আজ সোমবার, ১৫ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৩০শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

সড়কে বাতি না থাকায় অপরাধীরা সক্রিয়

# আন্দোলন গড়ে তোলা হবে : নাগরিক কমিটি
# অপরাধীরা পালিয়ে যায় : অতিরিক্ত পুলিশ সুপার
# ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডের দু’পাশে ফুটপাত করা হবে: সওজ প্রকৌশলী

অপরাধ প্রতিবেদক
ছিনতাই হত্যা গুম খুনের সড়ক হিসেবে পরিচিত ঢাকা-নারায়নণগঞ্জ লিংক রোড। এই সড়কে রাতে আলো না থাকায় অন্ধকারে ঘটছে জানা অজানা অনেক ঘটনা। সড়কে অন্ধকার থাকায় অপরাধিরা সহজেই পালাতে পারছে। নারায়নণগঞ্জের অনেক অলোচিত সমালোচিত ঘটনা সংঘটিত হয়েছে এই সড়কে। তবে সড়কে সিসি ক্যামেরা থাকলেও সড়ক অন্ধকার থাকায় কি হয় সড়কে জানেনা সাধারণ মানুষ!

নগরবাসী মনে করেন সড়কে রাতে বাতির আলো না থাকায় নিরাপত্তার অভাব রয়েছে। এ কারনে বিভিন্ন ঘটনা সংঘটিত হয়ে অনেকের প্রান যাচ্ছে ।

ঢাকা-নারায়নণগঞ্জ লিংক রোডের ৮ কিলোমিটার রাস্তার মধ্যে অধিকাংশ এলাকা অন্ধকার। কয়েকটি পয়েন্টের মোড় ছাঁড়া যানবাহনের লাইটের আলো ব্যাতিত সড়কের আলোর ছাঁয়াও পরেনা। এই সড়কের চাষাড়া, শিবুমার্কেট, জালকুড়ি, সাইনর্বোড ছাড়া আলোর সন্ধান পাওয়া যায় না কোথাও। নিয়মিত এই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করেন জাহাঙ্গীর আলম পাবেল জানান, সন্ধ্যার পর থেকেই এই সড়ক দিয়ে যাতায়াতে করতে ভয় হয় এবং এই সড়কে চলাচলে আমরা আতংকে থাকি। সিএনজি চালক আফজাল হোসেন বলেন, এই রাস্তায় রাতে ছিনতাই অনেক বেশী হয় এবং যাত্রীদের সাথে থাকা মালামাল ছিনতাই কারীরা ভয় দেখিয়ে ও আঘাত করে সব কিছু নিয়ে যায়। এমনকি, আমাদের সিএনজিও নিয়ে যায়। উল্লেখ্য যে, রাতে সড়কের বিভিন্ন স্থানে পুলিশের চেকপোষ্ট থাকলেও সেখানেও নেই আলোর ছাঁয়া। অন্ধাকারে পুলিশি তল্লাশি করে থাকে।

নারায়ণগঞ্জ নাগরীক কমিটির সভাপতি এবি সিদ্দিক জানান, ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোড নির্মানের সময় সড়কের বাতি সংযোজন করা প্রয়োজন ছিল। এই সড়কে দিনের বেলাই ৭ খুনের অপহরণের মতো ঘটনা ঘটেছে। এ ছাড়া প্রতিনিয়ত কোন না কোন ঘটনা সংঘটিত হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দুঃখ প্রকাশ করে ক্ষমা চাওয়া উচিৎ। কেন তারা এখনো বাতি সংযোজন করতে পারে নি। দ্রুত সময়ের মধ্যে এই সড়কে বাতি সংযোজন করার জন্য আমরা আহ্বান জানই। অন্যথায় কঠোর আন্দোলন ঘোষনা কবো।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মেহদী ইমরান সিদ্দিক বলেন, ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডে বাতি না থাকায় আমাদের যে সকল পুলিশের চেকপোষ্ট রয়েছে সে চেকপোষ্টে তল্লাশি করতে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন সমস্যা হচ্ছে। এ কারনে বিভিন্ন চিহ্নিত অপরাধিরা পালিয়ে যেতে সক্ষম হচ্ছে। আর এর মাশুল গুনতে হচ্ছে পুলিশকে। দ্রুত সময়ের মধ্যে কর্তৃপক্ষের কাছে আহ্বান জানানো হবে সড়কে বাতি সংযোজন করার জন্য।

নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এ এফ এম এহেতেসামুল হক জানান, ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডে বাতি সংযোজন করার বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের কোন ভূমিকা নেই। এছাড়া এ বিষয়ে আমাদের কোন উদ্যোগ নেই।

নারায়ণগঞ্জ এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী সেলিম সরকার বলেন, বর্তমানে ঢাকা-নারায়নণগঞ্জ লিংক রোড সড়কে আলোর ব্যবস্থা করার জন্য কোন বাতি সংযোজনের উদ্যোগ নেই। তবে ভবিষ্যতে এ ধরনের ব্যবস্থা গ্রহনে উদ্যোগ নেওয়া হবে।

এ বিষয়ে সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আলিউল হোসেন জানান, ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডে বাতি সংযোজনের বিষয়ে এমপি মহোদয়ের নির্দেশনা রয়েছে আমরা ডেভলাপমেন্ট প্রকল্পের মাধ্যমে এ সড়কের দু’পাশে ফুটপাত নির্মান করে ফুটপাতের মাধ্যমে আলোর ব্যবস্থা করবো। তবে স্থানীয়ভাবে এর দায়িত্ব ডিপিডিসিকে ও পিডিপিকে নিতে হবে।