আজ মঙ্গলবার, ২১শে মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৪ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

পিরোজপুরে কাঠ পুড়ে তৈরী হচ্ছে কয়লা স্বাস্থ্য ঝুকিতে এলাবাসী

পিরোজপুরে কাঠ পুড়ে

পিরোজপুরে কাঠ পুড়ে

পিরোজপুর প্রতিনিধি ॥

পিরোজপুরে কাঠ পুড়ে তৈরী করা হচ্ছে কয়লা । আর সেই কাঠ পোড়ার গন্ধে স্বাস্থ্যের ঝুকিতে রয়েছে আসে-পশের এলাকার বাসীন্দারা। জানাযায়, পিরোজপুর সদর উপজেলাধীন ৬নং শারিকতলা ডুমরিতলা ইউপির ৬নং ওয়ার্ড কেশরতা গ্রামে তৈরী করা হয়েছে কয়লা কারখানা। সেখানে ৩টি চুল্লীর মাধ্যমে জ্বালানী কাঠ পুড়ে কয়লায় রূপান্তরীত করা হচ্ছে। আর সেই কাঠ পোড়ানোর ধোয়া ছড়িয়ে পরছে আস-পাশের এলাকাগুলোতে। যাহার কারণে সেখানকার লোকজন শ্বাস কষ্ট সহ নানা রকম অসুখে ভুগছেন। ভুক্তভুগীরা জানায় দিনের চেয়ে রাতের বেলায় বেশিই কাঠ পোড়ার ধোয়া ছরিয়ে পরছে গ্রামগুলোতে। এতে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে জনজীবন ও গাছপালা।

কয়লা কারখানায় গিয়ে দেখাযায়, প্রতিদিন শত শত মণ কাঠ আগুনে পুড়িয়ে কয়লা তৈরী করা হচ্ছে। আর সেই কয়লা ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠাচ্ছে। গ্রামটিতে ঢুকতেই কাঠ পোড়ার গন্ধে নিঃশ্বাষ বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম দেখা গেছে। ক্ষতিগ্রস্থ এলাকার বাসীন্দারা বহুবার কয়লা কারখানার মালিকের আছে এবিষয় অভিযোগ করেছেন। এমনকি পাইপ দিয়ে ধোয়া আকাশে উড়েয়ে দেওয়ারও পরামর্শ দিয়েছেন অনেকে। তবুও কোন ব্যবস্থা গ্রহন না করে দীর্ঘদিন ধরে সাধারণ ভাবেই তৈরী করছে কয়লা।

একটি জনবহুল এলাকায় বন বিভাগ বা পরিবেশ অধিদপ্তর এই ধরনের কাজ করার জন্য বৈধ কোন লাইসেন্স বা অনুমোতী দিয়েছে কিনা তাহা সন্ধেহ জনক হওয়ায়, আমাদের প্রতিবেদন বৈধ কাগজ পত্র দেখতে চাইলে তারা কোন কাগজ পত্র দেখাতে পারে নাই। ধারনা করা হয় কোন বৈধ অনুমোদন ছাড়াই এই গ্রামে অবৈধ ভাবে শতশত মন বৃক্ষ দীর্ঘদিন ধরে ধংস করে আসছে এই কয়লা তৈরীর কারখানাটি। তারই কারণে শ্বাষকষ্ট জনিত রোগে ভুগছে এই জনবহুল এলাকার ছোট থেকে বৃদ্ধ সকলেই।
কয়লা কারখানার মালিক মোঃ শাহাদাৎ শেখ এর সাথে এবিষয় কথা বলতে চাইলে , প্রতিবেদককে তেমন একটা গুরুত্ব না দিয়ে বলেন বৈধ লাইসেন্স নিয়েই এই কয়লা কারখানায় কাঠ পুড়িয়ে কয়লা উৎপাদন করা হচ্ছে।

কিন্তু এলাকার লোকজন বলেন, সরকার আমাদের সুবিধা-অসুবিধা না দেখেই যেকোন ব্যবসার অনুমোদন দিয়ে দিবে তা বিশ্বাস করিনা। জনস্বার্থে দ্রুত এই কয়লা কারখানাটি বন্ধ করে আমাদের মত গরীবদের সহজ ও সুন্দর ভাবে বেঁচে থাকার ব্যবস্থা করে দিবেন বলে সরকারের কাছে দাবি জানাচ্ছি।

তবে এবিষয় ইউপি চেয়ারম্যান মিরাজুর রহমান রাজু মোল্লা বলেন, কয়লা কারখানার জন্য এলাকার জনগনের অনেক অসুবিধা হচ্ছে তা ঐ এলাকার লোকজন অভিযোগ করেছে। এমনকি আমি নিজেও এলাকায় গিয়ে অনুভব করেছি জনগনের অসুবিধাটা। দেখেছি আসলেই শ্বাষকষ্ট জনিত সমস্যা রয়েছে এই এলাকায়। কয়লা কারখানার মালিককে বহুবার বলা সত্ত্বেও কোন ধরনের ব্যবস্থা নিচ্ছে না। এখন আইনগত ভাবে কি করা যায় তা দেখবো। তবে পরিবোশ ও বন অধিদপ্তরের হস্তক্ষেপ কামনো করছেন ইউপি চেয়ারম্যান সহ এলাকার জনগন ।