আজ শুক্রবার, ১৫ই ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৮শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

ফতুল্লায় যুবককে হত্যা চেষ্টার ঘটনায় গ্রেফতার হওয়া আসামীর জামিন

নিজস্ব প্রতিবেদক
ফতুল্লায় পূর্ব শত্রুতার জের ধরে হত্যার উদ্দেশ্যে শামীম নামের এক যুবককে দেশীয় অস্ত্র ও লোহার রড দিয়ে মাথায় আঘাত করে রক্তাক্ত করে মাটিতে ফেলে রাখা হয়। এমন অভিযোগ পাওয়া যায় আহতের চাচা আনোয়ার হোসেনের কাছ থেকে।

ওই ঘটনায় গত ১১ মার্চ ফতুল্লা মডেল থানায় তিনি একটি অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তক্কারমাঠ এলাকার সালেহ হোসেনের ছেলে সজীবকে গ্রেফতার করা হয়। তবে, গত ১৩ মার্চ কোর্ট থেকে জামিনে তাকে বের করে আনা হয়।

আনোয়ার হোসেনের করা অভিযোগের সূত্রে জানা যায়, ফতুল্লার শিয়াচর বড় বাড়ি তক্কারমাঠ এলাকার সালেহ হোসেনের ছেলে সোহান (৩০), ফকির চাঁন মসজিদ এলাকার মৃত হযরত আলীর ছেলে শ্যামল, তক্কারমাঠ এলাকার সালেহ হোসেনের ছেলে সজীব, মৃত রমিজউদ্দিনের ছেলে মো: হাসান, সাইজ উদ্দিনের ছেলে সজীব, শাহজাহানের ছেলে নাহিদ ও আনু, মৃত নিজাম উদ্দিনের ছেলে বাবুসহ অজ্ঞাত নামা আরও ৪ থেকে ৫জনের বিরুদ্ধে ফতুল্লা মডেল থানায় অভিযোগটি দায়ের করা হয়।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে ফতুল্লার শিয়াচর বড় বাড়ি তক্কারমাঠ এলাকার আমিনুল ইসলামের ছেলে মো: শামীমকে (২২) গত ৮ মার্চ সন্ধ্যায় ফতুল্লা পিলকুনি এলাকায় দেশীয় অস্ত্র নিয়ে পথ রোধ করে ও মারধর করে রক্তাক্ত জখম করে। এ সময় শামীম মাটিতে পরে গেলে সোহান তাকে ছুড়ি দিয়ে আঘাত করে। পাশে থাকা শ্যামল তার হাতে থাকা লোহার রড দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে মাথায় আঘাত করে শামীমের। এবং সজীব আহত শামীমের পকেট থেকে ১ টি মোবাইল ফোন ও টাকা নিয়ে যায় সেই সাথে আরেক সজীব ১ভরি স্বর্ণের গলার চেইন ছিনিয়ে নিয়ে যায়।

আহত অবস্থায় শামীমের ডাকে আশেপাশের স্থানীয় লোকজনকে ছুটে আসতে দেখে পালিয়ে যায় এবং পালিয়ে যাওয়ার সময় তারা পরবর্তীতে শামীমকে পেলে প্রাণ নাশের হুমকি প্রদান করে।

আহত শামীমের আত্নীয় স্বজনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা দৈনিক সংবাদচর্চার নিজস্ব প্রতিবেদককে বলেন, স্থানীয়দের সহয়তায় গুরুতর আহত অবস্থায় শামীমকে খানপুর ৩০০ শয্যা হাসপাতালে নেয়া হয়। এখন পর্যন্ত তার মাথায় গুরুতর আঘাত রয়েছে।

তারা আরও বলেন, হামলাকারীরা আমাদের পরিবার ও স্বজনদের বিভিন্ন ভাবে প্রাণ নাশের হুমকী প্রদান করছে। আমরা ওই হামলাকারী সকল সন্ত্রাসীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।