আজ বুধবার, ১২ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৭শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

‘বিএনপি উন্নয়নের নামে লুটপাট করেছে’

নিজস্ব প্রতিবেদক :

আড়াইহাজারে বিশনন্দী ইউনিয়ন গাজীপুরা গ্রামে স্থানীয় আওয়ামী লীগের উদোগের ঈদ আনন্দ ও উন্নয়নমূলক শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আওয়ামীলীগ নেতা রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও আবুল বাশারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির বক্তব্যে নারায়ণগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব নজরুল ইসলাম বাবু বলেন, বঙ্গবন্ধুর কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ দুর্বার গতিতে এগিয়ে চলেছে। এই বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষের স্বপ্ন ছিলো স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হবে। মহান মুক্তিযুদ্ধের পর মানুষ হাসবে, দেশের মানুষের আশা পুর্ণ হবে, ভাত কাপড়ের নিশ্চয়তা হবে, শিক্ষার নিশ্চিতকরণ ও শিক্ষা শেষে কাজের ব্যবস্থা হবে। কিন্তু আপনারা দেখেছেন স্বাধীনতার মাত্র সাড়ে তিন বছর পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে হত্যা করে আততায়ীরা সেনাবাহিনীর উচ্চবালাসী লোভী কয়েকজন সদস্য যার আন্যতম জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়ে জিয়া-এরশাদ-খালেদারা এদেশকে শাসনের নামে শোষণ করেছে। এতে করে আমদের ত্রিশ লক্ষ শহিদের আত্মা কষ্ট পেয়েছে। মুক্তিযোদ্ধারা যেন যুদ্ধে গিয়ে অপরাধ করেছে। মতিঝিলের মোড়ে মোড়ে হাত পেতে মানুষের কাছে মেয়ের বিবাহের টাকা চাইতেন। পেটের ক্ষুধা নিবারণের জন্য সব বিলিয়ে দিতেন। এমন একটি বাংলাদেশ জিয়া-এরশাদ-খালেদা রেখে গেছেন। বঙ্গবন্ধুর কন্যা দেশের আনাচে কানাচে রাস্তা ঘাটে আপনাদের পিছে পিছে ঘুরে টেকনাফ, তেতুলিয়া রূপসা, পাথুরিয়া, সুন্দরবন, বান্দরবন প্রত্যেকটি মানুষকে জাগ্রত করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের হত্যার কথা বলেছে। এদেশের মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর কথা বলেছে। শিক্ষা ও চিকিৎসার নিশ্চয়তা দিবেন বলে মানুষের মুখে হাসি ফোটাবেন বলে মানুষের কাছে ভোট চেয়েছেন। সেই পরিপ্রেক্ষিতে ৯৬ সালে বঙ্গবন্ধুর কন্যা আপনাদের ভোটে নির্বাচিত হয়ে সরকার গঠন করে ছিলেন। দেশের প্রতিটি মানুষ বুঝেছেন মাত্র ৫ বছরে জননেত্রী শেখ হাসিনা দেশকে উন্নযনের দিকে নিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু ২০০১ সালে বিএনপি ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে ক্ষমতায় এলে বীরবাঙালির ইতিহাস নিগৃহীত হয়েছে। মিথ্যা ইতিহাস ছেলে মেয়েদের পড়ানো হয়েছে। উন্নয়নের নামে লুটপাট করা হয়েছে, বিদ্যুৎ ব্যাবস্থা ধ্বংস করা হয়েছে, শিল্প প্রতিষ্ঠান বন্ধ করা করেছে। তাঁতীদের পেটে লাথি মেরেছে, শিল্প প্রতিষ্ঠানে তালা মেরেছে, বিদ্যুতের অভাবে দেশ অচল হয়েছে। খালেদা জিয়ার পুত্র তারেক জিয়া দেশের টাকা লুটপাট করে মালেয়েশিয়ায় প্রাচার করে করেছে। বেগম খালেদা জিয়া নিজেও এতিমদের টাকা মেরে খেয়েছে। দেশের উন্নয়নের নাম ধোঁকাবাজি করেছে। আমরা ভেবেছিলাম বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর যারা রাষ্ট্র ক্ষমতায় বসেছিলো তারা মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তনে কাজ করবে, ভাগ্যের পরিবর্তন নিয়ে মিথ্যা রাজনীতির খেলা খেলবে না। ২০০৮ সালে বঙ্গবন্ধুর কন্যা আবার