আজ বুধবার, ১২ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৭শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

প্রতিযোগিতা প্রতিহিংসায় পরিণত

নিজস্ব প্রতিবেদক

ওসমান পরিবারের অনুসারীদের গোস্যা ভাংছে না। এখনো অনেকে আড়ালে । সিটি নির্বাচনকে সামনে রেখে গেল ২৪ ডিসেম্বর শেখ রাসেল পার্কে আওয়ামী লীগ বিজয় সমাবেশ করে। সেই সমাবেশে বক্তব্য রাখেন এক ঝাঁক কেন্দ্রীয় নেতা। বাদল, খোকন সাহা গেলেও যাননি শামীম ওসমান, মহানগর আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি চন্দল শীল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহ নিজাম, সাংগঠনিক সম্পাদক জাকিরুল আলম হেলাল, এড. মাহমুদা মালা—-।

রাজনীতি সচেতন মহলের মতে, ২০১১ সালে অনুষ্ঠিত নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের প্রথম নির্বাচনে অংশ নিয়ে শামীম ওসমান ও তার অনুসারীরা যে স্বপ্ন দেখেছিলেন তা পরবর্তীতে দুঃস্বপ্নে পরিণত হয়। তাদের মতে, যোগ্যতা ও সাংগঠনিক দক্ষতার কারনে দলে শামীম ওসমানের অবস্থান উঁচু স্থানে যেতো। তার অনেক পরে রাজনীতি শুরু করেও অনেকে কেন্দ্রীয় কমিটিতে পদ পেয়েছেন, মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী হয়েছেন। তিনিও সেই সুযোগ পেয়েছেন কিন্তু কাজে লাগাতে পারেননি। প্রতিপক্ষের সাথে তাদের দ্বন্দ্ব কমছে না।

বিশ্লেষকদের মতে, সিটি নির্বাচনে হেরে যাওয়ার পরও আওয়ামী লীগের মনোনয়নে ১০ম ও একাদশ সংসদ নির্বাচনে সংসদ সদস্য হয়েছেন তিনি। অর্থাৎ দল তাকে মূল্যায়ন করেছে। তিনি তা ধরে রেখে রাজনীতি নিয়ে এগিয়ে যেতে পারতেন। তা না করে আইভী বিরোধীতায় মগ্ন হয়ে পড়েন। তাদের নেতৃত্বের প্রতিযোগিতা এখন প্রতিহিংসায় পরিণত ।

এ ব্যাপারে গেল ২৪ ডিসেম্বর কারও নাম উল্লেখ না করে আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, ‘আমি পরিষ্কার বলতে চাই, নেতায়-নেতায় প্রতিযোগিতা থাকতে পারে। কিন্তু কর্মীরা হলো শেখ হাসিনার কর্মী। নেতায়-নেতায় প্রতিযোগিতা থাকতেই পারে। প্রতিযোগিতা না থাকলে সেটি জড়বস্তুতে পরিণত হয়। সেই কারণেই প্রতিযোগিতা যেন প্রতিহিংসায় পরিণত না হয় সেদিকে কড়া দৃষ্টি রাখবেন।’