সংবাদচর্চা রিপোর্ট:
করোনাভাইরাসের কারণে নারায়ণগঞ্জে কর্মহীন হয়ে পড়া শ্রমিক ও অসহায় ১ হাজার ৬০০ পরিবারের মধ্যে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেছেন বাংলাদেশ জুট এসোসিয়েশন (বিজেএ)। বৃহস্পতিবার ৭ মে নারায়ণগঞ্জ শহরের বঙ্গবন্ধু সড়কে অবস্থিত বাংলাদেশ জুট এসোসিয়েশনসহ পৃথক ৬টি স্থানে ১ হাজার ৬০০জন শ্রমিকের হাতে খাদ্যসামগ্রী তুলে দেয়া হয়। এছাড়াও জনসমাগম এড়াতে নারায়ণগঞ্জের কোঅপারেটিভ, পপুলার, কুমুদিনী, জামাল ও শারমীন জুট বেলার্স এলাকায় কর্মহীন শ্রমিকদের মধ্যে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়।
নারায়ণগঞ্জ শহরের বঙ্গবন্ধু সড়কে অবস্থিত বাংলাদেশ জুট এসোসিয়শনের সামনে খাদ্যসামগ্রী বিতরণকালে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জুট এসোসিয়েশনের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আরজু রহমান ভূইয়া, কার্যকরী সদস্য মো: নুরুল হোসেন, মো: তোফাজ্জল হোসেন, কে জে ফাইবার প্রোডাক্টসের রেদোয়ান ভূইয়া, বিজেএ’র সহকারী সচিব টিএস রায়, হিসাবরক্ষক তারেক দেওয়ানসহ বিজেএ’র কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ।
খাদ্যসামগ্রী বিতরণকালে বাংলাদেশ জুট এসোসিয়েশনের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান আরজু রহমান ভূইয়া বলেন, নারায়ণগঞ্জে কাঁচাপাট রপ্তানীখাতে ১০ হাজারের ন্যায় শ্রমিক রয়েছে। কিন্তু সরকারি ছুটি ও লকডাউনের কারণে অনেক শ্রমিক গ্রামের বাড়ি চলে গেছে। আমরা প্রাথমিকভাবে ১ হাজার ৬০০ জন শ্রমিকের মধ্যে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেছি।
তিনি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রণোদনার তালিকায় পাটশিল্পের কথা উল্লেখ করলেও সেখানে কাঁচাপাট খাতের কথা উল্লেখ নেই। লকডাউনের কারণে কাঁচাপাট রপ্তানীখাতে ৭০০ কোটি টাকার ন্যায় ক্ষতি হয়েছে। লকডাউনের কারণে রপ্তানীকারক ও ব্যবসায়ীরাও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এখন প্রণোদনার অর্থ না পেলে আগামীতে রপ্তানীকারক ও ব্যবসায়ীরা কাঁচাপাট ক্রয় করতে পারবেনা। যে কারণে প্রধানমন্ত্রীর কাছে দাবি জানাচ্ছি কাঁচাপাট রপ্তানী খাতকে যাতে প্রনোদনার তালিকায় অর্ন্তভুক্ত করা হয়।