আজ বুধবার, ২৭শে ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১২ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

পিরোজপুরের ইন্দুরকানীতে বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে মঞ্চে স্থান পায়নি এমপি আউয়াল সমর্থ।

পিরোজপুর প্রতিনিধিঃ ইন্দুরকানীতে বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে মঞ্চে জায়গা না পেয়ে এমপি আউয়াল গ্রুপের সমর্থকরা শহীদ মিনারে অবস্থান করেন। শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) সকাল ৯ ঘটিকায় উপজেলা পরিষদ মাঠে উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক আয়োজিত বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে শুরু হবার মুহুর্তে পিরোজপুর জেলা আ’লীগের সভাপতি ও সংসদ একেএম আউয়ালের সমর্থকরা উপজেলা আ’লীগের সহ-সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা আঃ লতিফ হাওলাদারের নেতৃত্বে র‌্যালী করে শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। পরে শহীদ মিনার থেকে মঞ্চে ফিরে এসে মঞ্চে বসা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাজিব আহম্মেদ ও ওসি মোঃ নাসির উদ্দিনের সাথে মঞ্চে বসার জায়গা নিয়ে এবং ধারা ভাষ্যে নাম নিয়ে বাক বিতন্ডায় জড়িয়ে পরেন। প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাদেরকে মঞ্চে বসতে বললেও তারা সম্মান জনক স্থান না পেয়ে মঞ্চের পশ্চিম প্রান্তে শহীদ মিনারে অবস্থান করেন। আনুষ্ঠানিক ভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও কুচকাওয়াজ শেষে তারা অনুষ্ঠান স্থল ত্যাগ করেন। এব্যাপারে উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ শাহীন গাজী জানান, উপজেলা প্রশাসনের আয়োজিত বিজয় দিবসের ধারা বিবরণীতে প্রতিবছর আমার নাম ছিল। কিন্তু এবছর ষড়যন্ত্র করে আমার নাম বাদ দেয়া হয়েছে। এবং আ’লীগের সিনিয়র নেতাদের বসার জন্য কোন আসন না রাখায় আমরা শান্তিপূর্ণ ভাবে শহীদ মিনারে অবস্থান করি।
উপজেলা আ’লীগের সহ-সভাপতি এমপি আউয়াল সমর্থক সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আঃ লতিফ হাওলাদার জানান, উপজেলা আ’লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের নিয়ে বিজয় দিবসে র‌্যালী করে শহীদ মিনার শ্রদ্ধা নিবেদন করি। পরে মঞ্চে আমাদের বসার জায়গা না পাওয়ার কথা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে জানতে চাইলে তিনি কোন কথা বলেননি। এসময় ওসি মোঃ নাসির উদ্দিন আমাদেরকে দেখিয়ে দেয়ার হুমকি দেয়। পরে আমরা শহীদ মিনারে শান্তিপূর্ণ ভাবে অবস্থান করি। এরপর জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও জাতীয় সংগীত শেষ হলে আমরা অনুষ্ঠান ন্থল ত্যাগ করি।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাজিব আহম্মেদ জানান, বিজয় দিবস অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি সভায় উপজেলা প্রশাসন, উপজেলা আ’লীগ, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ নেতৃবৃন্দের সকলের সিদ্ধান্ত মোতাবেক সবাইকে নিয়ে যে সিদ্ধান্ত হয়েছে সে মোতাবেকই অনুষ্ঠান পরিচালনা করা হয়েছে। আমারা সবার জন্য পৃথক পৃথক ভাবে আসন বরাদ্ধ করেছি। কিন্তু আ’লীগের একটি অংশ তাদেরকে বসতে বললেও তারা না বসে শহীদ মিনারে অবস্থান করে।

উপজেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক মৃধা মোঃ মনিরুজ্জামান জানান, উপজেলা আ’লীগের সহ-সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা আঃ লতিফ হাওলাদার সংগঠন বিরোধী কার্যকলাপে লিপ্ত। সে দলীয় সিদ্ধান্ত ছাড়াই অনুষ্ঠান চলাকালীন সময়ে কতিপয় লোকজন নিয়ে শহীদ মিনারে মালা দিতে আসে। আসনের ব্যবস্থা থাকলেও সে না বসে ইচ্ছাকৃত ভাবে চলে যায়।