আজ মঙ্গলবার, ১১ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৬শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

বঙ্গবন্ধুর হত্যাকান্ড ছিলো দেশীয়ও আন্তর্জাতিক চক্রান্তের ফসল : এমপি গাজী

বঙ্গবন্ধুর হত্যাকান্ড

বঙ্গবন্ধুর হত্যাকান্ড

নবকুমার

বাঙালির ইতিহাসের বেদনাবিধুর ও বিভীষিকাময় ১৫ আগস্ট। এটি বাঙালি জাতির শোকের দিন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্বপরিবারে হত্যা করা হয়। বঙ্গবন্ধুর ৪৩ তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে নারায়ণগঞ্জ ১ আসনের সংসদ সদস্য রণাঙ্গণের খেতাব প্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম দস্তগীর গাজী  দৈনিক সংবাদচর্চাকে বলেন, বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যাকান্ড ছিলো দেশীয়ও আন্তর্জাতিক চক্রান্তের ফসল। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মহান স্বাধীন যুদ্ধে বিরোধীরা বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যা করে। খুনিরা জানত বঙ্গবন্ধু জীবিত থাকলে বাংলাদেশকে পাকিস্তানের সাথে এক করা যাবে না। তাই তারা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে।

গোলাম দস্তগীর গাজী বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার দায় তৎকালীন সেনাবাহিনী এড়াতে পারে না। তারা যদি দেশ প্রেমের পরিচয় দিত তাহলে সে দিন বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে নিহত হতে হয় না। বঙ্গবন্ধুকে যে দিন হত্যা করা হয় সে দিন ছিলো পাকিস্তান রাষ্ট্রের জন্মদিন। আর তার পরের দিন সৌদি আরব আমেরিকা সহ বেশ কিছু দেশ বাংলাদেশকে স্বাধীন দেশ হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করে। এ স্বীকৃতির মানে কি দাড়ায়। আরব বিশ্ব এবং পশ্চিমা বিশ্ব বঙ্গবন্ধুকে এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা মেনে নিতে পারেন নাই।

গোলাম দস্তগীর গাজী জিয়াউর রহমান সম্পর্কে বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হারিয়ে আমরা দিশেহারা ছিলাম। বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার বন্ধ করার জন্য জিয়াউর রহমান ইনডেমনিটি বিল পাস করে। বন্দুকের নলের মুখে দল গঠন করে। ঘাতকরা চেয়েছিলো বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মাধ্যমে বাংলাদেশ শেষ হয়ে যাবে। বাংলাদেশ আর ঘুরে দাড়াতে পারবে না।

গোলাম দস্তগীর গাজী বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়ন প্রসঙ্গে বলেন, ২১ বছর পর ১৯৯৬ সালে বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনা বাংলাদেশের রাষ্ট্রক্ষমতায় এসে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার শুরু করে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সরকার গঠন করে। পরাজিত শক্তিরা ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে গ্রেনেড হামলা করে। তার পরও শেখ হাসিনা মৃত্যু কে ভয় না করে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সুখী সমৃদ্ধ সোনার বাংলা নির্মানে কাজ করে যাচ্ছে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এখন বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নপূরণের পথে। এখন জীবিত বঙ্গবন্ধুর চেয়ে মৃত বঙ্গবন্ধু অনেক শক্তিশালী।

গোলাম দস্তগীর গাজী বলেন ,বঙ্গবন্ধু হত্যার সাথে জড়িতরা নির্বাচনকে সামনে রেখে এখনো ষড়যন্ত্র করছে। ছন্দ বেশে আওয়ামীলীগের সাথে মিশার চেষ্টা করছে। এদেরকে দুরে রাখতে হবে। বঙ্গবন্ধুর পলাতক খুনিদের ফিরে এনে বাংলার মাটিতে রায় কার্যকর করতে হবে।তবেই বঙ্গবন্ধুর আন্তার শান্তি পাবে।