আজ মঙ্গলবার, ১৫ই পৌষ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ৩০শে ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

নারায়ণগঞ্জ স্বামী-স্ত্রীকে হত্যায় ৬ জনের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ

১৩ বছর আগের একটি জোড়া খুন মামলায় ৬ জনকে অভিযুক্ত করে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছে নারায়ণগঞ্জের একটি আদালত।

সোমবার দুপুরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল আদালতের বিচারক নাজমুল হক শ্যামল এ রায় দিয়েছেন। মোট ১২ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহন শেষে আদালত মামলার ৬ জন আসামীকে মৃত্যু দণ্ডের আদেশ দিয়েছেন।

আদালতের রায়ের সময় অভিযুক্ত ৬ জন আসামীর মধ্যে ৩ জন উপস্থিত ছিরেন।

মৃত্যু দন্ডপ্রাপ্তরা হলেন, রূপগঞ্জের গঙ্গানগর এলাকার মো. ইসমাইলের ছেলে আরিফ, লোকমান, শফিক, সুমন, আরিফুল, মো. সুমন ও জামাল। দণ্ডিতদের মধ্যে সুমন, লোকমান ও শফিক এখনো পলাতক আছে।

রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করে নারায়ণগঞ্জ আদালত পুলিশের পরিদর্শক আসাদুজ্জমানা জানিয়েছেন, ২০০৯ সালের ১৬ আগষ্ট রূপগঞ্জ থানায় স্বামী ও স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগে মামলা দায়ের হয়েছিল। একই বছর তদন্ত শেষে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ। তদন্ত প্রতিবেদন বলা হয়, খাদিজাকে পর্যায়ক্রমে ধর্ষণ করে এবং ধর্ষন শেষে পানিতে ডুবিয়ে হত্যা করে। মামলাটির দীর্ঘ বিচারিক কার্যক্রম শেষে মাননীয় আদালত ৬ জনকে মৃত্যু দণ্ডের আদেশ দিয়েছেন।

আসাদুজ্জমানা আরো জানিয়েছেন, পারিপারিক কলোহের জেরে আ. রহমান তার স্ত্রীকে হত্যার পরিকল্পনা করে। ১০ হাজার টাকা চুক্তিতে ভাড়াটে লোক নিয়ে স্ত্রী খাদিজা বেগমকে কর্মস্থল থেকে বাড়ী ফেরার পথে তুলে আনা হয়। পরে আ. রহমানসহ ভাড়াটে লোক দলবদ্ধভাবে খাদিজা বেগমকে ধর্ষণ করে এবং পরে পাশের একটি ডোবাতে তাকে ডুবিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করে।

আসাদুজ্জমানা বলেন, চুক্তির ১০ হাজার টাকা দিতে ব্যর্থ হলে ভাড়াটে খুনিরা ওই রাতেই আ. রহমানকে গলাকেটে হত্যা করে স্ত্রী’র পাশেই ডোবাতে ফেলে চলে যায়। সকাল ১১ টার দিকে বোচার বাগ এলাকায় রমিজউদ্দিনের ডোবার পানিতে কচুরীপানা দিয়ে ঢাকা অবস্থায় খাদিজা ও রহমানের মৃতদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশকে সংবাদ দেয়। পওে পুলিশ গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় খাদিজার বাবা আনোয়ার মিয়া বাদী হয়ে রূপগঞ্জ থানায় মামলা করেন।

(সংবাদচর্চা/৬জুন/এমএল)