সংবাদচর্চা রিপোর্টঃ
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আমেজ না কাটতেই উপজেলা নির্বাচনের হাওয়া বইতে শুরু করেছে। বন্দর উপজেলায় শক্ত অবস্থান নেই আওয়ামীলীগের। এখানে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন বিএনপি, ভাইস চেয়ারম্যান ও ভাইসচেয়ারম্যানও নির্বাচিত হয়েছেন জামাতের প্রার্থী।
তাই এবার শক্ত প্রার্থী দিতে চায় আওয়ামী লীগ। গুঞ্জন রয়েছে জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক একেএম আবু সুফিয়ানকে প্রার্থী করার কথা ভাবছেন সিনিয়র নেতৃবৃন্দ।
মহানগর বিএনপির সহসভাপতি ও বন্দর উপজেলা চেয়ারম্যান আতাউর রহমান মুকুল রয়েছে দোটানায়। খোদ বিএনপি নেতৃবৃন্দ ও তৃণমূল মুকুল সম্পর্কে নেতিবাচক ধারণা পোষণ করেন। ফলে দলীয় সমর্থন যে মুকুল যে পাচ্ছেন না তো এক প্রকার নিশ্চিত।
আওয়ামীলীগের বেশ কয়েকজন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়নপত্র কিনেছিলেন। আওয়ামীলীগ সভানেত্রী যখন মহাজোটের প্রার্থীকে মনোনয়ন দেন তাতে বাধ সাধেননি কেউই। তবে এবার জাতীয় পার্টি উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামীলীগের প্রার্থীকে ছাড় দেয়ার প্রবল সম্ভবনা রয়েছে।
একজন পরিচ্ছন্ন রাজনীতিবিদ হিসেবে মহাজোট থেকে মনোনয়ন পাবেন বলে অনেকটা আশাবাদী আবু সুফিয়ানের সমর্থকরা। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নে আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীদের নিয়ে কর্মীসভা করেছিলেন সুফিয়ান। কার্যত নেতাকর্মীদের সংগঠিত করে সাংগঠনিক দক্ষতার প্রমাণও দিয়েছেন তিনি।
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের দুটি নির্বাচনে মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভীর প্রধান কর্মী হিসেবে তিনি কাজ করেছেন। নির্বাচনে সফলতাও পেয়েছেন। যার ফলশ্রুতিতে পরবর্তীতে তাকে জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক করা হয়।
উপজেলা নির্বাচনে একজন প্রার্থীর যা থাকা প্রয়োজন সুফিয়ানের তা রয়েছে বলে মনে করেন রাজনীতিকরা। সেই সুবাদে সকলের সমর্থনে সভানেত্রীর সমর্থনও পাবেন বলে আশা করছেন নেতাকর্মীরা। নির্বাচনে আবু সুফিয়ানকে প্রার্থী করা হলে বিএনপি কিংবা অন্য দলের প্রার্থীদের পাত্তাই থাকবেনা বলেও মনে করছেন আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীরা।
মার্চ মাসের নির্বাচনে উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বন্দর থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি এম এ রশীদ, মদনপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম এ সালাম,বন্দর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এহসানউদ্দিন আহাম্মদ এবং কলাগাছিয়া ইউনিয়ন পরিষদেরর চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন প্রধান নির্বাচনে অংশ নিতে আগ্রহী বলে গুঞ্জণ শোনা যাচ্ছে। নেতাকর্মীদের প্রচুর আগ্রহ থাকলেও জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সুফিয়ান নির্বাচনের ব্যাপারে কোন মন্তব্য করেননি।