যা কথা।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন, স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলাম, যমুনা ব্যাংকের সিও মির্জা ইলিয়াস, যমুনা ব্যাংকের চেয়ারম্যান আলহাজ¦ নূর মোহাম্মদ।
পরে অতিথিবৃন্দ ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট নিহত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের সকল শহীদ সদস্যের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করেন।