আজ শনিবার, ৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

নারায়ণগঞ্জের ৫০ শতাংশই কৃষিজমি

নারায়ণগঞ্জ জেলায় ৫০ শতাংশ কৃষিজমি আছে বলে মন্তব্য করেছেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জেলা উপ পরিচালক আব্দুল মাজেদ। তিনি বলেন, ‘নারায়ণগঞ্জের মূল এড়িয়া ৬৮ হাজার ৪৪০ হেক্টরের। যার মধ্যে কৃষিজমি ৫০ শতাংশ, ৩৬ হাজার ৫০০ হেক্টর।

আমাদের ৫০ শতাংশ জমি শিল্পায়ণ, নগরায়ণ ও আবাসনে শেষ। সদর-বন্দরের তেমন কোনো কৃষি জমি নেই। আড়াইহাজার উপজেলায় যেখানে প্রচুর কৃষি জমি আছে সেখানেও জাপান ইপিজেট প্রবেশ করেছে। জানি না ভাবষ্যতে কি হবে! আমরা প্রদর্শনীর জন্য জায়গা নির্ধারণ করি, রাতের আধারে সে জমি বালি ভরাট হয়ে যায়। যেভাবে কৃষিজমি কমছে তা আশঙ্কার বিষয়।

গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে শহরের জিয়া হলে অনুষ্ঠিত ফল মেলা’র উদ্বোধন ও আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

আব্দুল মাজেদ সংবাদচর্চাকে মুঠোফোনে জানান, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর নারায়ণগঞ্জ জেলা কর্তৃক ২০২০-২১ সালে পরিচালিত শুমারি অনুযায়ী নারায়ণগঞ্জ জেলায় ৫০ শতাংশ নীট কৃষিজমি আছে। তিনি বলেন, ‘নারায়ণগঞ্জের ৪৯টি ইউনিয়ন ও ৭টি পৌরসভাকে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ১৩৩টি বøকে ভাগ করেছে। ১৩৩টি বøকে আমাদের ১৩৩জন উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা কাজ করেন। আমরা তাদের মাধ্যমে জেলার কোন এলাকায় কি পরিমাণ কৃষিজমি আছে এবং সেখানে কোনো কোন ফসল উৎপাদন হয় সে তথ্য সংগ্রহ করি। এ তথ্য প্রথমে উপজেলায় এবং পরে জেলা কার্যালয়ে আসে। আমাদের ২০২০-২১ এর সার্ভে অনুযায়ী, নারায়ণগঞ্জে মোট ৩৬ হাজার ৪৮০ হেক্টর জমিতে সরিষা, বোরো ধান, আলু, টমেুটুসহ নানা রকম শাক-সবজি চাষ হয়।’

নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসন ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কর্তৃক আয়োজিত জাতীয় ফল মেলা ২০২২এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, জেলা প্রশাসক মঞ্জুরুল হাফিজ।

(সংবাদচর্চা/১৬জুন/এমএল)