নিজস্ব প্রতিবেদক:
৯ দিন পরই ঈদুর ফিতর। তাই বেচা-কেনার ধুম পড়েছে ঈদ বাজারে। বিশেষ করে শপিংমলের চেয়ে হকার্স মার্কেটসহ বিভিন্ন ফুটপাতে ঈদের বেচাকেনা জমে উঠেছে। তবে এসব দোকানের ক্রেতাদের অধিকাংশই হচ্ছেন নিম্ন ও মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষ।
হকার্স সমিতির সূত্র জানায়, জেলা প্রশাসকের অনুমোদিত বিভিন্ন সড়কে ঈদ উপলক্ষে বাহারি পোশাকের পসরা সাজিয়ে অস্থায়ী দোকান খুলেছেন। তবে সবচেয়ে বেশি দোকান রয়েছে পৌর হকার্স মার্কেটে।
হকার্স মার্কেট ঘুরে দেখা যায়, যারা ঈদের কেনাকাটা করতে এসেছেন বেশির ভাগই নিম্ন-মধ্যবিত্ত পরিবারের। তারা নিজের ও আত্মীয়-স্বজনের জন্য পছন্দের পোশাক কিনছেন। সমানতালে চলছে বিক্রেতাদের সঙ্গে দর-কষাকষিও।
কয়েকজন দোকান কর্মচারীরা জানান, সকালে কিছুটা ফাঁকা থাকলেও দুপুরের পর থেকে ক্রেতাদেরে উপচেপড়া ভিড় হয়। ঈদের শেষমুহূর্তে এসে এ ভিড় আরও তীব্র হয়েছে।
তারা জানান, ছেলেরা বেশিরভাগ কিনে নিয়ে যাচ্ছেন পাঞ্জাবি। মেয়েরা নিচ্ছেন ঢিলেঢালা থ্রি-পিস।
দোকানের মালিক নুর কবির বলেন, ১০ রমজান পর্যন্ত বেচা-কেনা তেমন ছিল না। ১৫ রমজানের পরে বিক্রি বেড়েছে। ঈদ যত ঘনিয়ে আসছে ভিড় বাড়ছে। বেচাকেনা খারাপ হচ্ছে না।
সিদ্ধিরগঞ্জ থেকে ঈদের পোশাক নিতে এসেছিলেন ব্যবসায়ী মো. আমির উদ্দিন। তিনি বলেন, আমরা যারা মধ্যবিত্ত আছি তাদের জন্য এ হকার্স মার্কেট উপযুক্ত। কম দামে ভালো মানের কাপড় পাচ্ছি।
দোকানি আবু বক্কর বলেন, ১৫ রমজানের পরে বেশি মানুষ আসছে। বিক্রিও হচ্ছে বেশি। এখানে ২০০ থেকে ৫০০ ও ৭০০ টাকায় ক্রেতারা পছন্দসই জুতা কিনতে পারেন। কিন্তু শপিংমলে এত সস্তা দামে জুতা পাওয়া সম্ভব নয়।