নিজস্ব প্রতিবেদক: নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে একটি কোম্পানির বালু ভরাট কেন্দ্র করে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। শুক্রবার রাতে উপজেলার জামপুর ইউনিয়নের মিরেরটেক এলাকার তালতলা পুলিশ ফাঁড়ির সামনে ওই ঘটনা ঘটে। পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, উপজেলার কোবাগা এলাকার সোনারগাঁ উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের যুগ্ম সম্পাদক আবু হোসেন চৌধুরী লিপনের চাচাতো ভাই সাগর চৌধুরীর সাথে কোবাগা এলাকার একটি কোম্পানির বালু ভরাট নিয়ে জামপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আব্দুন নূর, আল আমিন ওরফে ডিস আলামিন, গোলজার, ইদ্রিসের সাথে বাকবিতন্ডা হয়।
এর জের ধেরে শুক্রবার রাতে মিরেরটেক এলাকায় তালতালা পুলিশ ফাঁড়িতে একটি সমস্যার সমাধান শেষে ফেরার পথে জামপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আব্দুন নূরের নেতৃত্বে আল আমিন ওরফে ডিস আলামিন, গোলজার, ইদ্রিস, হাবিব, মিঠু, রাসেলসহ ২০-২৫জনের একটি দল লোহার রড, হাতুড়ি, হকিস্টিক, লাঠিসোটাসহ দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে সোনারগাঁ উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের যুগ্ম সম্পাদক আবু হোসেন চৌধুরী লিপনের উপর হামলা চালায়। এসময় তার ছোট ভাই জামপুর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি লিটন চৌধুরী, জামপুর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সেলিম চৌধুরী, যুবলীগ কর্মী রতন ভূইয়া ও শান্ত এগিয়ে এলে তাদের উপর হামলা করে হামলাকারীরা। এসময় সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন আহত হয়। আহতদের মধ্যে কয়েকজনকে উপজেলা স্বাস্ব্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
সোনারগাঁ উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের যুগ্ম সম্পাদক আবু হোসেন চৌধুরী লিপন জানান, আমার চাচাতো ভাইয়ের আক্রশের জের ধরে আমাদের হত্যার উদ্দেশ্যে আব্দুন নূরের নেতৃত্বে হামলা চালিয়ে আহত করে।
আব্দুন নূর বলেন, লিপন চৌধুরীর চাচাতো ভাইয়ের কাছ থেকে পাওনা টাকা চাওয়ার আমাদের উপর ঈদের আগের দিন হামলা করে তার লোকজন। পরে শুক্রবার রাতে আমাদের উষ্কানিমূলক কথার জবাবে আমাদের এক ড্রাইভারকে কুপিয়ে আহত করার কারনের আমরা তাদের উপর হামলা চালিয়েছি।
সোনারগাঁ থানার ওসি মোরশেদ আলম জানান, স্থানীয় ও রাজনৈতিকভাবে মিমাংসা করার কথা রয়েছে। কেউ অভিযোগ দিলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আটককৃত আব্দুন নূরকে মিমাংসার আশ্বাসে ছাড়িয়ে নেওয়া হয়েছে।