পুনরায় ক্ষমতায় আসার পর তিনি বলেছিলেন এদেশের উন্নয়নে তিনি কাজ করবেন তারই ধারাবাহিকতায় একটি ভোট আপনারা আমাকে নৌকায় দিয়েছিলেন। শেখ হাসিনার মনোনীত হিসেবে রাজপথ থেকে আমাকে সংসদে কথা বলার সুযোগ করে দিয়ে ছিলেন। আপনাদের ১টি ভোট আমার হৃদয় কিনে রেখেছে আপনাদের একটি ভোটের জন্য আমি সেদিন চির ঋৃণী হয়ে যাই। তারপর পরপর তিনবার আপনারা আমাকে নির্বাচিত করেছেন। ২০০৮ সালে যখন আমাকে নির্বাচিত করেন তখন আমি আপনাদের কথা দিয়েছিলাম আপনারা আমাকে একটি ভোট দিন আমি আপনাদের ঘর আলোকিত করবো বিদ্যুৎ ব্যাবস্থার আমরা উন্নতি করবো। বঙ্গবন্ধুর কন্যার নেতৃত্বে আমরা সেই কাজটি শতভাগ পুর্ণ করেছি। গোপালদী বাজারের কাঁদা পায়ের উপরে উঠতে দিব না। গোপালদী বাজারকে আধুনিক বাজার হিসেবে রূপান্তর করেছি। গোপালদীকে পৌরসভায় রুপান্তর করেছি। শিক্ষার অব্যাবস্থাপনা দুর করে এখানে একটি পূর্র্ণাঙ্গ কলেজ করেছি উচ্চ শিক্ষার দ্বার খুলে দিয়েছি রাস্তা-ঘাট, কালভার্ট, ব্রিজ সবকিছুতে পরিবর্তন এনেছি। প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলির পরিবর্তন এনেছি মসজিদ মাদ্রাসা প্রতিটি ক্ষেত্রে আমাদের অবদান রয়েছে আমদের মহান নেত্রী বঙ্গবন্ধুর কন্যা উন্নয়নের মাইল ফলক হিসেবে সারা পৃথিবীতে প্রশংসিত হয়েছেন আজকে যেই বাংলাদেশে একটি রাস্তার অভাবে ঢাকা থেকে চট্রগ্রাম যেতে ১১-১২ ঘন্টা সময় লাগতো আজকে সেখানে ৪ লেন ৬ লেন ৮ লেন করেছে। ময়মনসিংহ চট্রগাম সিলেট বরিশাল গোপালগঞ্জ খুলনা আমাদের কাছাকাছি এনে দিয়েছে। একটি মোবাইল ফোন খালেদা জিয়ার সময়ে সেটসহ কিনতে ৫৮ হাজার থেকে ১ লাখ টাকা লাগতো সেই ফোন রিক্সাওয়ালা ভাইরা বিনা টাকায় সিম কিনে ১ হাজার টাকা হলে ফোন চালাতে পারে। সবার হাতে আধুনিক ব্যাবস্থা করে দিয়েছি আজকে যদি জিজ্ঞেস করি একজনের কাছে একাধিক সিম রয়েছে। আজকে বিদ্যুতের অভাবে ছেলে মেয়েদের পড়াশোনা বন্ধ হয়না। বেগম খালেদা জিয়ার সময়ে দিনের বেলায়ও মোমবাতি জ্বালিয়ে এসএসসি পরিক্ষা দিতে হতো। আজকে মৌলিক চাহিদাগুলি পুরণ হয়েছে। অচল ঢাকা শহরকে ফ্লাইওভারের রাজধানীতে পরিণত করেছে। বাড়ির কাছে রূপগঞ্জের গাউছিয়াতে বিশাল ফ্লাইওভার তৈরি হয়েছে। বিশনন্দীতে হাজার কোটি টাকা ব্যায়ে ফলিত পুষ্টি ইনিষ্টিটিউট হয়েছে। দুই উপজেলাকে একত্রিত করেতে ফেরী চালু করেছি। প্রতিটি উচ্চ বিদ্যালয়ে ৪/৫তলা ভবনসহ উন্নয়ন দুর্বার গতিতে এগিয়ে নিয়েছি। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি আরো বলেন, আড়াইহাজারের মানুষ খেয়ে পড়ে ভালো আছে বাংলার মানুষ বঙ্গবন্ধুর কন্যার জন্য দোয়া করে এখন মানুষের ঘরে ঘরে খাবার আছে। নেতৃত্বের গুনাবলীর জন্য আমরা শেখ হাসিনার কাছে ঋৃণী বঙ্গবন্ধুর কন্যা এমন শাসন দিয়েছে চুরি ডাকাতি নিয়ন্ত্রণ করেছে। উন্নয়নের মাইলফলক রাস্তা ঘাটে মানুষের মুখে হাসি ফুটেছে। এখন আমরা খেয়েপরে ভালো আছি আনন্দে আছি। তাই উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে আগামী দিনে সবাই এক সাথে জননেত্রী শেখ হাসিনার সাথেই থাকব। ভোট দিয়ে আবারও নৌকাকে জয়ী করব। উন্নয়নের ধারাকে যারা বাধাগ্রস্ত করতে চায় তাদেরকে আর ছাড় দেওয়া হবেনা।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক খুরশীদ আলম সরকার, উপজেলা স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. গোলাম মোস্তফা, আওয়ামীলীগ নেতা আজিজুল হক মোল্লা, মোঃ আবু হানিফ, মোঃ শহীদুল্লাহ, মোঃ মোজাম্মেল হক, মোঃ জমির আলী মেম্বার, আবুল কালাম মোল্লা ও দানবীর সমাজসেবক হাজী আবুল খায়ের।