সংবাদচর্চা রিপোর্ট:
গত বছর ১৬ জানুয়ারি নগরীর চাষাড়ায় ফুটপাতে হকার বসানোকে কেন্দ্র করে মেয়র আইভী ও তাঁর সমর্থকদের উপর হামলার সময় পিস্তল উঁচিয়ে ধরেছিলেন নিয়াজুল ইসলাম খান। ঘটনার পরপরই পিস্তলটি পরিত্যক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে হেফাজতে নেয় পুলিশ। সেই পিস্তলের লাইসেন্স নবায়নের তোড়জোড় শুরু হয়। নিয়াজুলের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে জেলা প্রাসন পুলিশের বিশেষ শাখায় চিঠি দেয়। গত ২২ জানুয়ারি জেলা ম্যাজিস্ট্রেট রাব্বী মিয়া স্বাক্ষরিত ওই চিঠিতে পিস্তলের লাইসেন্স নবায়নের বিষয়ে আইনি মতামত জানতে চাওয়া হয়। নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানা ও ফতুল্লা মডেল থানা-পুলিশের পৃথক তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে নিয়াজুলের অস্ত্র নবায়ন কর হলে লাইসেন্সধারী অস্ত্র দিয়ে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটাতে পারেন।
আগ্নেয়াস্ত্র শাখা থেকে ইস্যু করা পিস্তলটি ২০১৮ সাল পর্যন্ত নবায়ন করা। লইসেন্সধারী পিস্তলটি ২০১৯ সালে নবায়নের জন্য অস্ত্র প্রদর্শন করে আবেদন করেছেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে জেলা পুলিশের বিশেষ শাখা বিষয়টি তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করতে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানা ও ফতুল্লা মডেল থানার পুলিশকে নির্দেশ দেয়।
নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার অফিসার ইনর্চাজ (ওসি) মো. কামরুল ইসলাম জানান, নিয়াজুলের অস্ত্রের বিষয়ে অমরা তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেছি। ব্যবস্থা নিবেন জেলা ম্যাজিস্ট্রেট। এছাড়া নিয়াজুলের সেই অস্ত্র সদর মডেল থানায় পুলিশী হেফাজতে রয়েছে ।
অপরদিকে ফতুল্লা মডেল থানার অফিসার ইনর্চাজ (ওসি) মো.আসলাম হোসেন জানান, নিয়াজুলের অস্ত্রের লাইসেন্স নবায়ন না করার জন্য জানানো হয়েছে। পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আবদুল আজিজ তদন্ত শেষে প্রতিবেদন দাখিল করেছেন।