সজিব খান: ফাঁসির দ- নিয়ে জেলে আছেন নারায়ণগঞ্জে আলোচিত ৭ খুন মামলার প্রধান আসামি নূর হোসেন। তবে থেমে নেই তার অনুসারীদের অপকর্ম। পরিবহন খাত ও দোকানপাটসহ বিভিন্নভাবে চাঁদা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে তাদের বিরুদ্ধে। বিশেষ করে ৯ সহকর্মীর ফাঁসির রায় কমিয়ে যাবজ্জীবন করার পর সক্রিয় হয়ে ওঠেছে বাহিরে থাকা অনেকেই।
নূর হোসেনের রয়েছে বিপুল পরিমাণ সম্পদ। নূর হোসেনের স্ত্রী রুমা আক্তার, ভাই- ভাতিজা তার অন্ধকার সাম্রাজ্যের দেখাশোনা করছেন। শিমরাইল ট্রাক স্ট্যান্ডসহ পুরো পরিবহন সেক্টরের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছেন নূর হোসেনের ছোট ভাই নূর উদ্দিন। বিভিন্ন সমিতির নাম করে উঠানো হয় চাঁদা। আর খাল দখল করে গড়ে তোলা বিশাল টিনশেড মার্কেট থেকে চাঁদা আদায় করে নূর হোসেনের ভাতিজা স্থানীয় কাউন্সিলর শাহজালাল বাদলের বাহিনী। রাস্তার পাশে ফুটপাতের দোকান স্থাপনার জন্য চাঁদা তোলার অভিযোগও আছে তাদের বিরুদ্ধে। ব্যবসায়ীদের অভিযোগ পুলিশ সব ঘটনা জানলেও কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না।
বেপরোয়া তৎপরতা বন্ধে পুলিশও কোনো উদ্যোগ নিচ্ছে না বলে অভিযোগ করছে স্থানীয়রা। তবে পুলিশ বলছে অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
নূর হোসেনের ভাই নূরুজ্জামান জজ শীতলক্ষ্যা নদীর পাড়ে পাথরের ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করেন। প্রতি ট্রাক লোড হলেই ১০০-২০০ টাকা করে দিতে হয় তাকে। নদী পাড়ের ব্যবসায়ীদেরও মাসের একটা মাসোয়ারা দিতে হয় তাকে।
হোসেন বাহিনীর তৎপরতায় আতঙ্কে আছেন সাত খুনের মামলার বাদী ও নিহত নজরুল ইসলামের স্ত্রী সেলিমা ইসলাম বিউটি।
এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলার নাগরিক কমিটির সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান বলেন, একজন নূর হোসেন দশজন নূর হোসেনের সৃষ্টি করে গেছেন। তাই নূর হোসেনের যদি ফাঁসিও হয় তাদের সাম্রাজ্য বিনষ্ট হবে না বলে মনে করছেন তিনি।