আজ শনিবার, ১৫ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৩০শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

বাতিল হচ্ছে তারেক রহমানের নাগরিকত্ব !

বাতিল হচ্ছে তারেক রহমানের নাগরিকত্ব

বাতিল হচ্ছে তারেক রহমানের নাগরিকত্বসংবাদচর্চা রিপোর্ট:

প্রচলিত আইন অনুযায়ী যুক্তরাজ্যে অবস্থানরত বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নাগরিকত্ব বাতিল করতে পারে সরকার। কিন্তু নাগরিকত্ব বাতিল করার আগে তারেক রহমানকে কারণ দর্শানো নোটিস দিতে হবে। নাগরিকত্ব বাতিল করা হলে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী তাকে দেশে ফিরিয়ে আনার ক্ষেত্রে জটিলতা তৈরি হবে না বলে আইনমন্ত্রী বলেছেন।

আইন অনুযায়ী অবশ্য তারেক রহমান নিজেও বাংলাদেশের নাগরিকত্ব বর্জন করতে পারেন। সে ক্ষেত্রে তাকে সরকারের নিকট লিখিত আবেদন করতে হবে। স্বয়ংক্রিয়ভাবে নাগরিকত্ব বাতিল বা বর্জনের সুযোগ নেই।

একাধিক সুত্রের মাধ্যমে জানা গেছে তারেক রহমান একজন আন্তর্জাতিক অপরাধী।তিনি বিদেশে বসে দেশবিরোধী কাজ করছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে নানা কুটউক্তি করছে।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা  মনে করছে,তারেক ইচ্ছাকৃতভাবে বিদেশে বসবাস করছে।তার কোন রোগ নেই।দেশে ও বিদেশে থেকে বাংলাদেশকে নিয়ে যে পরিমাণ ষড়যন্ত্র করছে তাতে তার নাগরিকত্ব বাতিল করা যেতে পারে।

অন্য একটি সুত্রের মাধ্যমে জানা গেছে,তারেক খুব তাড়াতাড়ি দেশে না আসলে তার নাগরিকত্ব অবশ্যই বাতিল হচ্ছে।

১৯৫১ সালের দ্য সিটিজেনসিপ অ্যাক্ট-এর ১৬ (৬) ধারা অনুযায়ী উভয়পক্ষের এ সুযোগ রয়েছে। আইনের ১৬ (৪) উপ-ধারায় বলা আছে কেউ যদি একটানা দেশের বাইরে অন্য কোনো দেশে বসবাস করে তা যদি সরকারি কোনো কাজ বা আন্তর্জাতিক সংস্থার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কাজ না হয় তবে সরকার সেই ব্যক্তির নাগরিকত্ব রহিত বা বাতিল করতে পারে। আবার ওই ব্যক্তি লিখিত আবেদনের মাধ্যমে নাগরিকত্ব বর্জন করতে পারেন। তবে সরকার যদি নাগরিকত্ব থেকে অব্যাহতি দিতে চান সে ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে কারণ দর্শানো নোটিস দিতে হবে তথা আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দিতে হবে।

যদি কেউ প্রতারণামূলকভাবে নাগরিকত্ব লাভ করে সে ক্ষেত্রে বিচারিক ক্ষমতাসম্পন্ন ব্যক্তির নেতৃত্বে একটি কমিটির তত্ত্বাবধানে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার উল্লেখ আছে আইনে।

প্রসঙ্গত, ২০০৭ সালে সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার ১৩টি দুর্নীতি মামলার অভিযোগে ওই বছরের ৭ মার্চ তারেক রহমানকে গ্রেপ্তার করে। ২০০৮ সালের ৩ সেপ্টেম্বর তিনি সবকটি মামলা থেকে জামিন পান এবং অসুস্থতার কারণে বঙ্গবন্ধু মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। একই বছরের ১৯ সেপ্টেম্বর তারেক রহমান লন্ডনে চলে যান। অর্থাৎ তারেক রহমান টানা প্রায় ১০ বছর যুক্তরাজ্যে অবস্থান করায় সরকার এখন তার নাগরিকত্ব বাতিল করতে পারে।