নবকুমার:
নারায়ণগঞ্জ ঢাকার পার্শ্ববর্তী একটি অতিগুরুত্বপূর্ণ জেলা। নারায়ণগঞ্জকে বলা হয় বাংলাদেশের রাজনীতির দ্বিতীয় প্রাণ কেন্দ্র। নারায়ণগঞ্জের নেতাদের আন্দোলন সংগ্রামের বিস্ফোরণ ঘটে ঢাকায়। নারায়ণগঞ্জের নেতাদের সমর্থন না পেলে কোনো দল ঢাকার মাঠ দখলে রাখতে পারে না। অতীতে নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগের নেতারা ঢাকার রাজপথ কাপিয়েছে। এখনো তাদের কাপানোর সমর্থন আছে। কিন্তু সেই নারায়ণগঞ্জের মর্ম বুজলো না আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ। গত ২১ এবং ২৬ ডিসেম্বর দুই দফায় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় পূণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়। এতে নারায়ণগঞ্জের কোনো নেতা স্থান পাননি। উল্টো কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য পদ থেকে বাদ দেয়া হয়েছে এড. আনিসুর রহমান দীপুকে। জনশ্রুতি রয়েছে আওয়ামী লীগের জন্ম নাকি নারায়ণগঞ্জে । সেই নারায়ণগঞ্জের আওয়ামী লীগের নেতারা কেন্দ্রের রাজনীতিতে নেই । তাদের নিয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা খুব একটা ভাবেন না। তারা তাদের ব্যবহার করেন। না ভাবার কারণ হিসেবে দেখা হচ্ছে ব্যক্তি রাজনীতি ও দলীয় কোন্দল। এই কোন্দলের কারণে এবার আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলনে নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগের নেতারা বলির পাঠা হয়েছে। যদিও এবারের সম্মেলনে মিডিয়াতে বেশ আলোচনায় ছিলো নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ সভাপতি ও নাসিক মেয়র ডাঃ সেলিনা হায়াত আইভী ,নারায়ণগঞ্জ ৪ আসনের এমপি শামীম ওসমান, সাবেক কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এড. আনিসুর রহমান দিপু, মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন, নারায়ণগঞ্জ ২ আসনের এমপি নজরুল ইসলাম বাবু ,সাবেক এমপি কায়সার হাসনাত । কেন্দ্রের রাজনীতিতে বর্তমানে তাদের অবস্থান করুণ। এদিকে নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগের চেয়ে কেন্দ্রের রাজনীতিতে এগিয়ে রয়েছে নারায়ণগঞ্জ বিএনপি- জাতীয় পার্টি। জাতীয় পার্টির দুই জন প্রেসিডিয়াম সদস্য রয়েছে নারায়ণগঞ্জের । তারা হলেন নারায়ণগঞ্জ ৩ আসনের জাতীয় পার্টির এমপি লিয়াকত হোসেন খোকা, নারায়ণগঞ্জ ৫ আসনের এমপি সেলিম ওসমান। বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটিতে ৫/৬ জন্য সদস্য রয়েছে নারায়ণগঞ্জের । তাদের মধ্যে রয়েছে বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা এড,তৈমূর আলম খন্দকার, বিএনপির সহ আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান ভূইয়া দিপু, আজহারুল ইসলাম মান্নান । এখন ক্ষমতাসীন দলের চেয়ে বিরোধী দল জাতীয় রাজনীতিতে প্রভাব বিস্তার করবে বেশি। আওয়ামী লীগের এমন করুণ অবস্থাকে ভালো চোখে দেখছে না রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। ক্ষুব্ধ নারায়ণগঞ্জ তৃণমূল আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।