আজ বৃহস্পতিবার, ১৩ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৮শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

বাসররাতে এক পান তিনশ টাকা !

বাসর রাতের পান তিনশ টাকা দাম। কথাটি শুনে হয়তো অবাক হচ্ছেন বা বিষ্মিত হচ্ছেন। কেউ হয়তো ভাবছেন এটা আবার কেমন পান। আবার কেউ হয়তো বিষয়টাকে রুপকথার গল্প বলে উড়িয়ে দিবেন এই ভেবে যে, এক খিলি পানের দাম সর্বোচ্চ ৫০ বা ১০০ টাকা হতে পারে, কিন্তু কোনভাবেই তিনশ টাকা হতে পারেনা।
কিন্তু না, বাস্তবেই নারায়ণগঞ্জ শহরে এমন একটি পান দোকানের সন্ধান পাওয়া গেছে। যে দোকানের এক খিলি পানের সর্বনিম্ন দাম ৫ টাকা এবং সর্বোচ্চ ৩০০ টাকা। সর্বোচ্চ ৩০০ টাকা দামের পানটির নাম দেয়া হয়েছে ‘বাসর রাতের পান’।
দোকানটির নাম ‘শিপলু পান স্টোর’। নারায়ণগঞ্জ শহরের প্রসিদ্ধ ব্যাবসায়িক স্থান নিতাইগঞ্জের মোড়ে দোকানটির অবস্থান। দোকানের মালিকের নাম শিপলু।
শিপলুর সাথে কথা বলে জানা গেল, তার পৈত্রিক বাড়ি বন্দর উপজেলার ধামগড় এলাকায়। তবে বর্তমানে তিনি নগরীর পাইকপাড়ার বেপারীপাড়া এলাকায় নানীর বাড়িতে স্ত্রী ও দুই বছরের এক কন্যা সন্তান নিয়ে বসবাস করছেন। এছাড়া তার বাবা আব্দুল ওহাব ছিলেন একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। তার গেজেট নাম্বার ৩২০। তবে বছরখানেক আগে তিনি পৃথিবী থেকে চির বিদায় নিয়েছেন।
শিপলু আরো জানায়, তার দোকানে হরেকরকম পান বিক্রি করা হয়। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে-শাহী মিষ্টি পান(৩০ টাকা), বৌ-সোহাগী পান(৪০ টাকা), বাদশাহী পান(৫০ টাকা), ফায়ার পান(৮০ টাকা), মোগল সম্রাট পান(১০০ টাকা, মধু মাখা পান(২০০ টাকা) ও বাসর রাতের পান(৩০০ টাকা)।
বাসর রাতের পানের বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে জানতে চাইলে শিপলু বলেন, এটি একটি ভিন্ন ধর্মের পান। এ পান খাওয়ার পর মুখ থেকে ভিন্ন ধরনের সুগন্ধি বের হয়, শরীরে এক ধরনের উত্তেজনা বিরাজ করে এবং আলাদা স্বাধ পওয়া যায়।
আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, হরিণের মৃগনাভি ও জাফরান সহ বিভিন্ন ধরনের মশলা দিয়ে পানটি বানানো হয়। সাধারণত এ পান বিয়ের বর-কনেদের জন্য এবং মূল ক্রেতা তারাই। এই বাসর রাতের পানের কারনেই আমার দোকানটি ব্যপকভাবে পরিচিতি পেয়েছে। অনেক দূর দূরান্ত থেকে বৃহস্পতি ও শুক্রবার বেশী পরিমানে এ পান নিতে আসে। কেননা এই দুইদিন সাধারণত বিয়ে সাদির অনুষ্ঠান বেশি হয়ে থাকে।