নবকুমার:
নারায়ণগঞ্জ-১ (রূপগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য, বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বীর প্রতীক বলেছেন, বিশ্বে বহু রাজনৈতিক হত্যাকান্ড হয়েছে। কোন হত্যাকান্ডে অবুঝ শিশু এবং অন্তঃসত্ত্বা মহিলা ছিলো না। বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যাকান্ড বিশ্বের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় অবমানবিক হত্যাকান্ড। খুনিরা সেদিন শিশু রাসেলকে পর্যন্ত রক্ষা করেনি। রক্ষা করেনি যুব লীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলুল হক মনির অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী আরজু মনিকে। ঘাতকরা বুঝতে পারছিলো জাতির পিতার পরিবারের প্রত্যেকটা সদস্য বাঙালিদের অতি আপনজন । খুনিরা সেদিন শুধু ব্যক্তি বঙ্গবন্ধুকেই হত্যা করেনি, খুনিরা বাংলাদেশের আত্মাকে হত্যা করে । বাংলাদেশকে পাকিস্তানপন্থার দিকে ঠেলে দেয়।
গত ১৪ আগস্ট দাউদপুরে বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে দোয়া ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে রূপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি গোলাম দস্তগীর গাজী বীরপ্রতীক এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু ছিলেন বিশ্বের শোষিত মানুষের মুক্তির কন্ঠস্বর । আমরা যাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছি সেই পাকিস্তানিদের হাতে বঙ্গবন্ধু মারা যাননি, তিনি মারা গেলেন আমাদের বাঙালিদের হাতে। আমরা বাঙালিরা কত বড় বেইমান! আমরা বাঙালিরা জাতির পিতাকে নিজেরা হত্যা করেছি। এটা একটা করুণ ইতিহাস। বঙ্গবন্ধু আমাদের স্বাধীনতা দিয়েছেন। তার কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সর্বশ্রেষ্ঠ উপহার দিয়েছেন পদ্মা সেতু। বঙ্গবন্ধু বেচে থাকলে অনেক আগে আমরা উন্নত বিশে^ চলে যেতাম। বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত কাজ তার কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাস্তবায়ন করে যাচ্ছেন। তাকেও খুনি চক্র বহুবার হত্যার চেষ্টা করেছে।
মন্ত্রী বলেন, খুনি মোশতাক, জিয়া বঙ্গবন্ধুর খুনিদের পুরস্কৃত করেছে। তাদের বিচার হওয়া দরকার। বঙ্গবন্ধুর খুনিদের দ্রুত দেশে ফিরে এনে রায় কার্যকর করার সরকারের কাছে দাবি করেন মন্ত্রী।
তিনি বলেন, গুটি কয়েক বিপদগামী সেনা সদস্য বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত এটা মিথ্যা কথা। সকলবাহিনীর সদস্যরা সেদিন দেশ প্রেমের পরিচয় দিলে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করতে পারত না। খুনিদের বিচার বন্ধ করতে তৎকালীন সরকার ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারি করেছিলো। শেখ হাসিনা এবং শেখ রেহেনাকে দেশে আসতে দিতে চায়নি।
গোলাম দস্তগীর গাজী বীর প্রতীক বলেন, বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে বাংলাদেশ স্বাধীন হতো না। তিনি সমগ্র বাঙালি জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করেছিলেন। বঙ্গবন্ধু বাঙালি জাতির মুক্তির জন্য বছরের পর বছর কারাবরণ করেছেন । ২৪ বছর লড়াই সংগ্রাম করেছেন। তারপর তিনি আমাদের স্বাধীন দেশ উপহার দিয়েছেন।
বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সকল শহীদদের আত্মার শান্তি কামনা করে গোলাম দস্তগীর গাজী বলেন, বঙ্গবন্ধু এখন আমাদের উন্নয়নের প্রতীক। বঙ্গবন্ধুর রক্ত বৃথা যাবে না। তিনি বাঙালিদের চেতনার প্রতীক।
অনুষ্ঠানের আয়োজন করে আওয়ামী লীগ, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন । পরে অতিথিবৃন্দ ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট নিহত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের সকল শহীদ সদস্যের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করেন। কালনী, জিন্দা, আমদিয়া, বাগলা, দুয়ারা, পুটিনা, খৈইসার, খাসদাউদপুর, দেবই এলাকায় আলাদাভাবে শোকসভা হয়।
এসময় রূপগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোঃ শাহজাহান ভুঁইয়া, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সৈয়দা ফেরদৌসী আলম নীলা, কাঞ্চন পৌরসভার মেয়র আলহাজ¦ রফিকুল ইসলাম, রূপগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ¦ মোঃ ছালাউদ্দিন ভুঁইয়া, রূপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি আলহাজ¦ মোঃ তোফাজ্জল হোসেন মোল্লা, যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির জনশক্তি ও কর্মসংস্থান বিষয়ক সম্পাদক আলহাজ্ব লায়ন শাহীন মালুম, আওয়ামীলীগ নেতা মারফাত আলী, বিল্লাল হোসেন, রূপগঞ্জ উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শীলা রাণী পাল, দাউদপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক প্রতিষ্ঠাতা সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ মনির হোসেন , রূপগঞ্জ উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সভাপতি মাহাবুবুর রহমান মেহের, সাবেক সাধারণ সম্পাদক নাইম ভুঁইয়া, রূপগঞ্জ উপজেলা যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান শাহীন, দাউদপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি সৈয়দ রফিকুল ইসলাম, রূপগঞ্জ উপজেলা যুব মহিলা লীগ সভাপতি ফেরদৌসী আক্তার রিয়া, সাধারণ সম্পাদক সেলিনা আক্তার রিতা , দাউদপুর ইউনিয়ন মহিলালীগের সভাপতি খাদিজা আক্তার রিনা, সাধারন সম্পাদক ফেরদৌসী জান্নাত রুমা, আওয়ামীলীগ নেতা মুকুল পাশা, দাউদপুর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি মামুন আকন্দ, সাধারন সম্পাদক আক্তারুজ্জামান, দাউদপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি সোহেল রানা, সাধারন সম্পাদক জাহাঙ্গীর মোল্লা সহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।