সংবাদচর্চা রিপোর্ট:
করোনা আতঙ্কে কাঁপছে নারায়ণগঞ্জ। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত জেলায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে ৯ জন । করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে ১০৭ জন। তার মধ্যে রূপগঞ্জের রয়েছে ৩ জন। রূপগঞ্জসহ নারায়ণগঞ্জ জেলাকে লকডাউন করে দেওয়া হয়েছে। বন্ধ রয়েছে সরকারী বেসরকারী সব প্রতিষ্ঠান। কর্মহীন হয়ে পড়েছে হাজার হাজার মানুষ। বাড়ছে খাদ্য সংকট। খাদ্য সংকট নিরসনে এগিয়ে এসেছেন সাবেক ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতা ও বিশিষ্ট সমাজসেবক সৈয়দ গোলাম রোপস। তিনি বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বীর প্রতীক ও বিসিবির পরিচালক তরুণ শিল্প উদ্যোক্তা গাজী গোলাম মর্তুজা পাপ্পার নির্দেশে খেটে খাওয়া কর্মহীন, দরিদ্র ও নিম্নমধ্যবিত্ত ২৫শ পরিবারের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেছেন। রবিবার সকালে ভূলতা ইউনিয়নের ৯টি ওয়ার্ডে নিজস্ব তহবিল থেকে তিনি খাদ্য সামগ্রী বাড়ী বাড়ী পৌছে দেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন রূপগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব শাহজাহান ভূঁইয়া, আওয়ামী লীগ নেতা আলহাজ্ব হাবিবুর রহমান হাবিব, রূপগঞ্জ উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান শাহিন, প্রিন্স প্রমূখ। খাদ্য সামগ্রীর মধ্যে ছিলো চাল, ডাল, তেল, লবণ, আলু , সাবান। খাদ্য পেয়ে কয়েকটি অনাহারী পরিবার একটু স্বস্তির নিশ্বাস ফেলেছে। তারা সাবেক এই কেন্দ্রী ছাত্রলীগ নেতার প্রশংসা করেছেন।
এ ব্যাপারে সাবেক ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতা ও বিশিষ্ট সমাজসেবক সৈয়দ গোলাম রোপস বলেন, করোনা ভাইরাস নারায়ণগঞ্জে মহামারি আকার ধারণ করেছে। আমাদের বাঁচতে হলে সবাইকে অবশ্যই সরকারের নির্দেশ মেনে চলতে হবে। তানা হলে চীন ,ইতালির মতো ভয়াবহ পরিণত হবে আমাদের। রূপগঞ্জের কোনো মানুষ না খেয়ে মারা যাবে না। বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বীর প্রতীকের নির্দেশে আমরা ঘরে ঘরে খাদ্য সামগ্রী পৌছে দিচ্ছি।
রূপগঞ্জবাসীর উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে আতঙ্কিত না হয়ে সবাইকে সচেতন হতে হবে। কেউ বিনা কারণে ঘর থেকে বের হবেন না। নিজে বাঁচেন ,অপরকে বাঁচান। মনে রাখবেন আপনার ঘরে অবস্থানে বেচে যাবে পরিবার, দেশ ও জাতি।