নিজস্ব প্রতিবেদক:
সিদ্ধিরগঞ্জে চাঁদা না পেয়ে নাসিক ৯নং ওয়ার্ডের পশ্চিম জালকুড়ি এলাকার ডিএনডি অক্সফোর্ড স্কুল এন্ড কলেজের একটি নির্মাণাধীন বিদ্যালয় ভাংচুরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।
নাসিক ৯নং ওয়ার্ডের পশ্চিম জালকুড়ি এলাকার ডিএনডি অক্সফোর্ড স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ মুক্তিযোদ্ধা এসএম নরুল আমিন জানান, আমাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি এতোদিন একটি ভাড়া জায়গায় ছিলো। সম্প্রতি আমরা এটি আমাদের নিজস্ব জায়গায় স্থানান্তর করার জন্য নতুন ভবন নির্মাণের কাজ শুরু করি। এর আগে ডিএনডি অক্সফোর্ড স্কুল এন্ড কলেজের কর্তৃপক্ষ নিজ জায়গায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি নির্মাণের জন্য উক্ত জমি ক্রয় করে। তখন থেকেই সেলিম এবং তার সঙ্গীরা উক্ত জমির ওয়ারিশ দাবী করে আসছে। এ নিয়ে আদালতের শরনাপন্ন হলে জমির বিভিন্ন ডকুমেন্ট দেখে মহামান্য আদালত স্কুল কর্তৃপক্ষের পক্ষে রায় দেয়। তদুপরী সেলিম দীর্ঘদিন ধরে আমার কাছে ১০ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবী করে আসছে। আমি চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানাই। পরে শনিবার দিবাগত রাত আনুমানিক সাড়ে ৩টায় সেলিমের নেতৃত্বে ১৫/২০ সন্ত্রাসী বিদ্যালয়ের নির্মাণাধীন ভবন ভাংচুর করে। খবর পেয়ে এলাকাবাসীসহ আমি এবং কমিটির লোকজন ঘটনাস্থলে ছুটে আসি। এসময় আমাদের দেখে সন্ত্রাসীরা দৌড়ে পালিয়ে যায়। পালিয়ে যাওয়ার সময় এলাকাবাসীর সহযোগীতায় হামলায় অংশগ্রহণকারী দু’জনকে আটক করা হয়। পরে সকালে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় গিয়ে জালকুড়ির মোতালেবের ছেলে সেলিম (৩০), জসীম (৩৩), খোরশেদ (৩৬), মৃত ফজর আলীর ছেলে আলী হোসেন (৩৫), জাকির হোসেনের ছেলে মো: শাকিল(২৮), জামির হোসেনের ছেলে মো: রনি (২৬), কুরবান আলীর ছেলে আতাউর (৩০) মাসদাইর এলাকার মৃত হায়দার আলীর ছেলে আওলাদ হোসেন (৩৫), তক্কার মাঠ এলাকার সার্ভেয়ার মনির হোসেনসহ ১৫/২০ জনের নামে একটি লিখিত অভিযোগ দেই। অভিযোগের প্রেক্ষিতে এলাকাবাসীর হাতে আটক ফালান ও অলিকে পুলিশ থানায় নিয়ে আসে।
এ বিষয়ে ডিএনডি অক্সফোর্ড স্কুল এন্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও পরিচালক আর এ জামান গণমাধ্যম কর্মীদের জানান, ২০০৩ সালে আমরা একটি ভাড়া জায়গায় অত্র শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি নির্মাণ করি। ইতোমধ্যে আমাদের এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি বেশ সুনাম অর্জন করেছে। সম্প্রতি আমরা প্রতিষ্ঠানটিকে নিজেদের জায়গায় স্থানান্তর করার জন্য আমাদের ক্রয়কৃত যায়গায় ভবন নির্মাণের কাজ শুরু করি। কিন্তু এরই মধ্যে সেলিম আমাদের কাছ থেকে ১০ লক্ষ্য টাকা চাঁদা দাবী করে। আমরা চাঁদা দিতে অস্বিকৃতি জানালে সেলিম ও তার সন্ত্রাসী বাহীনি বিদ্যালয়ের নির্মাণাধীন ভবন ভাংচুর করে। এ বিষয়ে আমরা সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।
এ বিষয়ে ঘটনাস্থলে যাওয়া সিদ্ধিরগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক ইব্রাহিম পাটোয়ারি জানায়, বিদ্যালয়ে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করা হয়েছে। এলাকাবাসী দুই জনকে আটক করেছে। পরে তাদেরকে থানায় নিয়ে আসা হয়। এ ব্যাপারে একটি লিখিত অভিযোগ করেছে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। আমি অভিযুক্ত সেলিমের মোবাইল নাম্বারে বেশ কয়েকবার ফোন করেছি। কিন্তু সে তার ফোনটি রিসিভ করেনি। আমরা অভিযোগের প্রেক্ষিতে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
এদিকে গণমাধ্যম কর্মীরাও সেলিমের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করে বিফল হয়েছে। যোগাযোগের জন্য তার মোবাইলে বেশ কয়েকবার ফোন করলেও সে তা রিসিভ করেনি।