নিজস্ব প্রতিবেদক:
নারায়ণগঞ্জ শহরের আলোচিত কালীরবাজারের স্বর্ণ ব্যবসায়ী প্রবীর ঘোষের হত্যাকান্ডের মূল আসামী পিন্টু দেবনাথের সহযোগী বাপেন ভৌমিক আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। প্রবীর হত্যাকান্ডের তদন্ত কর্মকর্তা (ডিবি) এস আই মফিজুল ইসলাম এ তথ্যের সত্যতা স্বীকার করেন।
মঙ্গলবার (১৭ জুলাই) সকাল ১১টা থেকে ৩টা পর্যন্ত সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আশিক ইমামের আদালতে বাপেন ভৌমিক এ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়।
এর আগে শনিবার (১৪ জুলাই) বিকেলে নারায়নগঞ্জ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসানের খাস কামড়ায় প্রবীর ঘোষ হত্যাকান্ডের মূল আসামী পিন্টু দেবনাথের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়। সেখানে সে প্রবীর ঘোষকে একা হত্যা করে ৭ টুকরা করার ঘটনা স্বীকার করেন। এরপর আরো তদন্তের জন্য পিন্টুর কর্মচারী ও প্রবীর হত্যাকান্ডে তার অন্যতম সহযোগী বাপেন ভৌমিককে দুই দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়। মঙ্গলবার রিমান্ডের শেষ দিনে বাপেন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। তার জবানবন্দিতে প্রবীর হত্যাসহ ২১ মাস আগে অপহৃত স্বপন কুমার সাহা হত্যাকান্ডের কথাও বেরিয়ে আসে। স্বপনকেও পিন্টু তার নিজ বাড়িতে হত্যা করে লাশ শীতলক্ষ্যা নদীতে ভাসিয়ে দেয়।
তবে এ বিষয়ে তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মফিজুল ইসলাম গণমাধ্যমকে কিছু বলতে রাজি নন। তিনি বলেন, উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সব জানিয়েছি। আপনারা জানতে চাইলে তাদের কাছে জানতে চান।
প্রসঙ্গত, গত ১৮ জুন রাতে নিখোজ হন কালিরবাজারের স্বর্ণ ব্যবসায়ী প্রবীর চন্দ্র ঘোষ। নিখোজের ২১ দিন পর সোমবার (৯ জুলাই) রাত ১১টায় ঘাতক পিন্টুর দেয়া তথ্য মতে শহরের আমলাপাড়া এলাকার পিন্টু যে বাড়িতে ভাড়া থাকতো সেই ৪ তলা ভবনের সেপটিক ট্যাংক থেকে প্রবীরের লাশ উদ্ধার করা হয়। স্বর্ণ ব্যবসায়ী প্রবীর ঘোষ হত্যার তদন্ত করতে গিয়ে বেরিয়ে এসেছে প্রায় দেড় বছর আগে নিখোঁজ কাপড় ব্যবসায়ী স্বপন কুমার সাহার নিখোঁজের আসল রহস্য। স্বপন নিখোঁজ না বরং ব্যবসায়ীক দ্বন্দের জের ধরেই হত্যার শীকার হয়েছেন। ২০১৬ সালের ২৭ অক্টোবর রাতে পিন্টু দেবনাথের বাসায় বসে স্বপনকে হত্যার পর লাশ শীতলক্ষ্যায় ফেলে দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় মাসদাইর এলাকার রতœা রানী চক্রবর্তী ও শহরের আমলাপাড়া এলাকার আবদুল্লাহ আল মোল্লা মামুনকে গ্রেপ্তারের পর বেরিয়ে এসেছে হত্যার চাঞ্চল্যকর তথ্য।