আজ শনিবার, ১৬ই ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১লা মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

ফের বেপোরোয়া ফতুল্লার শীর্ষ সন্ত্রাসী মিরু

সংবাদচর্চা রিপোর্ট:

ফের বেপোরোয়া হয়ে উঠছে  নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার শীর্ষ সন্ত্রাসী মিরু হোসেন মিরু । গতকাল ফতুল্লার মামুনুর রশীদ নামে এক মার্কেট মালিকের কাছে ২০ লাখ টাকা চাঁদা চেয়েছেন মিরু । মামুনুর রশীদ  চাঁদা দিতে অপরাগত প্রকাশ করলে মিরু তার সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে ঐ মার্কেটের মালিকের উপর হামলা করে।  হামলায় মাকেটের ম্যানেজার গুরুত্ব আহত হয়েছে।

এ ব্যাপারে ম্যাকেটের মালিক মামুনুর রশীদ গতকাল থানায় মামলা দায়ের করেছেন। মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ফতুল্লা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহ মোহাম্মদ মঞ্জুর কাদের।

মামলায়  অভিযোগে মামুন অর রশিদ বলেন, পাগলা বৌ বাজার বটতলা এলাকায় আমার মালিকাধীন হাজী মুসলিম বাজার নামীয় মার্কেটের নির্মাণ কাজ প্রায় তিন মাস ধরে চলছে। এতে ১নং বিবাদী ও এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজ মীরু তার বাহিনী নিয়ে নির্মাণাধীন প্রতিষ্ঠানের মালিক পক্ষকে ভীতি প্রদর্শন সহ জিম্মি করে মোটা অংকের চাঁদা আদায় করে থাকে। মীরু তার প্রতিষ্ঠান মেসার্স মীরু এন্টারপ্রাইজ হতে নির্মাণাধীন প্রতিষ্ঠানের মালিক পক্ষকে ইট, বালু ও সিমেন্ট ক্রয় করতে বাধ্য করে। সে জেলা হাজতে থাকায় আমি আমার কাজ শুরু করলেও জামিনে বের হয়ে তার বাহিনী নিয়ে ১০ থেকে ১২ দিন পূর্বে হতে আমার নিকট ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে আসছে। আমি চাঁদার টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে আমার মার্কেটের ম্যানেজার জলিল আহম্মেদকে বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতি ও জীবন নাশের হুমকি দিয়ে আসছে। এবং আমার মার্কেট নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেয়ার হুমকি দেয়।

২৯ মার্চ সন্ধ্যা ৬ টায় আমার মার্কেটের নির্মাণ কাজ চলাকালীন সময়ে বিবাদীগণ সহ আরো ৭-৮ জন দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে আমার কাছে ২০লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। আমি দিকে অস্বীকৃতি জানালে তারা আমাকে মারপিট করতে উদ্যত হয়। এসময় আমার ম্যানেজার এগিয়ে আসলে ২নং বিবাদী তাকে লোহার রড দিয়ে মাথায় আঘাত করে। এতে সে গুরুতর জখম হয়। এরপর হামলাকারীরা তাকে এলোপাথারিভাবে মারধর করে নীলাফুলা জখম করে। ৪ নং বিবাদী আমার বুকে অস্ত্র ঠেকিয়ে টাকা দিতে বলে। প্রাণের ভয়ে আমি উঠলেও আমার বন্ধু রুবেলের পকেটে থাকা সাড়ে ৫ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়। আর আমার নির্মাণ শ্রকিদের বিভিন্নভাবে হুমকি দিয়ে তাড়িয়ে দেয়। এবং হামলা করে নির্মাণ সামগ্রীর ক্ষতিসাধন করে।

এর আগে গত জানুয়ারীতে মীরুকে গ্রেপ্তার করে ডিবি। মীরুর বিরুদ্ধে ফতুল্লা মডেল থানায় ১৮টি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে ৪টি হত্যা, অস্ত্র আইনে ৩টি, মাদক আইনে ২টি ও চাঁদাবাজীতে ৯টি মামলা আছে। প্রত্যেকটা মামলা ফতুল্লা থানায় দায়ের করা হয়েছে। তার মধ্যে চার টা মামলা রয়েছে  ৩০২  ধারায়।

একটি সুত্রের মাধ্যমে জানা গেছে  সন্ত্রাসী মীরুকে জামিন দেয়ার জন্য নারায়ণগঞ্জের আলোচিত একজন সংসদ সদস্য পুলিশের কাছে  জামিনের জন্য তদবির করে। পুলিশ তখন মিরু কে জামিন দেয় । জামিনে মুক্তি পেয়ে মীরু ফের সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চালাচ্ছে।